কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
‘সেই ছোটবেলা থেকে এখানে নৌকাবাইচ হইতে দেখছি। এবার বাইচ হলো না। আমাগো হাসিনা নাই, তাই এবার কেউ নৌকা লইয়া এইহানে বাইচ দিতে আইসে নাই।’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ঘাঘর নদীর কালীগঞ্জ বাজারে প্রায় দুই শ বছর ধরে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে নৌকাবাইচ হয়ে আসছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচটি এবার হচ্ছে না। সে কারণে কোটালীপাড়ার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমরিয়া গ্রামের বৃদ্ধা মালতী বিশ্বাস আক্ষেপ করে এই কথা বলেন।
গত বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিনে সেখানে শতাধিক বাচারি নৌকা এই বাইচে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু এ বছর মাত্র দুটি বাচারি নৌকা অংশ নেয়। এই নৌকাবাইচ দেখার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও উপজেলার আশপাশের কয়েকটি জেলা, উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল। নৌকাবাইচ না হওয়ায় তাদের মনঃক্ষুণ্ন হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়।
নৌকাবাইচ দেখতে আসা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট গ্রামের সুধীর বাগচী (৬০) বলেন, ‘আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে বিশ্বকর্মা পূজার দিনে নৌকাবাইচ দেখতে আসি। এ বছরও নৌকাবাইচ দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু বাইচ না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছি। আমরা চাই, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যে লালিত দুই শ বছরের এই নৌকাবাইচটি যেন বন্ধ না হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলাবাড়ি গ্রামের একজন বাচারি নৌকার মালিক বলেন, ‘এখানে নৌকাবাইচ মিলাতে কারও আয়োজন করতে হয় না। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে বাচারি নৌকা নিয়ে বাইচে অংশগ্রহণ করে। এ বছর আমাগো নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে না থাকায় আমরা নৌকা নিয়ে বাইচ দিতে আসি নাই। আমাগো নেত্রী দ্যাশে ফিরগা আইলে আবার আমরা এই নদীতে আনন্দের সঙ্গে বাইচ দেব।’
স্থানীয় কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায় দুই শ বছর ধরে এখানে নৌকাবাইচ হয়ে আসছে। এই বাইচের কোনো পুরস্কার দেওয়া হয় না। তারপরও মানুষ শত শত বাচারি নৌকা নিয়ে বিগত বছরগুলোতে এখানে বাইচে অংশগ্রহণ করেছে। এই বাইচ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসত। নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে এলাকায় মেলা বসত। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে থাকত উৎসবের আমেজ। কিন্তু এ বছর কেন এরা নৌকা নিয়ে বাইচ দিতে আসেনি, তা আমার জানা নেই।’
‘সেই ছোটবেলা থেকে এখানে নৌকাবাইচ হইতে দেখছি। এবার বাইচ হলো না। আমাগো হাসিনা নাই, তাই এবার কেউ নৌকা লইয়া এইহানে বাইচ দিতে আইসে নাই।’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ঘাঘর নদীর কালীগঞ্জ বাজারে প্রায় দুই শ বছর ধরে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে নৌকাবাইচ হয়ে আসছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচটি এবার হচ্ছে না। সে কারণে কোটালীপাড়ার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমরিয়া গ্রামের বৃদ্ধা মালতী বিশ্বাস আক্ষেপ করে এই কথা বলেন।
গত বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিনে সেখানে শতাধিক বাচারি নৌকা এই বাইচে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু এ বছর মাত্র দুটি বাচারি নৌকা অংশ নেয়। এই নৌকাবাইচ দেখার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও উপজেলার আশপাশের কয়েকটি জেলা, উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল। নৌকাবাইচ না হওয়ায় তাদের মনঃক্ষুণ্ন হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়।
নৌকাবাইচ দেখতে আসা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট গ্রামের সুধীর বাগচী (৬০) বলেন, ‘আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে বিশ্বকর্মা পূজার দিনে নৌকাবাইচ দেখতে আসি। এ বছরও নৌকাবাইচ দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু বাইচ না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছি। আমরা চাই, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যে লালিত দুই শ বছরের এই নৌকাবাইচটি যেন বন্ধ না হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলাবাড়ি গ্রামের একজন বাচারি নৌকার মালিক বলেন, ‘এখানে নৌকাবাইচ মিলাতে কারও আয়োজন করতে হয় না। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে বাচারি নৌকা নিয়ে বাইচে অংশগ্রহণ করে। এ বছর আমাগো নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে না থাকায় আমরা নৌকা নিয়ে বাইচ দিতে আসি নাই। আমাগো নেত্রী দ্যাশে ফিরগা আইলে আবার আমরা এই নদীতে আনন্দের সঙ্গে বাইচ দেব।’
স্থানীয় কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায় দুই শ বছর ধরে এখানে নৌকাবাইচ হয়ে আসছে। এই বাইচের কোনো পুরস্কার দেওয়া হয় না। তারপরও মানুষ শত শত বাচারি নৌকা নিয়ে বিগত বছরগুলোতে এখানে বাইচে অংশগ্রহণ করেছে। এই বাইচ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসত। নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে এলাকায় মেলা বসত। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে থাকত উৎসবের আমেজ। কিন্তু এ বছর কেন এরা নৌকা নিয়ে বাইচ দিতে আসেনি, তা আমার জানা নেই।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৪ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৯ মিনিট আগে