Ajker Patrika

স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে চাওয়া দুরভিসন্ধিমূলক: মির্জা আব্বাস

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ০৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেখতে চাই না। আপনাদের উদ্দেশ্য দুরভিসন্ধিমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তাদের অনেক সুবিধা হয়। কারণ, গ্রামেগঞ্জে পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে পায়ের তলায় মাটি আনতে চাচ্ছেন। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়তে নেই।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে জেলা বিএনপির এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন হবে, লোকেরা ভোট দেবে। যাকে ভোট দেবে, সেই প্রধানমন্ত্রী হবে। বিএনপিকেই ভোট দিতে হবে, এমনটা আমরা বলি না। কিন্তু তারা ধরে নিয়েছে, নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কারণ, তারা জানে, বিএনপি জনপ্রিয় দল। এই জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য আজকে একশ্রেণির লোক মাঠে নেমেছে। নির্বাচনের কথা যারা বলে, তারা নাকি জাতির শত্রু। তাহলে নির্বাচন দেবেন না, যেমনটা হাসিনা করেছিল। আপনারাও থাকেন ক্ষমতায়, দেখেন থাকতে পারেন কি না। গণতন্ত্র আমরা চাই। আমরা ভোটের অধিকার চাই।’

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটা সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। সরকারকে বলতে চাই, সংস্কার সংস্কার করে কান ঝালাপালা করে ফেলেছেন। সংস্কার কী করেছেন, তা জানি না। কিন্তু হাতের সামনে যে সংস্কার সম্ভব, সেইটা কেন করেন না? আগস্টে একদল ব্যবসায়ী শেখ হাসিনার সামনে কে কী বক্তব্য দিয়েছিল, সেই রেকর্ড শুনে দেখেন। একজন বলেছিল, আমরা আজীবন আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। আরেকজন বলেছিল, আপনার সঙ্গে আছি, আমৃত্যু থাকব। এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কি ভাঙা হয়েছে? এই সিন্ডিকেটের কেউ গ্রেপ্তার হয় নাই। এরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে রেখেছে। যত দিন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হবে, দ্রব্যমূল্যের দাম কমবে না।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ভাই বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কোনো কথা নাই। স্বাধীনতা হয়েছে ১৯৭১ সালে। যখন আপনারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলেন, তখন আমাদের ভালো লাগে না। আমরা বাংলাদেশকে পরপর দুবার স্বৈরাচারমুক্ত করেছি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা কথাটা বলবেন না, এতে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হয়।’

অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপু, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত