Ajker Patrika

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লেপন, মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ২৪
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালো কালি মেখে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ম্যুরালের নিচে লেখা নামও বিকৃত করেছে দুর্বৃত্তরা। এমন একটি ছবি দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিষয়টি নজরে আসার পর আজ শুক্রবার দুপুরে সেই কালি মুছে দিয়েছে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন। কালি মুছে ম্যুরাল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটির ভেতর দুই দিন আগে হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। আজ দুপুরে কালি রিমুভ (মুছে) করা হয়েছে।’

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে কুমারখালী উপজেলা সীমানা শুরুর স্থান সদকী ইউনিয়নের হিজলাকর এলাকায় ২০১৫ সালের দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ম্যুরাল স্থাপন করে উপজেলা পরিষদ। ম্যুরালে থাকা কবির ছবির মুখমণ্ডল কালো কালিতে ঢাকা দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামের বানান দুটিও বিকৃতি করা হয়। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা থাকলেও তা অকেজো। ম্যুরালে কালি লাগানো একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন কুমারখালীর বাসিন্দা কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক।

সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মসলেম উদ্দীনের দাবি, ‘মাসখানেক আগেও এই সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে কালি লাগানো চোখে পড়েছিল।’

কুমারখালীর বাসিন্দা ও শান্তিনিকেতনের সাবেক শিক্ষার্থী রেফুল করিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কুমারখালীতে ঢাকা-কুষ্টিয়া হাইওয়ের পাশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলির স্মারক ফলকে রবীন্দ্রনাথের মুখমণ্ডল কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে স্থানে বসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের সিংহভাগ রচনা করেছিলেন, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন সাঁইজির চারণভূমি নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, সেখানকার মানুষের বিকৃত মস্তিষ্ক উদ্ভাসিত হলো কীভাবে?’

কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, কালি লাগানোর বিষয়টি জানার পরপরই শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। দুপুরে সেটি পরিষ্কার করা হয়েছে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ভিআইপি প্রটোকলে প্রায়ই কুমারখালীর এই স্থানে যাওয়া হয়। আগে কালিমা লেপনের বিষয়টি ঘটেনি। যা তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হয়েছে, ঈদের ছুটিতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি জানার পরপরই কালি মুছে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত