জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া
একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে পশু নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিক্রি করতে না পেরে ফেরত আনতে হয়েছে। এখন সেই লাভের আশায় গুঁড়েবালি। ফেরত আনা গরুগুলো এখন ক্ষুদ্র খামারি ও ব্যাপারীদের গলার কাঁটা। গরু আনা-নেওয়াতে খরচ তো হয়েছেই, তার ওপর যে ধকল গেছে তা কাটাতে চিকিৎসা বাবদ পানির মতো টাকা নেমে যাচ্ছে। আর যতদিন বিক্রি না করতে না পারছেন খাবার খরচ চালিয়ে যেতে হবে। এমন বেহাল দশায় আছেন কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়ার কবুরহাট কদমতলার ক্ষুদ্র খামারি বিপ্লব হোসেন। হৃষ্টপুষ্ট করা তিনটি গরু লাভে বেচবেন বলে ঢাকায় নিয়ে যান। তাঁর মতো আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ট্রাক ভাড়া করেন। চারজন মোট ১০টি গরু নিয়ে গত ১৬ জুলাই ঢাকায় রওনা হন। ট্রাক যখন ঢাকার দিকে তখন খবর পান জায়গা নেই কোনো হাটে। গরুতে ঠাসা। সিদ্ধান্ত বদলে রওনা হন চট্টগ্রামের দিকে। সেখানে সাগরিকা হাটে গিয়েও দেখেন গরু রাখার জায়গা নেই। হাটের কাছে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বাঁধেন তাঁদের ১০টি গরু। সেখানেই দরদাম চলতে থাকে। প্রত্যাশার চেয়ে অর্ধেক দাম বলেন ক্রেতারা। শেষমেশ লোকসান দিয়ে সঙ্গীরা গরু বেচলেও বিপ্লব সব কটা গরু ফিরিয়ে আনেন। তিনি বলেন, ট্রাক ভাড়া হিসেবে ৫০ হাজার টাকার পুরোটাই জলে গেছে। আর গরু বেচে দিলে লোকসান হতো লাখের ওপর। তাই গরু ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি পৌঁছেছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাবে, শুধু কুষ্টিয়া জেলাতেই মোটাতাজা করা হয় আড়াই লাখ গরু। এর এক লাখই যায় রাজধানীর হাটে। এর অর্ধেকের বেশি এবার ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসেছে বলে ধারণা করছেন জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।
খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন ভাগের একভাগ গরুও বেচতে পারেননি তারা। ক্রেতারা দাম কম বলায় পরিবহন খরচের লোকসান মাথায় করেও গরু ফিরিয়ে এনেছেন তাঁরা।
কুষ্টিয়ার হরিপুরের মোলায়েম ব্যাপারী ঈদে বেচবেন বলে ঢাকায় গরু নিয়ে যান ১৩ টি। লোকসান দিয়ে নয়টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি বড় গরু বেচতেই পারেননি। এগুলো ফিরিয়ে এনেছেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই। আপাতত রেখেছেন কুষ্টিয়া শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি। তিনি এখন চিন্তায় আছেন, এসব গরুর পেছনে খাবারে যে টাকা খরচ হবে তাতে হাতের সব পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে। আর কোরবানির পরে বাজারে মাংসের চাহিদা এমনিতেই কমে যায়। ফলে এখন চাইলেই বিক্রিও করতে পারবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন মাস গরুগুলো পালন করতে হবে।
কিছু ব্যাপারী ফেরত আনা গরু বেঁধে রেখেছেন বাড়ির বারান্দায়। চুরির ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। সদরের কবুরহাট মালিথাপাড়ার আরিফুল ইসলাম ১১টি গরু কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন ঢাকা। সাতটি ফেরত এনেছেন। এগুলোর রাখার জায়গা নেই। বাড়ির বারান্দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পাহারা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, হাট খুললেই বেচে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার হাজী জিল্লুর রহমান তিনটি গরুই ফেরত এনেছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর যে দাম বলেন ক্রেতারা তাতে মাংসের হিসাবে মণপ্রতি ১০–১১ হাজার টাকা পড়ে। কিছুদিন আবার খাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে বেচলে দাম মণপ্রতি ২০ হাজারের ওপরে পাওয়া যাবে। তাতে কিছুটা লোকসান কম হবে।’
কোরবানি ঈদকে লক্ষ্য করে কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রায় প্রতি বাড়িতেই চলে গরু মোটাতাজা করা। এবার যাদের বড় গরু ছিল তাঁরা সবাই লোকসানের মুখে পড়েছেন। এই লোকসান কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।
একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে পশু নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিক্রি করতে না পেরে ফেরত আনতে হয়েছে। এখন সেই লাভের আশায় গুঁড়েবালি। ফেরত আনা গরুগুলো এখন ক্ষুদ্র খামারি ও ব্যাপারীদের গলার কাঁটা। গরু আনা-নেওয়াতে খরচ তো হয়েছেই, তার ওপর যে ধকল গেছে তা কাটাতে চিকিৎসা বাবদ পানির মতো টাকা নেমে যাচ্ছে। আর যতদিন বিক্রি না করতে না পারছেন খাবার খরচ চালিয়ে যেতে হবে। এমন বেহাল দশায় আছেন কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়ার কবুরহাট কদমতলার ক্ষুদ্র খামারি বিপ্লব হোসেন। হৃষ্টপুষ্ট করা তিনটি গরু লাভে বেচবেন বলে ঢাকায় নিয়ে যান। তাঁর মতো আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ট্রাক ভাড়া করেন। চারজন মোট ১০টি গরু নিয়ে গত ১৬ জুলাই ঢাকায় রওনা হন। ট্রাক যখন ঢাকার দিকে তখন খবর পান জায়গা নেই কোনো হাটে। গরুতে ঠাসা। সিদ্ধান্ত বদলে রওনা হন চট্টগ্রামের দিকে। সেখানে সাগরিকা হাটে গিয়েও দেখেন গরু রাখার জায়গা নেই। হাটের কাছে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বাঁধেন তাঁদের ১০টি গরু। সেখানেই দরদাম চলতে থাকে। প্রত্যাশার চেয়ে অর্ধেক দাম বলেন ক্রেতারা। শেষমেশ লোকসান দিয়ে সঙ্গীরা গরু বেচলেও বিপ্লব সব কটা গরু ফিরিয়ে আনেন। তিনি বলেন, ট্রাক ভাড়া হিসেবে ৫০ হাজার টাকার পুরোটাই জলে গেছে। আর গরু বেচে দিলে লোকসান হতো লাখের ওপর। তাই গরু ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি পৌঁছেছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাবে, শুধু কুষ্টিয়া জেলাতেই মোটাতাজা করা হয় আড়াই লাখ গরু। এর এক লাখই যায় রাজধানীর হাটে। এর অর্ধেকের বেশি এবার ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসেছে বলে ধারণা করছেন জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।
খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন ভাগের একভাগ গরুও বেচতে পারেননি তারা। ক্রেতারা দাম কম বলায় পরিবহন খরচের লোকসান মাথায় করেও গরু ফিরিয়ে এনেছেন তাঁরা।
কুষ্টিয়ার হরিপুরের মোলায়েম ব্যাপারী ঈদে বেচবেন বলে ঢাকায় গরু নিয়ে যান ১৩ টি। লোকসান দিয়ে নয়টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি বড় গরু বেচতেই পারেননি। এগুলো ফিরিয়ে এনেছেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই। আপাতত রেখেছেন কুষ্টিয়া শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি। তিনি এখন চিন্তায় আছেন, এসব গরুর পেছনে খাবারে যে টাকা খরচ হবে তাতে হাতের সব পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে। আর কোরবানির পরে বাজারে মাংসের চাহিদা এমনিতেই কমে যায়। ফলে এখন চাইলেই বিক্রিও করতে পারবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন মাস গরুগুলো পালন করতে হবে।
কিছু ব্যাপারী ফেরত আনা গরু বেঁধে রেখেছেন বাড়ির বারান্দায়। চুরির ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। সদরের কবুরহাট মালিথাপাড়ার আরিফুল ইসলাম ১১টি গরু কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন ঢাকা। সাতটি ফেরত এনেছেন। এগুলোর রাখার জায়গা নেই। বাড়ির বারান্দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পাহারা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, হাট খুললেই বেচে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার হাজী জিল্লুর রহমান তিনটি গরুই ফেরত এনেছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর যে দাম বলেন ক্রেতারা তাতে মাংসের হিসাবে মণপ্রতি ১০–১১ হাজার টাকা পড়ে। কিছুদিন আবার খাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে বেচলে দাম মণপ্রতি ২০ হাজারের ওপরে পাওয়া যাবে। তাতে কিছুটা লোকসান কম হবে।’
কোরবানি ঈদকে লক্ষ্য করে কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রায় প্রতি বাড়িতেই চলে গরু মোটাতাজা করা। এবার যাদের বড় গরু ছিল তাঁরা সবাই লোকসানের মুখে পড়েছেন। এই লোকসান কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রদল নেতা সুলতান বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে আজ মঙ্গলবার সকালে সুলতান বাপ্পীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন ঢাকায় গিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন ভেঙেছেন ২ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় ৩৭ ঘণ্টা পর সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে অনশন ভাঙেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেএবার পানিতে গেল যশোরের মনিরামপুর মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের সাড়ে তিন লাখ টাকা। টিআর ও কলেজ ফান্ডের বরাদ্দের টাকায় নদী খুঁড়ে বালু দিয়ে ভরাটের ১০-১৫ দিনের মাথায় ডুবে গেছে কলেজের মাঠ। এখন কলেজের মাঠে হাঁটুপানি। এ ছাড়া প্রায় এক ফুট পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে বন্ধ এতিমখানার কার্যক্রম। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলা হচ্ছে নিয়মিত। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি এতিমখানার কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে এই টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই এতিমখানার নাম ‘মোহাম্মদ আলী শিশুসদন’।
৮ ঘণ্টা আগে