Ajker Patrika

‘গাছটির সঙ্গে কেটে ফেলা হলো হাজারো ইবিয়ানের আবেগ’

ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ২৪
‘গাছটির সঙ্গে কেটে ফেলা হলো হাজারো ইবিয়ানের আবেগ’

কেটে ফেলা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সাক্ষী প্রধান ফটকের সামনের প্রাচীন কৃষ্ণচূড়াগাছটি। আজ রোববার গাছটি কেটে সমূলে তুলে নেওয়া হয়। গাছটি মরে শুকিয়ে যাওয়ায় কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন আরেকটি কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রকৃতির পালাবদলে প্রতিবছর লাল কৃষ্ণচূড়ায় ভিন্নরূপে হাজির হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, ক্যালেন্ডার কিংবা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কৃষ্ণচূড়াগাছের ছবিটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়েছে। তবে অযত্ন-অবহেলা, ডাল কাটা, বিভিন্ন পোস্টার আর বিলবোর্ডের পেরেকের ভারে গাছটির অবস্থা এমন হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

গাছটি কেটে ফেলায় স্মৃতিচারণা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করেছেন। গাছটির ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কৃষ্ণচূড়া তোমার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হবে না। তোমার রূপে আর মুগ্ধ হব না।’ 

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, ‘গাছটির সঙ্গে কেটে ফেলা হলো হাজারো ইবিয়ানের আবেগ। করাত-কুঠারের আঘাতের শব্দ যেন বুকে এসে লাগছে। এখন ক্যাম্পাস গেটে নামলেই মনের মধ্যে হাহাকার করে উঠবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, ‘গাছটি মরে শুকিয়ে যাওয়ায় ডালপালা ভেঙে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল।’ সেখানে নতুন আরেকটি কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করা হবে বলেও জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত