জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওরের হামহামির ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় চার দিন ধরে লড়ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতাধীন ৪ নম্বর প্রকল্পের হামহামি বাঁধ প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় সোমবার স্লুইসগেটে বিকল্প আরেকটি বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর আগে শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ওই বাঁধটি পরিদর্শন করে প্রকল্প রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতাধীন ৪ নম্বর প্রকল্পের হামহামি বাঁধে ফাটল দেখা দিলে এলাকাবাসীরা দ্রুত ধসে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ শুরু করে। প্রাণপণ প্রচেষ্টায় তাঁরা কোনো রকমে বাঁধটি রক্ষা করেন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ফের বাঁধের মাটি ধসে পড়লে বাঁধটি রক্ষায় লড়াইয়ে নামেন ৩ শতাধিক কৃষক। এরপরও বাঁধটি ঝুঁকিতে থাকায় বিকল্প আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া কামারখালী নদীর তীরে অবস্থিত হামহামির বেড়িবাঁধটির দুপাশে মাটি দিয়ে বাঁশ পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাঁধের একপাশের মাটি ও বাঁশের বেড়া ধসে পড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির লোকজন কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে বস্তায় বালু ভরে বাঁশ দিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে এলাকার কয়েকজন কৃষকও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
স্থানীয় কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এই জায়গায় সঠিকভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশে মাটি সরে গেছে।’
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষক নেতা হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গত টানা চার দিন ধরে হামহামির বেড়িবাঁধে আমরা হাওরপারের মানুষ দিনরাত একাকার করে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় লড়ছি। এ বাঁধটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে বিকল্প আরেকটি বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।’
হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, ‘এবার কয়েকটি বাঁধে নিম্নমানের কাজ করায় বাঁধগুলো দুর্বল হওয়াতে বৃষ্টি ও পানির চাপে এসব বাঁধ ফাটল ও ধসে পড়ছে।’
হামহামি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, ‘পাউবোর নীতিমালা অনুয়ায়ী বাঁধের কাজ করেছি। নদীর পানির চাপে বাঁধের একটি অংশ ধসে গেছে। আমি বাঁধটি টেকসই করতে বস্তা, বাঁশ লাগিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
আহমেদ আলী জানান, ‘১৫ লাখ টাকার প্রকল্পে এখন পর্যন্ত বিল পেয়েছি সাত লাখ টাকা। ধারদেনা করে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাঁধের কাজ করেছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, ‘ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় মেরামত ও সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের পাশে আরেকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘হামহামি বেড়িবাঁধসহ ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পগুলো আমরা সার্বক্ষণিক তদারকিতে রেখেছি।’
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওরের হামহামির ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় চার দিন ধরে লড়ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতাধীন ৪ নম্বর প্রকল্পের হামহামি বাঁধ প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় সোমবার স্লুইসগেটে বিকল্প আরেকটি বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর আগে শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ওই বাঁধটি পরিদর্শন করে প্রকল্প রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতাধীন ৪ নম্বর প্রকল্পের হামহামি বাঁধে ফাটল দেখা দিলে এলাকাবাসীরা দ্রুত ধসে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ শুরু করে। প্রাণপণ প্রচেষ্টায় তাঁরা কোনো রকমে বাঁধটি রক্ষা করেন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ফের বাঁধের মাটি ধসে পড়লে বাঁধটি রক্ষায় লড়াইয়ে নামেন ৩ শতাধিক কৃষক। এরপরও বাঁধটি ঝুঁকিতে থাকায় বিকল্প আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া কামারখালী নদীর তীরে অবস্থিত হামহামির বেড়িবাঁধটির দুপাশে মাটি দিয়ে বাঁশ পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাঁধের একপাশের মাটি ও বাঁশের বেড়া ধসে পড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির লোকজন কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে বস্তায় বালু ভরে বাঁশ দিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে এলাকার কয়েকজন কৃষকও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
স্থানীয় কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এই জায়গায় সঠিকভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশে মাটি সরে গেছে।’
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষক নেতা হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গত টানা চার দিন ধরে হামহামির বেড়িবাঁধে আমরা হাওরপারের মানুষ দিনরাত একাকার করে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় লড়ছি। এ বাঁধটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে বিকল্প আরেকটি বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।’
হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, ‘এবার কয়েকটি বাঁধে নিম্নমানের কাজ করায় বাঁধগুলো দুর্বল হওয়াতে বৃষ্টি ও পানির চাপে এসব বাঁধ ফাটল ও ধসে পড়ছে।’
হামহামি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, ‘পাউবোর নীতিমালা অনুয়ায়ী বাঁধের কাজ করেছি। নদীর পানির চাপে বাঁধের একটি অংশ ধসে গেছে। আমি বাঁধটি টেকসই করতে বস্তা, বাঁশ লাগিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
আহমেদ আলী জানান, ‘১৫ লাখ টাকার প্রকল্পে এখন পর্যন্ত বিল পেয়েছি সাত লাখ টাকা। ধারদেনা করে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাঁধের কাজ করেছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, ‘ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় মেরামত ও সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের পাশে আরেকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘হামহামি বেড়িবাঁধসহ ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পগুলো আমরা সার্বক্ষণিক তদারকিতে রেখেছি।’
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
২২ মিনিট আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
৩৬ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
৪১ মিনিট আগে