Ajker Patrika

পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

মাদারীপুর প্রতিনিধি
পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের আহতরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের অমল হালদার (৫০), সুমন হালদার (২৪), রাধিকা হালদার (৫০), লিটন হালদার (৪২), বিপ্লব হালদার (৫০), মনমোহন মন্ডল (৪০), শ্যামল হালদার (৫৭), বিশু হালদার (৫২), মানিক হালদার (৪৫), অখিল হালদার (৫৫), পরিতোষ হালদার (৩৫), নারায়ণ হালদার (৪৫), প্রতাপ হালদার (২৫), প্রেমানন্দ হালদার (৫৭), খিরোদ বৈরাগী (৬০), অধির রায় (৩৫), মুনমত রায় (৩০), রতন শিকদার (৪৫), প্রকাশ বৈরাগী (১৭), শান্ত মন্ডল (১৮), বাবুল মৃধা (১৮) প্রমুখ। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পুলিশ, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের ‘নিত্যানন্দ গোষ্মামী স্মৃতি সংঘ’ ক্লাব থেকে নড়াইলে পিকনিকে যান অর্ধশত মানুষ। পিকনিক শেষে ফেরার পথে বাসে সামনে বসা নিয়ে একই এলাকার সুশীন হালদারের ছেলে মিল্টন হালদার ও জগদীশ বৈরাগীর ছেলে প্রকাশ বৈরাগীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

এ নিয়ে রাতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নেন এলাকার মুরব্বিরা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হালদার ও বৈরাগী বংশের দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় কমপক্ষে ৩০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। 

মাদারীপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ইউপি সদস্য মামুন ফকির বলেন, এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ দুই পক্ষের উত্তেজনা বাড়ে। পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় আহত ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। এক সঙ্গে এত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে প্রকাশ বৈরাগীকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না।’ 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিল্টন হালদার ফোন রিসিভ করেননি। 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘পিকনিকের বাসে সামনে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনো এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত