Ajker Patrika

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণ উৎসব শুরু

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ২১: ৫৫
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণ উৎসব শুরু

দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহের লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফ।

লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ। 

প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন। 

দোল উৎসব ঘিরে বাউল সাধু ও লালন অনুসারীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা লালনের মাজারসংলগ্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে লালনের বাণী পরিবেশন করছেন। সেই সঙ্গে চলছে গুরু-শিষ্যের মধ্যে ভাব বিনিময়। আগামী সোমবার রাতে শেষ হবে লালন উৎসব। 

ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসবে উপস্থিত ভক্তরাএদিকে লালন স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কালী নদীর তীরে বিশাল এলাকাজুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এসে তাঁদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মেলায়।

বাউলসম্রাট লালন শাহ তাঁর জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পয়লা কার্তিক তাঁর মৃত্যুর পরও এই উৎসব চালিয়ে আসছে তাঁর অনুসারীরা। এবারও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এই স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে। 

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসবে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ভক্তরাকুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার শবে বরাতের কারণে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে অনুষ্ঠানমালা। ঐতিহাসিক এই লালন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে বসেছে লালন মেলা।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালন উৎসবকে ঘিরে প্রতিদিন লাখো দেশি-বিদেশি লালন অনুসারীদের সমাগম ঘটে ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে। তাই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো ছেঁউড়িয়া এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আছে ওয়াচ টাওয়ার এবং মেটাল ডিটেকটর গেট। বিদেশি অতিথিদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। লালন উৎসব শেষ হবে ৬ মার্চ রাতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত