Ajker Patrika

পন্টুন উদ্ধারের আগেই অর্ধকোটি টাকার মালামাল লোপাটের অভিযোগ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৭: ২৩
পন্টুন উদ্ধারের আগেই অর্ধকোটি টাকার মালামাল লোপাটের অভিযোগ

ডুবে যাওয়ার প্রায় চার মাস পর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) পন্টুনটির উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার কাজ শুরু হয়। তবে পন্টুনটিকে নদী থেকে পুরোপুরি উদ্ধারের আগেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন মালামাল লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মোংলা নদীতে এ পন্টুনটি ডুবে যায়। চলতি মাসে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হলে ঝুঁকিমুক্ত হবে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলে কার্গো-লাইটার জাহাজসহ নৌ চলাচল।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মোংলা কুমারখালীর পরিত্যক্ত স্টিমার ঘাটের পন্টুনটি ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলটির মাঝখানে শিকল ছিঁড়ে ডুবে যায়। মোংলা সমুদ্র বন্দর হয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক এ চ্যানেলটি দিয়ে কার্গো-লাইটার ও বড় গ্যাসের জাহাজ এবং পণ্য বোঝাই নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। 

এ অবস্থায় ডুবন্ত এ পন্টুনটি তুলতে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ আদেশের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ভ্যাটসহ ৬০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ধার্য করে ঢাকার মেসার্স আনফিল্লা ট্রেডার্স নামের এক কোম্পানিকে পন্টুনটি উত্তোলন করে দ্রুত চ্যানেলটি নৌযান চলাচলে ঝুঁকিমুক্ত করার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনফিল্লা ট্রেডার্স। 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, কাজ শুরুর আগে স্টিমার ঘাটটির প্রায় অর্ধকোটি টাকার মূল্যবান সরকারি যন্ত্রাংশ, পিলার, সিঁড়ি, শিকল ও অ্যাংকারসহ অন্যান্য মালামাল গোপনে কেটে নিয়ে গেছে একটি চোর গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনা স্থানীয়দের নজরে আসায় বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানালে যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধারের জন্য মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুল হক। 

মালামালের আংশিক কেটে নেওয়ার তথ্য স্বীকার করে মেসার্স আনফিল্লা ট্রেডার্সের পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘কর্মস্থল থেকে যারাই এ মালামালগুলো কেটে নিয়েছে এর জন্য সরকারিভাবে যে দায়ভার আসে, তা আমরা বহন করব।’ এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

তবে এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতসহ অন্যান্য সময় যে মালামাল লোপাট হয়েছে সে সম্পর্কে তাদের প্রতিষ্ঠান কোনো দায় দায়িত্ব নেবেন না বলেও জানান বেলাল হোসাইন। 

বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুল হক বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে যন্ত্রাংশ নিয়েছে; তার জামানত থেকে টাকা কেটে রাখা হবে। পাচার হওয়া অন্যান্য মালামালের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া থানায় দেওয়া অভিযোগের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। 

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলের মোংলা নদীতে ডুবন্ত পন্টুনটির মালামাল লোপাটের ঘটনায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর তদন্তও চলছে। মালামাল উদ্ধার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত