Ajker Patrika

৫ দিন ধরে জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবন

সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
৫ দিন ধরে জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবন

বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবন। টানা পাঁচ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর ও দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এবং পর্যটন কেন্দ্র করমজল। এতে এখনো পর্যন্ত বন বিভাগের স্থাপনায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বনজুড়ে কোথাও কোনো বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানাতে পারেনি বন বিভাগ। 

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমা তিথীর প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় সাগরে জোয়ারের পানি অনেকে বেড়েছে। ফলে অস্বাভাবিক জোয়ারে দুবলার চরে ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোথাও ২ ফুট আবার কোথাও কম-বেশি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন দুবার জোয়ারে পানি বাড়লেও ভাটা হলে আবার পানি নেমে যাচ্ছে।’ এই জলোচ্ছ্বাসে দুবলার কোথাও এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি তাঁর নজরে আসেনি। 

চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, পাঁচ দিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে করমজল। করমজলের রাস্তার ওপরে দেড় ফুট, আর বনের অভ্যন্তরে ৩-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে। পূর্ণিমার সময় সাধারণত জোয়ারের পানি বাড়ে। কিন্তু এবার মূলত সাগরে লঘুচাপের প্রভাবের কারণে পানির চাপও বেড়েছে। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘পানি বাড়লেও বনের ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত করমজলে কুমির, কচ্ছপ, হরিণ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণী নিরাপদে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের সময় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে আরও কিছু নতুন টিলা নির্মাণ প্রয়োজন। তাহলে বন্যপ্রাণী সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে।’ 

জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বাড়লেও তাতে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তেমন একটা নেই বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখেই বনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু উঁচু টিলা তৈরি করা হয়েছে। যাতে বনে পানি বাড়লে বন্যপ্রাণীগুলো সেসব উঁচু টিলায় আশ্রয় নিতে পারে। টিলার সুফলে এর আগেও বনের অভ্যন্তরে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট পানি বাড়লেও তখন কোনো প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘সাগরের নিম্নচাপ-লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও পূর্ণিমার কারণের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুটের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমলে এবং পূর্ণিমা শেষ হলে পানির চাপ কমে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত