শেরপুর প্রতিনিধি
‘আমার ভাইটারে কেউ আইনা দেও তোমরা। আমগর বংশে বাতি জ্বালানোরও যে কেউ থাকল না। আমার ভাইয়ের সন্তান দুইটা বাঁইচা থাকলেও নিজেরে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। এখন কেডা আমগর খোঁজখবর নিব। কেডা আমার বুড়া বাবা-মাটারে দেইখা রাখব।’
পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শেরপুর সদরের মো. মোতালেব হোসেনের (৩৮) বড় বোন লাভলী বেগম (৪৫) এভাবেই আহাজারি করছিলেন। দুর্ঘটনায় মোতালেব, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনেরা দিশেহারা।
গতকাল বুধবার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় তাঁদের বহনকারী প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে নিহত আটজনের মধ্যে চারজনই শেরপুর সদরের। তাঁরা হলেন সেনাবাহিনীর বেসামরিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ রঘুনাথপুর গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব হোসেন, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (৪)।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোতালেব হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। দুই দিন আগে মোতালেব ও পিরোজপুরের বাসিন্দা তাঁর বন্ধু শাওন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারটি খালে পড়ে গেলে গাড়িতে থাকা আটজনই পানিতে ডুবে মারা যান। শাওন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
এদিকে ওই খবর মোতালেবের শেরপুরের গ্রামের বাড়ি পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উঠানে বসে আহাজারি করছেন মোতালেবের বৃদ্ধ বাবা-মা ও একমাত্র বোন। নিহতদের লাশ আনতে অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনেরা আজ ভোরে পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কাল শুক্রবার ভোরে গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছাতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, হতদরিদ্র নাজির উদ্দিন (৮০) ও ময়না বেগমের (৬৫) দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মোতালেব ছোট। আগে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। বছর তিনেক আগে চাকরি সরকারি হয়। সামান্য বসতভিটা ছাড়া তাঁদের আর কোনো সহায়-সম্পত্তি নেই। মোতালেব সংসারের খরচ চালাতেন। স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এখন পরিবারের খরচ চালানোই দায় হয়ে যাবে পরিবারটির। এখন মোতালেবের বৃদ্ধ মা–বাবাকে কে দেখবে, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মোতালেব ভাই খুবই নম্র–ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় তিনিই পুরো সংসারটা চালাতেন। এখন পরিবারটি অসহায় হয়ে গেল।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ইন্তাজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সংসার চালানোর মতো আর কেউ রইল না। মোতালেবের অনুপস্থিতিতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা কীভাবে চলবেন—সেটাই চিন্তার বিষয়। আমি শেরপুরের সন্তান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ-জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে এই পরিবারের জন্য তিনি কিছু করেন।’
‘আমার ভাইটারে কেউ আইনা দেও তোমরা। আমগর বংশে বাতি জ্বালানোরও যে কেউ থাকল না। আমার ভাইয়ের সন্তান দুইটা বাঁইচা থাকলেও নিজেরে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। এখন কেডা আমগর খোঁজখবর নিব। কেডা আমার বুড়া বাবা-মাটারে দেইখা রাখব।’
পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শেরপুর সদরের মো. মোতালেব হোসেনের (৩৮) বড় বোন লাভলী বেগম (৪৫) এভাবেই আহাজারি করছিলেন। দুর্ঘটনায় মোতালেব, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনেরা দিশেহারা।
গতকাল বুধবার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় তাঁদের বহনকারী প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে নিহত আটজনের মধ্যে চারজনই শেরপুর সদরের। তাঁরা হলেন সেনাবাহিনীর বেসামরিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ রঘুনাথপুর গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব হোসেন, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (৪)।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোতালেব হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। দুই দিন আগে মোতালেব ও পিরোজপুরের বাসিন্দা তাঁর বন্ধু শাওন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারটি খালে পড়ে গেলে গাড়িতে থাকা আটজনই পানিতে ডুবে মারা যান। শাওন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
এদিকে ওই খবর মোতালেবের শেরপুরের গ্রামের বাড়ি পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উঠানে বসে আহাজারি করছেন মোতালেবের বৃদ্ধ বাবা-মা ও একমাত্র বোন। নিহতদের লাশ আনতে অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনেরা আজ ভোরে পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কাল শুক্রবার ভোরে গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছাতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, হতদরিদ্র নাজির উদ্দিন (৮০) ও ময়না বেগমের (৬৫) দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মোতালেব ছোট। আগে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। বছর তিনেক আগে চাকরি সরকারি হয়। সামান্য বসতভিটা ছাড়া তাঁদের আর কোনো সহায়-সম্পত্তি নেই। মোতালেব সংসারের খরচ চালাতেন। স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এখন পরিবারের খরচ চালানোই দায় হয়ে যাবে পরিবারটির। এখন মোতালেবের বৃদ্ধ মা–বাবাকে কে দেখবে, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মোতালেব ভাই খুবই নম্র–ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় তিনিই পুরো সংসারটা চালাতেন। এখন পরিবারটি অসহায় হয়ে গেল।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ইন্তাজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সংসার চালানোর মতো আর কেউ রইল না। মোতালেবের অনুপস্থিতিতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা কীভাবে চলবেন—সেটাই চিন্তার বিষয়। আমি শেরপুরের সন্তান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ-জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে এই পরিবারের জন্য তিনি কিছু করেন।’
রাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
৫ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
১৫ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১২০ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
১৮ মিনিট আগেমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন গণপিটুনির শিকার রূপলাল দাস ও প্রদীপ লাল। দুই হাতজোড় করে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাত না।’ তবুও শেষরক্ষা হয়নি রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালের। তাঁদের সেই মর্মস্পর্শী আকুতির ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দেখে অনেকেই..
১৮ মিনিট আগে