জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
খনন না করায় নাব্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তসীমান্ত নদী কুশিয়ারা। প্রতিবছর আগাম বন্যায় আক্রন্ত হচ্ছে নদীরপারের বাসিন্দারা। দ্রুত নদী খনন করা না হলে জেগে ওঠা চর দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মিঠাপানির ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। পলি পড়ার কারণে নদীর প্রবাহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে প্রাক্মৌসুমি বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি, নদীর নাব্যতা হ্রাস এবং কৃষি ও জনবসতি ভাঙনের কবলে পড়ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে কুশিয়ারা নদী দিয়ে জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ বাজারে বড় বড় নৌযানে করে মালামাল নিয়ে আসা হতো। নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও কুশিয়ারায় নাব্য না থাকায় নৌপরিবহনব্যবস্থা এখন আর নেই। নদী খননের অভাবে বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে চর। তা ছাড়া কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে যুক্ত নদীগুলো পরিণত হয়েছে ‘মরা খালে’। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওর এলাকার মানুষ।
স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক মানুষ জানান, কুশিয়ারা নদীতে ছোট-বড় ডলফিন, শুশুক ইলিশসহ অনেক প্রজাতির মাছ দেখা যেত। নদীতে চলত পাল তোলা নৌকা। লঞ্চ, স্টিমার ও জাহাজ চলত বছরজুড়ে। ঘাটে ঘাটে ছিল নৌকার ভিড়। ছিল কুলি-শ্রমিকদের কোলাহল। কুশিয়ারা নদীকে কেন্দ্র করে রাণীগঞ্জ বাজার ছিল কর্মতৎপর এলাকা। কুশিয়ারা নদীর সেচের পানিতে আশপাশের এলাকায় চাষাবাদ হতো। অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন ছিল এই কুশিয়ারা।
নদীরপারের স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম জিলহজ বলেন, ‘একসময় দেখেছি বিশাল এক কুশিয়ারা। এখন তো পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া যায়। দ্রুত এই নদী খনন করা না হলে চর দখল হয়ে যাবে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা বলেন, ‘কুশিয়ারা নদী নাব্যতা হারিয়েছে। যে নদীতে একসময় জাহাজ, বড় বড় স্টিমার চলত, সেই নদীতে এখন নৌকা চলাচলই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নদীর গতিপথ নষ্ট হচ্ছে, নাব্যতা হারাচ্ছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে চর পড়ছে নদীগুলোতে। দেখা দিচ্ছে আগাম বন্যা। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট শাখা নদীর সঙ্গে হাওরগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। ফসলি জমিতে জেগেছে চর। বিভিন্ন স্থানে নদীর তীরও দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে নদী খননে পাইপলাইনের যে প্রকল্প চলমান রয়েছে, তাতে কুশিয়ারার নাম নেই। তবে আগামীতে এ নিয়ে কাজ করা হবে।’
খনন না করায় নাব্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তসীমান্ত নদী কুশিয়ারা। প্রতিবছর আগাম বন্যায় আক্রন্ত হচ্ছে নদীরপারের বাসিন্দারা। দ্রুত নদী খনন করা না হলে জেগে ওঠা চর দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মিঠাপানির ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। পলি পড়ার কারণে নদীর প্রবাহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে প্রাক্মৌসুমি বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি, নদীর নাব্যতা হ্রাস এবং কৃষি ও জনবসতি ভাঙনের কবলে পড়ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে কুশিয়ারা নদী দিয়ে জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ বাজারে বড় বড় নৌযানে করে মালামাল নিয়ে আসা হতো। নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও কুশিয়ারায় নাব্য না থাকায় নৌপরিবহনব্যবস্থা এখন আর নেই। নদী খননের অভাবে বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে চর। তা ছাড়া কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে যুক্ত নদীগুলো পরিণত হয়েছে ‘মরা খালে’। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওর এলাকার মানুষ।
স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক মানুষ জানান, কুশিয়ারা নদীতে ছোট-বড় ডলফিন, শুশুক ইলিশসহ অনেক প্রজাতির মাছ দেখা যেত। নদীতে চলত পাল তোলা নৌকা। লঞ্চ, স্টিমার ও জাহাজ চলত বছরজুড়ে। ঘাটে ঘাটে ছিল নৌকার ভিড়। ছিল কুলি-শ্রমিকদের কোলাহল। কুশিয়ারা নদীকে কেন্দ্র করে রাণীগঞ্জ বাজার ছিল কর্মতৎপর এলাকা। কুশিয়ারা নদীর সেচের পানিতে আশপাশের এলাকায় চাষাবাদ হতো। অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন ছিল এই কুশিয়ারা।
নদীরপারের স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম জিলহজ বলেন, ‘একসময় দেখেছি বিশাল এক কুশিয়ারা। এখন তো পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া যায়। দ্রুত এই নদী খনন করা না হলে চর দখল হয়ে যাবে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা বলেন, ‘কুশিয়ারা নদী নাব্যতা হারিয়েছে। যে নদীতে একসময় জাহাজ, বড় বড় স্টিমার চলত, সেই নদীতে এখন নৌকা চলাচলই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নদীর গতিপথ নষ্ট হচ্ছে, নাব্যতা হারাচ্ছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে চর পড়ছে নদীগুলোতে। দেখা দিচ্ছে আগাম বন্যা। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট শাখা নদীর সঙ্গে হাওরগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। ফসলি জমিতে জেগেছে চর। বিভিন্ন স্থানে নদীর তীরও দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে নদী খননে পাইপলাইনের যে প্রকল্প চলমান রয়েছে, তাতে কুশিয়ারার নাম নেই। তবে আগামীতে এ নিয়ে কাজ করা হবে।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
১৯ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
২৯ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে