Ajker Patrika

হত্যা মামলার ৮ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন 

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৩৬
হত্যা মামলার ৮ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন 

মৌলভীবাজারের ব্যাংক কর্মকর্তা প্রণজিত পাল হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আজ সোমবার সকালে হত্যা মামলায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পি পি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল। আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন রিপন পাল। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনোহর কোনা গ্রামের মৃত রবীন্দ্র কুমার পাল ওরফে রবি পালের ছেলে। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার মনোহর কোনা গ্রামের যোগেন্দ্র পালের ছেলে বিমল পাল, মৃত রবীন্দ্র কুমার পালের ছেলে উত্তম পাল, অনিল চন্দ্র পালের ছেলে আশীষ পাল, মৃত তারণ পালের ছেলে চিত্তরঞ্জন পাল ওরফে চিত্ত পাল। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ জুন রাত ৯টায় মৌলভীবাজার শমশেরনগর রোডের চট্টগ্রাম স্যানিটারি দোকানের সামনে আসামিরা প্রণজিত পালকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে নেন। এ সময় রিপন পাল ডেগার (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে প্রণজিত পালের বাঁ ঊরুতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় প্রণজিতকে ধরে রাখে অন্য আসামিরা। পরে এ মামলার সাক্ষীরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে প্রণজিত পালের স্ত্রী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন। পরবর্তী সময় মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে পাঠানো হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত