Ajker Patrika

শিক্ষকের ওপর হামলা, মধ্যরাতে উত্তাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

খুবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৩ মে ২০২৫, ১১: ১২
খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির ওপর সাবেক এক শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আহত শিক্ষককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নোমান কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষক হাসান মাহমুদের গায়ে হাত দিয়ে আঘাত করেন।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত নোমানকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নজিরবিহীন এবং ন্যক্কারজনক। তাঁরা অভিযুক্ত সাবেক শিক্ষার্থী নোমানকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে রাত ১টার দিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুবি শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপাচার্য বলেন, ‘আমি নির্বাক। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা একটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ, যা চিন্তা করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা একটিও ঘটেনি। একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা মানে পুরো শিক্ষকসমাজকেই লাঞ্ছিত করা। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত