নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘স্যারকে আমিই ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করি। আমি ভুল করেছি। আমি এর জন্য অনুতপ্ত।’ আজ বুধবার আশুলিয়ার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জিতু (১৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন আসামি জিতু।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক আসামি জিতুকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। প্রায় তিন ঘণ্টা আসামিকে সময় দেওয়ার পর আদালত আসামি জিতুর স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর জিতুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি জিতু তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘রিমা কলেজে আমার সিনিয়র। দুই ক্লাস ওপরে পড়ে সে। তার সঙ্গে আমার প্রেম ছিল। আমরা স্কুল ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করার সময় উৎপল স্যার নানা রকম ঝামেলা করতেন। ঘটনার দুই-তিন দিন আগে কলেজের বারান্দায় রুমাকে নিয়ে কেক খাওয়ার সময় উৎপল স্যার দেখে ফেলেন এবং বকাঝকা করেন। আমিও স্যারকে গালাগালি করি। এরপর উৎপল স্যার আমার ও রিমার বাড়িতে নালিশ দেন। রিমার পরিবার রিমাকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।’
জবানবন্দিতে জিতু আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে আসি। সুযোগ বুঝে উৎপল স্যারকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকি। এ সময় তরিক স্যার (ওই স্কুলের আরেক শিক্ষক) আমাকে ধরে ফেলেন। কিন্তু উৎপল স্যার গুরুতর জখম হয় তাঁকে তরিক স্যার বাঁচাতে যান। এ সময় শরীফ নামে আরেক স্যারও উৎপল স্যারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এই ফাঁকে আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই। প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণেই আমি উৎপল স্যারকে হত্যা করি।’
জিতু আদালতকে জানান, ঘটনার পর তিনি প্রথমে মানিকগঞ্জ এবং পরে পাবনা পালিয়ে যান। পাবনা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর গেলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন জিতুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ২৯ জুন তাঁকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৫ জুন দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। উৎপল সরকারকে আঘাতের পর তার ভাই অসীম কুমার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় হত্যা চেষ্টা সহ গুরুতর যখন করার অপরাধ আনা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষক উৎপল মারা যাওয়ার পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এ মামলায় আসামি জিতুর বাবা উজ্জ্বলও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে জানান, জিতুই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর উজ্জ্বলকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
‘স্যারকে আমিই ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করি। আমি ভুল করেছি। আমি এর জন্য অনুতপ্ত।’ আজ বুধবার আশুলিয়ার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জিতু (১৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন আসামি জিতু।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক আসামি জিতুকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। প্রায় তিন ঘণ্টা আসামিকে সময় দেওয়ার পর আদালত আসামি জিতুর স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর জিতুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি জিতু তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘রিমা কলেজে আমার সিনিয়র। দুই ক্লাস ওপরে পড়ে সে। তার সঙ্গে আমার প্রেম ছিল। আমরা স্কুল ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করার সময় উৎপল স্যার নানা রকম ঝামেলা করতেন। ঘটনার দুই-তিন দিন আগে কলেজের বারান্দায় রুমাকে নিয়ে কেক খাওয়ার সময় উৎপল স্যার দেখে ফেলেন এবং বকাঝকা করেন। আমিও স্যারকে গালাগালি করি। এরপর উৎপল স্যার আমার ও রিমার বাড়িতে নালিশ দেন। রিমার পরিবার রিমাকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।’
জবানবন্দিতে জিতু আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে আসি। সুযোগ বুঝে উৎপল স্যারকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকি। এ সময় তরিক স্যার (ওই স্কুলের আরেক শিক্ষক) আমাকে ধরে ফেলেন। কিন্তু উৎপল স্যার গুরুতর জখম হয় তাঁকে তরিক স্যার বাঁচাতে যান। এ সময় শরীফ নামে আরেক স্যারও উৎপল স্যারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এই ফাঁকে আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই। প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণেই আমি উৎপল স্যারকে হত্যা করি।’
জিতু আদালতকে জানান, ঘটনার পর তিনি প্রথমে মানিকগঞ্জ এবং পরে পাবনা পালিয়ে যান। পাবনা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর গেলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন জিতুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ২৯ জুন তাঁকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৫ জুন দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। উৎপল সরকারকে আঘাতের পর তার ভাই অসীম কুমার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় হত্যা চেষ্টা সহ গুরুতর যখন করার অপরাধ আনা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষক উৎপল মারা যাওয়ার পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এ মামলায় আসামি জিতুর বাবা উজ্জ্বলও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে জানান, জিতুই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর উজ্জ্বলকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
গত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগে