কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় শারমিন সুলতানা নামের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণার নানা অভিযোগ তুলে একদল নারী ওই চিকিৎসককে মারধর করেন। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধারে যাওয়া স্বামী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ রানাও মারধরের শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে শহরে অর্জুন দাস আগরওয়ালা সড়কে লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে কুষ্টিয়া থানা-পুলিশ গিয়ে ওই নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই নারী চিকিৎসক থানায় ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অর্জুন দাস আগরওয়ালা সড়কে লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত চেম্বার করেন শারমিন সুলতানা। সোমবার দুপুরে চেম্বারের কাছে অবস্থান করা একদল নারী তাঁর ওপর হামলা করেন।
হামলার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল নারী শারমিন সুলতানাকে টেনেহিঁচড়ে সড়কের ওপর নিয়ে আসছেন। কয়েকজন চিকিৎসককে নানাভাবে মারধর করছেন। আবার কেউ নারীর পোশাক ধরে রেখেছেন। নারীরা দল বেঁধে একসঙ্গে হামলা চালান। এ সময় এক নারীকে বলতে শোনা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে বিদেশে লোক পাঠানো ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের মাধ্যমে অর্থ নেন। পরে চাকরি দিতে পারেননি ওই নারী চিকিৎসক। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এ কারণে তাঁকে ধরতে এসেছেন।
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, তাঁরা ঠেকানোর চেষ্টা করলেও দল বেঁধে নারীরা হামলা চালান। চিকিৎসককে বেদম মারধর করেছেন তাঁরা। পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছেন। তাঁকে লোকজনের সামনে অপদস্থ করা হয়েছে।
ওই নারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মডেল থানায় রয়েছেন জানিয়ে তাঁর স্বামী মাসুদ রানা বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার স্ত্রী কখনো কোনো দিন মেহেরপুরে যায়নি। এমনকি নারীরা যে নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন, তার নামের সঙ্গে পুরোপুরি মিল নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে অপহরণ করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমার পোশাক ছিঁড়ে মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ওই নারী চিকিৎসকের জন্য থানায় যান।
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম বলেন, ওই নারী চিকিৎসক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রিকশাযোগে আসেন। রিকশা থেকে নামার পর তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। হইচই শুনে দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তবে এটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরের কোনো ঘটনা নয় বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাসিমুল বারী বাপ্পী বলেন, ‘ঢাকা থেকে শীর্ষ চিকিৎসকেরা ফোন করেছিলেন। এরপর আমরা থানায় এসেছি। চিকিৎসকদের এভাবে মারধর করা কাম্য নয়।’
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একটা মবের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল। খবর পেয়ে তাঁকে (নারী চিকিৎসক) উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এখনো তা পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ায় শারমিন সুলতানা নামের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণার নানা অভিযোগ তুলে একদল নারী ওই চিকিৎসককে মারধর করেন। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধারে যাওয়া স্বামী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ রানাও মারধরের শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে শহরে অর্জুন দাস আগরওয়ালা সড়কে লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে কুষ্টিয়া থানা-পুলিশ গিয়ে ওই নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই নারী চিকিৎসক থানায় ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অর্জুন দাস আগরওয়ালা সড়কে লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত চেম্বার করেন শারমিন সুলতানা। সোমবার দুপুরে চেম্বারের কাছে অবস্থান করা একদল নারী তাঁর ওপর হামলা করেন।
হামলার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল নারী শারমিন সুলতানাকে টেনেহিঁচড়ে সড়কের ওপর নিয়ে আসছেন। কয়েকজন চিকিৎসককে নানাভাবে মারধর করছেন। আবার কেউ নারীর পোশাক ধরে রেখেছেন। নারীরা দল বেঁধে একসঙ্গে হামলা চালান। এ সময় এক নারীকে বলতে শোনা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে বিদেশে লোক পাঠানো ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের মাধ্যমে অর্থ নেন। পরে চাকরি দিতে পারেননি ওই নারী চিকিৎসক। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এ কারণে তাঁকে ধরতে এসেছেন।
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, তাঁরা ঠেকানোর চেষ্টা করলেও দল বেঁধে নারীরা হামলা চালান। চিকিৎসককে বেদম মারধর করেছেন তাঁরা। পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছেন। তাঁকে লোকজনের সামনে অপদস্থ করা হয়েছে।
ওই নারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মডেল থানায় রয়েছেন জানিয়ে তাঁর স্বামী মাসুদ রানা বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার স্ত্রী কখনো কোনো দিন মেহেরপুরে যায়নি। এমনকি নারীরা যে নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন, তার নামের সঙ্গে পুরোপুরি মিল নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে অপহরণ করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমার পোশাক ছিঁড়ে মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ওই নারী চিকিৎসকের জন্য থানায় যান।
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম বলেন, ওই নারী চিকিৎসক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রিকশাযোগে আসেন। রিকশা থেকে নামার পর তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। হইচই শুনে দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তবে এটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরের কোনো ঘটনা নয় বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাসিমুল বারী বাপ্পী বলেন, ‘ঢাকা থেকে শীর্ষ চিকিৎসকেরা ফোন করেছিলেন। এরপর আমরা থানায় এসেছি। চিকিৎসকদের এভাবে মারধর করা কাম্য নয়।’
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একটা মবের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল। খবর পেয়ে তাঁকে (নারী চিকিৎসক) উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এখনো তা পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১১ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৪৪ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১ ঘণ্টা আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে