চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মের ঘামঝরা দিনে প্রশান্তির পরশ হয়ে উঠেছে তাল ও তার কচি শাঁস। তাপপ্রবাহে কাহিল জনজীবনে এই মৌসুমি ফল যেন ঠান্ডা এক স্বস্তির নাম। জেলা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে উপজেলার বাজারের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। গরমের প্রকোপ যত বাড়ছে, তালের চাহিদাও ততই বাড়ছে। তালের শাঁসে তৃষা মেটাচ্ছেন পথচারী থেকে শুরু করে ফলপ্রেমী সবাই।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের কলেজ রোড, রেলস্টেশন এলাকা, হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। তাল কেটে শাঁস তুলছেন বিক্রেতারা। প্রতিটি তালে সাধারণত তিনটি শাঁস পাওয়া যায়। একেকটি শাঁস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। একজন বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পিস তাল বিক্রি হচ্ছে।
তালের শাঁস কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাল বছরের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ফলগুলোর একটি। ঠান্ডা ঠান্ডা শাঁস খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি শরীরের জন্যও উপকারী। নিজের জন্য খাচ্ছি, বাসার লোকজনের জন্যও নিচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা মোস্তাক খন্দকার জানান, ‘তাল আমাদের চুয়াডাঙ্গার পরিচিত গ্রীষ্মকালীন ফল। বছরে একবার পাওয়া যায়—তাই ছোট-বড় সবাইকে খাওয়ানো উচিত। আমি আমার নাতির জন্য নিয়ে যাচ্ছি।’
সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ১০টি তালগাছ রয়েছে। এই মৌসুমে কাঁচা তাল বিক্রি করে ভালো আয় হয়েছে।’
খুচরা বিক্রেতা মনিরুল হোসেন বলেন, ‘তাল এবার খুব ভালো হয়েছে, চাহিদাও দারুণ। গরমে ঠান্ডা তালের শাঁস মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে।’ আরেক বিক্রেতা লিটন আলী বলেন, ‘বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। মানুষ খুশি, আমরাও খুশি। দামও খুব একটা বেশি না—২০ টাকা হালি।’
তবে তালগাছ এখন আগের মতো আর ততটা চোখে পড়ে না—বিষয়টি নিয়ে খেদ প্রকাশ করেন সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের প্রবীণ মসলে উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামে প্রচুর তালগাছ ছিল। এখন গাছ কমে যাচ্ছে। যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, তা দুঃখজনক।’
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘তালের শাঁস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ ও বি কমপ্লেক্স থাকে এতে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে, চোখ ও ত্বকের জন্যও উপকারী। মৌসুমি ফল হিসেবে তাল খাওয়া উচিত।’
চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মের ঘামঝরা দিনে প্রশান্তির পরশ হয়ে উঠেছে তাল ও তার কচি শাঁস। তাপপ্রবাহে কাহিল জনজীবনে এই মৌসুমি ফল যেন ঠান্ডা এক স্বস্তির নাম। জেলা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে উপজেলার বাজারের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। গরমের প্রকোপ যত বাড়ছে, তালের চাহিদাও ততই বাড়ছে। তালের শাঁসে তৃষা মেটাচ্ছেন পথচারী থেকে শুরু করে ফলপ্রেমী সবাই।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের কলেজ রোড, রেলস্টেশন এলাকা, হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। তাল কেটে শাঁস তুলছেন বিক্রেতারা। প্রতিটি তালে সাধারণত তিনটি শাঁস পাওয়া যায়। একেকটি শাঁস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। একজন বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পিস তাল বিক্রি হচ্ছে।
তালের শাঁস কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাল বছরের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ফলগুলোর একটি। ঠান্ডা ঠান্ডা শাঁস খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি শরীরের জন্যও উপকারী। নিজের জন্য খাচ্ছি, বাসার লোকজনের জন্যও নিচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা মোস্তাক খন্দকার জানান, ‘তাল আমাদের চুয়াডাঙ্গার পরিচিত গ্রীষ্মকালীন ফল। বছরে একবার পাওয়া যায়—তাই ছোট-বড় সবাইকে খাওয়ানো উচিত। আমি আমার নাতির জন্য নিয়ে যাচ্ছি।’
সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ১০টি তালগাছ রয়েছে। এই মৌসুমে কাঁচা তাল বিক্রি করে ভালো আয় হয়েছে।’
খুচরা বিক্রেতা মনিরুল হোসেন বলেন, ‘তাল এবার খুব ভালো হয়েছে, চাহিদাও দারুণ। গরমে ঠান্ডা তালের শাঁস মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে।’ আরেক বিক্রেতা লিটন আলী বলেন, ‘বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। মানুষ খুশি, আমরাও খুশি। দামও খুব একটা বেশি না—২০ টাকা হালি।’
তবে তালগাছ এখন আগের মতো আর ততটা চোখে পড়ে না—বিষয়টি নিয়ে খেদ প্রকাশ করেন সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের প্রবীণ মসলে উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামে প্রচুর তালগাছ ছিল। এখন গাছ কমে যাচ্ছে। যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, তা দুঃখজনক।’
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘তালের শাঁস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ ও বি কমপ্লেক্স থাকে এতে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে, চোখ ও ত্বকের জন্যও উপকারী। মৌসুমি ফল হিসেবে তাল খাওয়া উচিত।’
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার (২১ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ৫৩ সদস্যের এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার সাভারে আব্দুল মালেক (৩৬) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। আব্দুল মালেক সাভারের কান্দি ভাকুর্তা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি দোকানে রুপার অলংকার তৈরির কাজ করতেন।
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির দুজনই আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
৪ ঘণ্টা আগে