খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা একের পর এক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পেটের পীড়া, ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ পানি সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক হলে পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়নি। এতে ট্যাংকে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে। দূষিত পানি পান করায় শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়ায় ভুগছেন। শুরুতে পানির সমস্যার কথা জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেননি, পরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই অবহেলার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আসনসংখ্যা ৫৭৬। হলে ১৯ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হলের মধ্যে ছয়তলাবিশিষ্ট সবচেয়ে বড় আবাসিক হল এটি। পানি সরবরাহ করা হয় আলাদা সাবমার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে। হলের কেন্টিনের লিটন হোসেন নামের একজন স্টাফ পেটের পীড়া নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি আছেন। হলে ৮ থেকে ১০ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হননি বলে শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ‘হলের দূষিত পানি খেয়ে পেটের পীড়া নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। আমার পাশের রুমের এক বন্ধু বমি করতে করতে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল।’
পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন হলে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট ও দূষণ শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানিতে ময়লা ও পোকা এখন প্রতিদিনের ঘটনা। হলের প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হোক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাই বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন হলে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হোক এবং পানির মান উন্নত করা হোক।’
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আল মারুফ বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে জ্বর। মেডিকেলে গেলে ডাক্তার জানালেন বঙ্গবন্ধু হলের অনেকে নাকি একইভাবে অসুস্থ। আমার পাশের রুমের দুজনকেও দেখলাম রাত থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন।’
বঙ্গবন্ধু হলের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা কাজ শুরু করেছে। পাইপের সব পুরোনো পানি ফেলে দিয়ে নতুন করে পানি উত্তোলন করেছে। পানির ট্যাংক নতুন করে আবার পরিষ্কার করেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে পানির সাবমার্সিবল পাম্পগুলো তলিয়ে যায়। তখন যতবার পানি উত্তোলন হয়েছে ততবারই দূষিত পানি পাইপ দিয়ে ঢুকেছে, যা পানির ট্যাংকগুলোতে জমা হয়েছে। সেখান থেকেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগের পানি ফেলে দিয়েছি। নতুন করে আবার সব পরিষ্কার করে পানি উত্তোলন করেছি। আর সমস্যা থাকবে না আশা করি।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা একের পর এক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পেটের পীড়া, ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ পানি সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক হলে পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়নি। এতে ট্যাংকে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে। দূষিত পানি পান করায় শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়ায় ভুগছেন। শুরুতে পানির সমস্যার কথা জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেননি, পরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই অবহেলার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আসনসংখ্যা ৫৭৬। হলে ১৯ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হলের মধ্যে ছয়তলাবিশিষ্ট সবচেয়ে বড় আবাসিক হল এটি। পানি সরবরাহ করা হয় আলাদা সাবমার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে। হলের কেন্টিনের লিটন হোসেন নামের একজন স্টাফ পেটের পীড়া নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি আছেন। হলে ৮ থেকে ১০ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হননি বলে শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ‘হলের দূষিত পানি খেয়ে পেটের পীড়া নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। আমার পাশের রুমের এক বন্ধু বমি করতে করতে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল।’
পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন হলে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট ও দূষণ শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানিতে ময়লা ও পোকা এখন প্রতিদিনের ঘটনা। হলের প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হোক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাই বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন হলে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হোক এবং পানির মান উন্নত করা হোক।’
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আল মারুফ বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে জ্বর। মেডিকেলে গেলে ডাক্তার জানালেন বঙ্গবন্ধু হলের অনেকে নাকি একইভাবে অসুস্থ। আমার পাশের রুমের দুজনকেও দেখলাম রাত থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন।’
বঙ্গবন্ধু হলের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা কাজ শুরু করেছে। পাইপের সব পুরোনো পানি ফেলে দিয়ে নতুন করে পানি উত্তোলন করেছে। পানির ট্যাংক নতুন করে আবার পরিষ্কার করেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে পানির সাবমার্সিবল পাম্পগুলো তলিয়ে যায়। তখন যতবার পানি উত্তোলন হয়েছে ততবারই দূষিত পানি পাইপ দিয়ে ঢুকেছে, যা পানির ট্যাংকগুলোতে জমা হয়েছে। সেখান থেকেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগের পানি ফেলে দিয়েছি। নতুন করে আবার সব পরিষ্কার করে পানি উত্তোলন করেছি। আর সমস্যা থাকবে না আশা করি।’
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৬ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
১০ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে