আসাদ সরকার
বেশ মজা করে কথা বলেন দরছ আলী—‘ছোটবেলায় একটা অসুখ হইল, হাজার চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। এক ডাক্তার কইল, ওষুধ খাইবা আর সব সময় আনন্দে থাকবা। পেটে নাই ভাত, থাকতে কয় আনন্দে!’ কথাটা বলে একটা প্রাণখোলা হাসি দিলেন। তারপর শোনালেন আনন্দে থাকার ব্যর্থ চেষ্টার গল্প।
হঠাৎ একদিন দারিয়াপুর হাটে দেখা হয় বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের সঙ্গে। তিনি সেখানে পাবনা থেকে গান করতে এসেছিলেন। সারা দিন তাঁর পেছনে ঘুরে গান শুনে একসময় লক্ষ করেন, দিনটা বেশ আনন্দেই কেটেছে তাঁর। পেটের ক্ষুধা শুধু নয়, বুকের অসুখটাও আর কষ্ট দেয়নি। বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের কাছে সব খুলে বলে সেই দিনই শিষ্য হয়ে যান তাঁর।
কথাগুলো দেওয়ান দরছ আলীর। গাইবান্ধা জেলার খিদির মধ্যপাড়া মালিবাড়ির মানুষ তিনি। এলাকায় পরিচিত পাঁচ ফকিরের গানের শিল্পী হিসেবে। গাইবান্ধাসহ পাশের কয়েকটা জেলায় ‘পাঁচ ফকিরের গান’ নামে একধরনের পালা বা গানের লড়াই বেশ জনপ্রিয় ছিল। যেখানে পাঁচজন বাউল ফকির একসঙ্গে মেতে ওঠেন গানের লড়াইয়ে। কে কাকে প্রশ্নবাণে আটকাতে পারেন কিংবা কে কত অজানা তথ্য দিতে পারেন, এই নিয়ে হতো লড়াই। দেওয়ান দরছ আলী এ গানের লড়াইয়ের মূল শিল্পী। লড়াইয়ের বিষয়বস্তু গানের শুরুতে তিনিই উপস্থাপন করেন। তারপর তাঁর সঙ্গে মত-দ্বিমতে জমে ওঠে লড়াই। সাধারণত লড়াইয়ের বিষয়বস্তু হয় হকিকত-তরিকত, শরিয়ত-মারফত, ইহকাল-পরকাল, হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ ইত্যাদি। এ লড়াইয়ের মূল উদ্দেশ্য কাউকে হারানো নয়, পাল্টাপাল্টি যুক্তির মধ্যে কিছু তথ্য মানুষের কাছে পরিষ্কার করা। আর তাই পালা শেষে পাঁচ ফকিরই বিজয়ী হন।
জনপ্রিয় ধারাটি এই এলাকা থেকে এখন প্রায় বিলুপ্ত। অনেকের মতে, প্রচলিত ‘কবিগানের লড়াই’ মূলত ‘পাঁচ ফকিরের গান’-এর পরিমার্জিত বা পরিবর্তিত রূপ। পাঁচ ফকিরের গানে পাঁচজন শিল্পীর বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ থাকে। এঁদের একজন যখন গান পরিবেশন করেন, তখন বাকিরা প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও গানে অংশ নেন এবং এক বিশেষ ধরনের অঙ্গভঙ্গিতে অংশ নেন। কবিগানের লড়াইয়ে যা দেখা যায় না। এর সদস্যসংখ্যাও মাত্র দুজন।
দরছ আলী বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের সঙ্গে চলে যান ১৪ বছর বয়সে। ছয় বছর তাঁর সঙ্গে থেকে গান শিখে বাড়ি ফেরেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেন শিল্পী হিসেবে। গঠন করেন ‘পাঁচ ফকিরের গান’-এর দল। এখন তাঁর বয়স ৬৮ বছর। আগের মতো অনুষ্ঠান নেই তাঁর। তাই অভাব বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গে সম্মানও বেড়েছে বলে জানান তিনি। শিল্পী হিসেবে মাসিক ভাতা পান সরকার থেকে। তাঁর ভাষায়, ‘গান আমাক ভালো থাকতে শিখাইছে। হাজার কষ্টেও মুখ থাকি গান সরে না। বরং গান ধইরলে দুঃখ চলে যায়।’ পুরোনো রোগের কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘মুখে গান থাকলে টেনশন নাই। আর টেনশন না থাইকলে রোগও নাই।’
বেশ মজা করে কথা বলেন দরছ আলী—‘ছোটবেলায় একটা অসুখ হইল, হাজার চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। এক ডাক্তার কইল, ওষুধ খাইবা আর সব সময় আনন্দে থাকবা। পেটে নাই ভাত, থাকতে কয় আনন্দে!’ কথাটা বলে একটা প্রাণখোলা হাসি দিলেন। তারপর শোনালেন আনন্দে থাকার ব্যর্থ চেষ্টার গল্প।
হঠাৎ একদিন দারিয়াপুর হাটে দেখা হয় বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের সঙ্গে। তিনি সেখানে পাবনা থেকে গান করতে এসেছিলেন। সারা দিন তাঁর পেছনে ঘুরে গান শুনে একসময় লক্ষ করেন, দিনটা বেশ আনন্দেই কেটেছে তাঁর। পেটের ক্ষুধা শুধু নয়, বুকের অসুখটাও আর কষ্ট দেয়নি। বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের কাছে সব খুলে বলে সেই দিনই শিষ্য হয়ে যান তাঁর।
কথাগুলো দেওয়ান দরছ আলীর। গাইবান্ধা জেলার খিদির মধ্যপাড়া মালিবাড়ির মানুষ তিনি। এলাকায় পরিচিত পাঁচ ফকিরের গানের শিল্পী হিসেবে। গাইবান্ধাসহ পাশের কয়েকটা জেলায় ‘পাঁচ ফকিরের গান’ নামে একধরনের পালা বা গানের লড়াই বেশ জনপ্রিয় ছিল। যেখানে পাঁচজন বাউল ফকির একসঙ্গে মেতে ওঠেন গানের লড়াইয়ে। কে কাকে প্রশ্নবাণে আটকাতে পারেন কিংবা কে কত অজানা তথ্য দিতে পারেন, এই নিয়ে হতো লড়াই। দেওয়ান দরছ আলী এ গানের লড়াইয়ের মূল শিল্পী। লড়াইয়ের বিষয়বস্তু গানের শুরুতে তিনিই উপস্থাপন করেন। তারপর তাঁর সঙ্গে মত-দ্বিমতে জমে ওঠে লড়াই। সাধারণত লড়াইয়ের বিষয়বস্তু হয় হকিকত-তরিকত, শরিয়ত-মারফত, ইহকাল-পরকাল, হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ ইত্যাদি। এ লড়াইয়ের মূল উদ্দেশ্য কাউকে হারানো নয়, পাল্টাপাল্টি যুক্তির মধ্যে কিছু তথ্য মানুষের কাছে পরিষ্কার করা। আর তাই পালা শেষে পাঁচ ফকিরই বিজয়ী হন।
জনপ্রিয় ধারাটি এই এলাকা থেকে এখন প্রায় বিলুপ্ত। অনেকের মতে, প্রচলিত ‘কবিগানের লড়াই’ মূলত ‘পাঁচ ফকিরের গান’-এর পরিমার্জিত বা পরিবর্তিত রূপ। পাঁচ ফকিরের গানে পাঁচজন শিল্পীর বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ থাকে। এঁদের একজন যখন গান পরিবেশন করেন, তখন বাকিরা প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও গানে অংশ নেন এবং এক বিশেষ ধরনের অঙ্গভঙ্গিতে অংশ নেন। কবিগানের লড়াইয়ে যা দেখা যায় না। এর সদস্যসংখ্যাও মাত্র দুজন।
দরছ আলী বাউল আব্দুল জব্বার ফকিরের সঙ্গে চলে যান ১৪ বছর বয়সে। ছয় বছর তাঁর সঙ্গে থেকে গান শিখে বাড়ি ফেরেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেন শিল্পী হিসেবে। গঠন করেন ‘পাঁচ ফকিরের গান’-এর দল। এখন তাঁর বয়স ৬৮ বছর। আগের মতো অনুষ্ঠান নেই তাঁর। তাই অভাব বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গে সম্মানও বেড়েছে বলে জানান তিনি। শিল্পী হিসেবে মাসিক ভাতা পান সরকার থেকে। তাঁর ভাষায়, ‘গান আমাক ভালো থাকতে শিখাইছে। হাজার কষ্টেও মুখ থাকি গান সরে না। বরং গান ধইরলে দুঃখ চলে যায়।’ পুরোনো রোগের কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘মুখে গান থাকলে টেনশন নাই। আর টেনশন না থাইকলে রোগও নাই।’
পুলিশি হেফাজত থেকে যুবক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার বরিশাল স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দুই কর্মকর্তাসহ চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) রেজা ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুব। বাকি দুজন কনস্টেবল।
১১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিহত শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। আজ বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সরাতৈল গ্রামে সরাতৈল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা হয়। পরে তাঁকে দাফন করা হয় পাশের জান্নাতুল বাকি...
১৩ মিনিট আগেশিক্ষার মান উন্নয়নে শিল্প খাতের মতামত জরুরি উল্লেখ করে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, শিক্ষার সঙ্গে শিল্প ও চাকরির প্রয়োজনীয়তার মধ্যে বড় একটি ব্যবধান রয়েছে। তাই পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ ও ক্যারিয়ার গাইডেন্সের গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে...
৩১ মিনিট আগেসাম্য খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ বলছে, তিনজনই মাদকসেবী। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন মাদক সেবন করতে। এ সময় মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁরা সাম্যকে ছুরিকাঘাতে....
১ ঘণ্টা আগে