মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
হাসপাতালে ভর্তি স্বামী। সড়ক দিয়ে হেঁটে সেখানে দ্রুত যাচ্ছিলেন গৃহবধূ আকলিমা (২৫)। পথে তাঁর চোখে পড়ে ডাবের ফেরিওয়ালা। তিনি দাম জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা জানান প্রতিটি ডাব ১৪০ টাকা। এতে চমকে ওঠে আকলিমা বলেন, ‘হিম এক গ্লাস পানির দাম ১৪০ টাকা’। দর-কষাকষির পরেও কম দামে ডাব বেচতে নারাজ বিক্রেতা। আজ শনিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর শহরের থানা মোড় এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গেছে।
থানা মোড় এলাকায় কথা হয় ডাবের ক্রেতা গৃহবধূ আকলিমার সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পেটের পীড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি দ্রুতই সেখানে যাচ্ছেন। পথে ফেরিওয়ালা দেখে তাঁর স্বামীর জন্য ডাব কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু দাম নিয়ে চিন্তায় পড়েন। আকলিমা বলেন, ‘এর আগে কোনো দিন এত টাকা দিয়ে ডাব কিনে খাইনি। স্বামী হাসপাতালে রয়েছে তাই পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে ১৪০ টাকা দিয়ে ডাব কিনতেছি। এতে হয়তোবা এক থেকে দেড় গ্লাস পানি হবে।’
জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের তীব্র গরমে বড় আকারের প্রতিটি ডাব যেখানে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই একই আকারের ডাব আষাঢ়ে প্রতিটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝারি আকারের ডাব ১২০ ও ছোট ডাব ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম ও আবহাওয়া জনিতে কারণে পেটের পীড়ায় ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সুযোগে বিক্রেতা সংকটের অজুহাতে ডাবের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ডাব গাছের মালিকদের রয়েছে উল্টো অভিযোগ, বাজারে যে দরে ডাব বিক্রি হয় এর অর্ধেক টাকাও পান না তাঁরা। ফেরিওয়ালারা এসে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় প্রতিটি ডাব কিনে নিয়ে যান। এর চেয়ে বেশি দাম দেওয়া হয় না।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের হাজী আজহার আলী বলেন, ‘বাড়ির পাশ দিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাছ রয়েছে। ডাবও ধরে প্রচুর। মাঝে মাঝে ফেরিওয়ালারা এসে কিনে নিয়ে যায়। গত সপ্তাহেই ৫৫ টাকা দরে ডাব বিক্রি করেছি। কিন্তু ওই ডাব বাজারে গিয়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।’
দুর্গাপুর পৌর সদর বাজারে ফেরি করে ডাব বিক্রি করেন কাওসার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিনই বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে ফেরি করে ডাব বিক্রি করি।’
গ্রাম থেকে কমদামে ডাব কিনে এত বেশি দামে বিক্রি করার বিষয়ে কাওসার বলেন, ‘গ্রাম থেকে আমরা ডাব কিনি ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কিন্তু ডাব গাছে উঠানামা খুবই বিপজ্জনক ও কষ্টের কাজ। এখন বর্ষাকাল আরও ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির পানিতে গাছ পিছলে হয়ে যায়। তা ছাড়া সারাদিন ঘুরে ডাব ক্রয় করে ভ্যানভাড়া করে আনতে হয় ও বাইরে দু বেলা খাবার বাবদ আরও খরচ যোগ হয়। এ জন্য কমদামে ডাব কিনলেও বেশি দামে বিক্রি না করলে পোষায় না।’
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, ‘উপজেলায় নির্দিষ্ট কোনো ডাবের বাগান নেই। পারিবারিক চাহিদা ও শখের বশে মানুষ ডাব গাছ লাগান। এ কারণে গাছের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই জন্য চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সংকট রয়েছে। ফলে ডাবের দাম এখন অনেক বেশি।’
ডাবের পানিতে অনেক উপকার থাকার কথা জানান কুন্তলা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ডাব ছাড়াও নারিকেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। এ জন্য চাহিদা মিটাতে সবার বাড়ির আঙিনায় ও জমির ধারেও ডাবগাছ লাগানো উচিত।’
হাসপাতালে ভর্তি স্বামী। সড়ক দিয়ে হেঁটে সেখানে দ্রুত যাচ্ছিলেন গৃহবধূ আকলিমা (২৫)। পথে তাঁর চোখে পড়ে ডাবের ফেরিওয়ালা। তিনি দাম জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা জানান প্রতিটি ডাব ১৪০ টাকা। এতে চমকে ওঠে আকলিমা বলেন, ‘হিম এক গ্লাস পানির দাম ১৪০ টাকা’। দর-কষাকষির পরেও কম দামে ডাব বেচতে নারাজ বিক্রেতা। আজ শনিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর শহরের থানা মোড় এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গেছে।
থানা মোড় এলাকায় কথা হয় ডাবের ক্রেতা গৃহবধূ আকলিমার সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পেটের পীড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি দ্রুতই সেখানে যাচ্ছেন। পথে ফেরিওয়ালা দেখে তাঁর স্বামীর জন্য ডাব কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু দাম নিয়ে চিন্তায় পড়েন। আকলিমা বলেন, ‘এর আগে কোনো দিন এত টাকা দিয়ে ডাব কিনে খাইনি। স্বামী হাসপাতালে রয়েছে তাই পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে ১৪০ টাকা দিয়ে ডাব কিনতেছি। এতে হয়তোবা এক থেকে দেড় গ্লাস পানি হবে।’
জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের তীব্র গরমে বড় আকারের প্রতিটি ডাব যেখানে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই একই আকারের ডাব আষাঢ়ে প্রতিটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝারি আকারের ডাব ১২০ ও ছোট ডাব ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম ও আবহাওয়া জনিতে কারণে পেটের পীড়ায় ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সুযোগে বিক্রেতা সংকটের অজুহাতে ডাবের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ডাব গাছের মালিকদের রয়েছে উল্টো অভিযোগ, বাজারে যে দরে ডাব বিক্রি হয় এর অর্ধেক টাকাও পান না তাঁরা। ফেরিওয়ালারা এসে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় প্রতিটি ডাব কিনে নিয়ে যান। এর চেয়ে বেশি দাম দেওয়া হয় না।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের হাজী আজহার আলী বলেন, ‘বাড়ির পাশ দিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাছ রয়েছে। ডাবও ধরে প্রচুর। মাঝে মাঝে ফেরিওয়ালারা এসে কিনে নিয়ে যায়। গত সপ্তাহেই ৫৫ টাকা দরে ডাব বিক্রি করেছি। কিন্তু ওই ডাব বাজারে গিয়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।’
দুর্গাপুর পৌর সদর বাজারে ফেরি করে ডাব বিক্রি করেন কাওসার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিনই বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে ফেরি করে ডাব বিক্রি করি।’
গ্রাম থেকে কমদামে ডাব কিনে এত বেশি দামে বিক্রি করার বিষয়ে কাওসার বলেন, ‘গ্রাম থেকে আমরা ডাব কিনি ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কিন্তু ডাব গাছে উঠানামা খুবই বিপজ্জনক ও কষ্টের কাজ। এখন বর্ষাকাল আরও ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির পানিতে গাছ পিছলে হয়ে যায়। তা ছাড়া সারাদিন ঘুরে ডাব ক্রয় করে ভ্যানভাড়া করে আনতে হয় ও বাইরে দু বেলা খাবার বাবদ আরও খরচ যোগ হয়। এ জন্য কমদামে ডাব কিনলেও বেশি দামে বিক্রি না করলে পোষায় না।’
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, ‘উপজেলায় নির্দিষ্ট কোনো ডাবের বাগান নেই। পারিবারিক চাহিদা ও শখের বশে মানুষ ডাব গাছ লাগান। এ কারণে গাছের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই জন্য চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সংকট রয়েছে। ফলে ডাবের দাম এখন অনেক বেশি।’
ডাবের পানিতে অনেক উপকার থাকার কথা জানান কুন্তলা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ডাব ছাড়াও নারিকেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। এ জন্য চাহিদা মিটাতে সবার বাড়ির আঙিনায় ও জমির ধারেও ডাবগাছ লাগানো উচিত।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১ সেকেন্ড আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৩৮ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগে