ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
এক বা দুদিন পরেই ঈদ। সন্তানদের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে সুন্দর জামা-কাপড় কিনছেন বাবা-মায়েরা। আর আয়েশা খাতুন পেটের দায়ে তাঁর কোলের সন্তানটি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন!
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা (২২)। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আজ শুক্রবার দুপুরে আয়েশার বাড়িতে যান এ প্রতিবেদক। দুই সন্তানের জননী আয়েশা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
আয়েশার মা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আয়েশা খাতুনের বাবা নেই। ভাই মনিরুল দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে। এ অবস্থায় চার বছরের মেয়ে রাবেয়া ও ১৩ মাসের ছেলে ইব্রাহিমসহ আয়েশাকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। মায়ের বাড়িতে এসে উঠেছেন। মায়ের অভাবের সংসারে যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি ক্ষুধার্ত মুখ।
জানা গেছে, পৌরসভার নওদাপাড়া এলাকায় মৃত সিরাজ ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (২২) এবং মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া সেন্টার এলাকার মো. রিপনের ছেলে বিপ্লবের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ২০১৭ সালে।
আয়েশার মা মনোয়ারা খাতুন জানান, আয়েশা খাতুনের বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। অভাবের কারণে ছোট থাকতেই আয়েশাকে বিয়ে দেওয়া হয়। যৌতুকের দাবিতে আয়েশাকে তাঁর শ্বশুর ঘর থেকে বের করে দেন। মনোয়ারা তখন বিভিন্ন জনের কাছে ধার কর্জ করে আয়েশা ও তাঁর স্বামীর জন্য এক কক্ষের একটি টিনের ঘর করে দেন। ঘরের পর স্বর্ণের চেনের জন্য আয়েশার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয়ভাবে অনেকবার বিচার-সালিস হয়েছে। সমাধান হয়নি।
মনোয়ারা বলেন, ‘ছয় মাস আগে আয়েশাকে স্বামী তাড়িয়ে দেয়। দুই সন্তানসহ আয়েশা আমার বাড়িতে উঠেছে। আমার ছেলে দিনমজুরি করে খায়। আমি পরের বাড়িতে কাজ করি। আয়েশা ও তার দুই সন্তান নিয়ে কোনোরকম জীবন ধারণ করছি। অভাবের জন্য পাড়ার অনেকে ছোট ছেলে ইব্রাহিমকে বেচে দিতে বলছে। তাহলে আয়েশা কাজ করতে পারবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আয়েশা রাজি হয়েছে। ছেলে বিক্রি করতে হবে বলে কান্নাকাটি করছে। ছেলের বয়স দুই তিন বছর হলে মেয়ের কাছে রেখে (কাজে) যেতে পারত।’
প্রতিবেশী এক গৃহবধূ বলেন, ‘আয়েশার মা ও ভাই ঋণের বোঝা নিয়ে চলছে। এর ওপর আয়েশাসহ তার দুই সন্তান এসেছে। স্বামী আর নিবে না। তাই কাজ করে তো খেতে হবে। কোলের সন্তানের জন্য সে কাজে যেতে পারছে না। পাড়ার অনেকে বলছে সন্তান বিক্রি করে দিতে। শুনেছি আয়েশা সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সন্তান বিক্রি করতে চান কি না জানতে চাইলে আয়েশা খাতুন বলেন, ‘দুই বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে না হয় কাজে যাব, কিন্তু কোলের ১৩ মাস বয়সের ছেলেকে কার কাছে রাখব। কোলের সন্তানটার কারণে কাজে যেতে পারছি না। সে জন্য পাড়ার অনেকেই বলছে ইব্রাহিমকে বিক্রি করে দিতে। তাই বিক্রির কথা চিন্তা ভাবনা করছি।’
আয়েশা আরও বলেন, ‘দুইটা ছোট সন্তান নিয়ে কীভাবে চলব? মা ও ভাইয়ের ঘাড়ে বসে আর কত দিন খাব! ভাই দিনমজুর ও মা পরের বাড়িতে কাজ করে নিজের পেটের ভাত জোগাড় করে। এদেরই চলে না। আমার ও দুইটা বাচ্চার ভরণ পোষণ কীভাবে চালাবে বলুন।’
কথা বলতে বলতে চোখ ভিজে আসে আয়েশার। কান্নায় কণ্ঠ বুজে আসে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আয়েশা বলেন, ‘বেচে দিলি কাজকাম করে খাতি পারব সত্যি, কিন্তু বাড়ি এসে ইব্রাহিমের জন্যি মন পুড়বি। যে খাবার নিয়ে আসব তা আমার মুখে উঠবে না, আবার আমি শান্তিও পাব না। এ অবস্থায় কী করব এখন!’
আয়েশার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এটা একেবারেই অমানবিক।’ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসন পরিবারটির পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন ইউএনও।
এক বা দুদিন পরেই ঈদ। সন্তানদের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে সুন্দর জামা-কাপড় কিনছেন বাবা-মায়েরা। আর আয়েশা খাতুন পেটের দায়ে তাঁর কোলের সন্তানটি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন!
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা (২২)। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আজ শুক্রবার দুপুরে আয়েশার বাড়িতে যান এ প্রতিবেদক। দুই সন্তানের জননী আয়েশা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
আয়েশার মা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আয়েশা খাতুনের বাবা নেই। ভাই মনিরুল দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে। এ অবস্থায় চার বছরের মেয়ে রাবেয়া ও ১৩ মাসের ছেলে ইব্রাহিমসহ আয়েশাকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। মায়ের বাড়িতে এসে উঠেছেন। মায়ের অভাবের সংসারে যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি ক্ষুধার্ত মুখ।
জানা গেছে, পৌরসভার নওদাপাড়া এলাকায় মৃত সিরাজ ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (২২) এবং মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া সেন্টার এলাকার মো. রিপনের ছেলে বিপ্লবের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ২০১৭ সালে।
আয়েশার মা মনোয়ারা খাতুন জানান, আয়েশা খাতুনের বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। অভাবের কারণে ছোট থাকতেই আয়েশাকে বিয়ে দেওয়া হয়। যৌতুকের দাবিতে আয়েশাকে তাঁর শ্বশুর ঘর থেকে বের করে দেন। মনোয়ারা তখন বিভিন্ন জনের কাছে ধার কর্জ করে আয়েশা ও তাঁর স্বামীর জন্য এক কক্ষের একটি টিনের ঘর করে দেন। ঘরের পর স্বর্ণের চেনের জন্য আয়েশার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয়ভাবে অনেকবার বিচার-সালিস হয়েছে। সমাধান হয়নি।
মনোয়ারা বলেন, ‘ছয় মাস আগে আয়েশাকে স্বামী তাড়িয়ে দেয়। দুই সন্তানসহ আয়েশা আমার বাড়িতে উঠেছে। আমার ছেলে দিনমজুরি করে খায়। আমি পরের বাড়িতে কাজ করি। আয়েশা ও তার দুই সন্তান নিয়ে কোনোরকম জীবন ধারণ করছি। অভাবের জন্য পাড়ার অনেকে ছোট ছেলে ইব্রাহিমকে বেচে দিতে বলছে। তাহলে আয়েশা কাজ করতে পারবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আয়েশা রাজি হয়েছে। ছেলে বিক্রি করতে হবে বলে কান্নাকাটি করছে। ছেলের বয়স দুই তিন বছর হলে মেয়ের কাছে রেখে (কাজে) যেতে পারত।’
প্রতিবেশী এক গৃহবধূ বলেন, ‘আয়েশার মা ও ভাই ঋণের বোঝা নিয়ে চলছে। এর ওপর আয়েশাসহ তার দুই সন্তান এসেছে। স্বামী আর নিবে না। তাই কাজ করে তো খেতে হবে। কোলের সন্তানের জন্য সে কাজে যেতে পারছে না। পাড়ার অনেকে বলছে সন্তান বিক্রি করে দিতে। শুনেছি আয়েশা সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সন্তান বিক্রি করতে চান কি না জানতে চাইলে আয়েশা খাতুন বলেন, ‘দুই বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে না হয় কাজে যাব, কিন্তু কোলের ১৩ মাস বয়সের ছেলেকে কার কাছে রাখব। কোলের সন্তানটার কারণে কাজে যেতে পারছি না। সে জন্য পাড়ার অনেকেই বলছে ইব্রাহিমকে বিক্রি করে দিতে। তাই বিক্রির কথা চিন্তা ভাবনা করছি।’
আয়েশা আরও বলেন, ‘দুইটা ছোট সন্তান নিয়ে কীভাবে চলব? মা ও ভাইয়ের ঘাড়ে বসে আর কত দিন খাব! ভাই দিনমজুর ও মা পরের বাড়িতে কাজ করে নিজের পেটের ভাত জোগাড় করে। এদেরই চলে না। আমার ও দুইটা বাচ্চার ভরণ পোষণ কীভাবে চালাবে বলুন।’
কথা বলতে বলতে চোখ ভিজে আসে আয়েশার। কান্নায় কণ্ঠ বুজে আসে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আয়েশা বলেন, ‘বেচে দিলি কাজকাম করে খাতি পারব সত্যি, কিন্তু বাড়ি এসে ইব্রাহিমের জন্যি মন পুড়বি। যে খাবার নিয়ে আসব তা আমার মুখে উঠবে না, আবার আমি শান্তিও পাব না। এ অবস্থায় কী করব এখন!’
আয়েশার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এটা একেবারেই অমানবিক।’ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসন পরিবারটির পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন ইউএনও।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে