Ajker Patrika

কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা

তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা  হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এটির অতি দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রুমানা হক। রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার দুপুরে বাংলাদেশে অবৈধ সিগারেট বিক্রি ও উৎপাদনের মাত্রা বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশকালে ড. রুমানা এমন মন্তব্য করেন। একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য বিশেষজ্ঞরাও। 

রুমানা হক বলেন, গবেষণায় অংশগ্রহণ করা অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা  হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এটির অতি দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। একই সঙ্গে বাস্তবায়নকারী সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। 

অনুষ্ঠানে আরেকটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং আর্ক ফাউন্ডেশনের গবেষক এস এম আব্দুল্লাহ। 

এই গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের খুচরা দোকানগুলোতে যে পরিমাণে সিগারেট বিক্রি হয় তার প্রায় ৫ দশমিক ২ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিগারেট প্যাক সম্পর্কিত আইন বিবেচনায় না নিয়ে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া গবেষণায় পাওয়া গেছে যে বাজারে বিক্রীত প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সিগারেট প্যাকেটের গায়ে থাকা ট্যাক্স স্ট্যাম্প আইন লঙ্ঘন করা হয়। এই গবেষণাটি করতে বাংলাদেশের আটটি জেলার মোট ৮০টি জায়গা থেকে প্রায় ২৪ হাজার সিগারেট প্যাকেট সংগ্রহ করা হয়।

এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো দাবি করে তামাকের ওপর কর বাড়ালে দেশে অবৈধ বাণিজ্য বেড়ে যাবে। কিন্তু সেটা যে সঠিক নয় তা এখন প্রমাণিত। কারণ প্রতি বছর সিগারেটের দাম বাড়লেও গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশে অবৈধ সিগারেটের পরিমাণ খুবই সীমিত। সরকার যদি এই ক্ষেত্রে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও গতিশীলতা আনতে পারে তবে এই অবৈধ বাণিজ্যের হার আরও কমে আসবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তামাকের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন তাদের তুলনায় তামাক কোম্পানিগুলোর রিসোর্স অনেক বেশি। তবুও দেশের স্বার্থে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এই অসম যুদ্ধ আমাদের লড়ে যেতে হবে। আমি সংসদেও বলেছি যে তামাক যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে ৪০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশ একটি ১৮ কোটি লোকের হাসপাতালে পরিণত হবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের তামাক কোম্পানিতে শেয়ার থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশার আলো তখনই দেখতে পাব, যখন দেখব সরকার নীতি নির্ধারণে এই তামাক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারগুলো আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

অস্থিরতার সামান্য ইঙ্গিত পেলেই আমরা চলে যাব

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত