Ajker Patrika

ভাঙন ঝুঁকিতে ২৫০ পরিবার

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি
ভাঙন ঝুঁকিতে ২৫০ পরিবার

খুলনা রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ওয়াপদা) রাস্তাটি আঠারোবৈকী নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। একই সঙ্গে শ্রীরামপুর গ্রামের ২৫০ পরিবারের বসতবাড়ি ও প্রায় হাজারো বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে। এতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রূপসা নদীর শাখা আঠারোবৈকীতে বর্ষা মৌসুমে নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বেশি থাকে। এ নদী দিয়ে ছোট ও মাঝারি ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। দিনের পর দিন এভাবে ইঞ্জিনচালিত নৌকার পানির ঢেউ নদীর দুই তীরে লেগে নদীর পাড়ে (ওয়াপদা বেড়িবাঁধ) ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।

তাই শ্রীরামপুরের বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেলে ক্ষতির মুখে পড়বে হাজারো বিঘা ফসলি জমি ও ২৫০টি পরিবার। ক্ষয়ক্ষতি শুধু শ্রীরামপুরেই নয় বরং আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষকেরা বলেন, ‘আমরা কৃষকেরা চাঁদা তুলে কিছু কিছু ভাঙন কবলিত স্থানে আদলা ইট-পাটকেল ফেলে নদীর পানি আটকানোর চেষ্টা করেছি। তাতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করেও তেমন কোনো লাভ হয়নি।’

তাঁরা আরও জানান, এ বিলের পাশে আঠারোবৈকী নদীর ওপারের ইটভাটা মালিক নদীতে ইট ফেলে দখল করায় ওয়াপদা পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীরামপুর গ্রামের বিলে বেশির ভাগ জমি কৃষকের লিজ নেওয়া। বিলে ধানের চাষ এবং ধানের পরে এই বিলে সুস্বাদু বাঙ্গি, উসতা-করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়। তবে এভাবে আঠারোবৈকী নদীর পাড় ভাঙলে বিল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য প্রার্থী লিপিকা রানি দাস বলেন, বেড়িবাধটি ভেঙে গেলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা বিপাকে পড়বে। ভাঙনকবলিত এলাকায় কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কৃষকেরা যেকোনো সময় বাঁধটি পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে।’ তিনি দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘আঠারোবৈকী নদীর ভাঙনে শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষকেরা জানমাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন। দ্রুতই বাঁধটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

উপজেলা প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আঠারোবৈকী নদীর ওই পাড়ে ৭ /৮টি ইট ভাটা রয়েছে। ভাটার পাশে নদীতে প্রায়ই আদলা ইট ফেলাতে নদীগর্ভে পলি জমে ভরাট হচ্ছে। নদীতে ইট ফেলার কারণে নদীতে বাঁক সৃষ্টি হচ্ছে এবং এ বাঁকের ফলে নদীর স্রোতের পানি এ পাড়ে প্রবলবেগে বাড়ি খেয়ে এ ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি সাংসদকে অবগত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫ কিলোমাটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমাটার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বেড়িবাঁধটি সরতে সরতে এখন মালিকানা সম্পত্তি পড়েছে। ইট ভাটা যতক্ষণ নদীতে ইট ফেলা বন্ধ না করবে, তত দিন এ ভাঙন ঠেকানো সম্ভব না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত