Ajker Patrika

মাতাল হয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর করে পরীমণি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২১, ০০: ০১
মাতাল হয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর করে পরীমণি

ঢাকা: বোট ক্লাবের আলোচিত ইস্যুর মাঝেই নতুন ঘটনায় জড়াল পরীমণির নাম। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে মাতাল হয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছে।

যদিও গণমাধ্যমে এ অভিযোগকে `ফালতু` দাবি করে এত দিন পর ঘটনা সামনে আনাকে উদ্দেশ্যমূলক বলেছেন পরীমণি।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, `ক্লাবের এক সদস্যের রেফারেন্সে এক নারী ও এক পুরুষসহ ৭ জুন ৮ জুন গভীর রাতে ক্লাবে আসেন পরীমণি। তিনি মাতাল অবস্থায় প্রায় ১৫টি গ্লাস ভাঙচুর করেন,৯টি সিগারেটের ছাইদানি এবং কয়েকটি ছোট প্লেট ভাঙচুর করেন। কেউই তাকে আটকাতে পারেনি।'

কে এম আলমগীর ইকবাল বলেন, `নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর অ্যালকোহল সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় কিন্তু পরীমণির সামাজিক পরিচয় বিবেচনায় তাঁকে সেবা দেন বার টেন্ডাররা। কিন্তু পরীমণি আরও সেবা চাচ্ছিলেন’।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরীমনির সঙ্গে থাকা জিমি হাফ প্যান্ট ও স্যান্ডেল পরার কারণে ক্লাবের পোশাক নীতিমালা ভাঙায় তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতেই ক্ষেপে যান পরীমণি। তারপর অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে ভাঙচুর শুরু করেন। মোট ত্রিশ মিনিট তারা ছিলেন ওখানে। ক্লাবের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পরীমণি মাতাল অবস্থায় বের হচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত পোশাক ডিজাইনকারী জিমিকে লাথি মারেন তিনি। জিমির হাতে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ একটা ক্যানও দেখা যায় ফুটেজে।

সংবাদ সম্মেলনে নায়ক শাকিব খানসহ সমাজের নামী অনেকেই অল কমিউনিটি ক্লাবের সদস্য বলে জানান আলমগীর।

ঘটনার পরপর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডাকে পরীমণি। পুলিশ এসে তাঁর অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় ক্লাব থেকে বাইরে নিয়ে যান তাঁকে। পরে ওই রাতে পুরো ঘটনা থানায় নথিভুক্ত করে রাখে গুলশান থানা-পুলিশ। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার পরিদর্শক তদন্ত আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ থানায় কোন সাধারণ ডায়েরি করেনি।

ভাঙচুরের ঘটনায় এসিসিএল পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে ক্লাবের সভাপতি বলেন, কোন অতিথির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম ক্লাবের গঠনতন্ত্রে নেই। তিনি (পরীমণি) যে সদস্যের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁকে ৭ জুনের পরপরই কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সদস্য শাস্তির আওতায় আসবেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অল কমিউনিটি ক্লাবের সদস্য নন পরীমণি। মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে তিনি দুই সঙ্গী নিয়ে ক্লাবে যান। তারপর ক্লাবে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। ৯৯৯ এ ফোন পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত