নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান, সাহাদত, আলমগীরসহ কয়েকজনের নাম ব্যবহার করে বিদেশি মোবাইল নম্বর দিয়ে কল করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে একটি চক্র। এই চক্রের মূল টার্গেট বড় ব্যবসায়ী ও নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকেরা। এই চক্রের প্রধানসহ ছয়জনকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডাকাত চক্রের সদস্যরা পেশায় অটোরিকশাচালক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, লেবার, পিয়ন ইত্যাদি। বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল তারা। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১২ অক্টোবর রাজধানীর শ্যামলীতে ইডেন অটোস মোটরসাইকেল শোরুমে ডাকাতির ঘটনার পরিকল্পনাকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরসহ চক্রের ছয় সদস্যকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—চক্রটির প্রধান জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির, প্রধান সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম শিকদার, খায়রুল ভূঁইয়া, রাকিব হাসান ও মো. নয়ন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় শ্যামলীতে উত্তরা মোটরসের ডিলার ইডেন আটোস নামের শোরুমে একটি ডাকাত দল ঢুকে ম্যানেজার ওয়াদুদ সজীব ও মোটর টেকনিশিয়ান নুরনবী হাসানকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ডাকাত দলের কিছু সদস্য শোরুমের দোতলায় উঠে গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যাশ ড্রয়ার ইত্যাদি ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ডেস্কটপ মনিটর নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শোরুমের মালিকের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রাতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এবং ধামরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ওই অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি এবং শোরুম থেকে লুণ্ঠিত ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ডাকাতিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, তারা মোহাম্মদপুরকেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য, যার সদস্যসংখ্যা ৮-১০। তারা সবাই এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে বাস করছে এবং এই সূত্রে পরস্পরের পরিচিত। এই চক্র মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তার পরও কেউ চাঁদা দিতে অসম্মত হলে তারা ভুক্তভোগীদের বাসাবাড়ি অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ডাকাতি করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
ইডেন অটোসে ডাকাতির পরিকল্পনা
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইডেন অটোসের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করেছিল অভিযুক্তরা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে একজন পলাতক সন্ত্রাসীর নামে ইডেন অটোস নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে আসছে তারা। চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এই চক্রের সদস্যরা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হলে তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটিতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। গত ১১ অক্টোবর তারা ঢাকা উদ্যান এলাকায় জসিমের বাসায় জহির, জাহিদ, নয়ন, খায়রুল ও রাকিব একত্রিত হয়ে শ্যামলী ইডেন অটো শোরুমে ডাকাতির বিস্তারিত পরিকল্পনা করে। ওই দিন সন্ধ্যায় তারা ওই শোরুম রেকি করে। জসিম ও জহির ঢাকা উদ্যান কাঁচাবাজার থেকে ডাকাতির জন্য চারটি চাপাতি কিনে আনে। পরদিন; অর্থাৎ, ১২ অক্টোবর তারা ঢাকা উদ্যানে জড়ো হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শোরুমের সামনে আসে এবং শোরুমের লোকজন ও আশপাশের লোকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। জাহিদ তার ব্যাগ থেকে তিনটি চাপাতি জহির, রাকিব ও খায়রুলের হাতে দেয় এবং নিজে একটি চাপাতি নিয়ে নয়নসহ শোরুমে প্রবেশ করে। এ সময় জসিম শোরুমের বাইরে অবস্থান করে ওয়াচম্যান হিসেবে কাজ করে।
জহির শোরুমে ঢুকেই ত্রাস সৃষ্টির জন্য চাপাতি দিয়ে ম্যানেজার সবুজকে আঘাত করে এবং রাকিব চাপাতি দিয়ে শোরুমের মোটর টেকনিশিয়ান হাসানকে আঘাত করে। এ সময় দলের অন্য সদস্যরা শোরুমে ভাঙচুর করে। গ্রেপ্তার জাহিদ চাপাতি নিয়ে শোরুমের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ক্যাশিয়ারকে ভয় দেখিয়ে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা লুট করে। মাত্র পাঁচ-ছয় মিনিটেই ডাকাতি শেষ করে বের হয়ে যায় তারা। জহির ও জাহিদ লেকসিটিতে জাহিদের বাসায় টাকা নিয়ে যায়। পরে নিজ নিজ ভাগের টাকা নিয়ে সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।
ইডেন অটোস মোটরসাইকেল শোরুমের মালিক আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা বাজাস মোটরসের ডিলার। ডাকাতির ঘটনা সবাই জানেন। এর আগে আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ওরা কিছু করতে পারবে না। চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে এটা কখনো চাইনি। তাই আমরা হুমকি আমলে নিইনি। কিন্তু এরা আমাদের বিদেশি নম্বর দিয়ে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি তারা দোকানে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছে।'
আবদুল খালেক বলেন, `মোবাইলে ডাকাত দলের নেতা আমাদের বলেছে, চাঁদা না দিলে কী হবে, সেটা বুঝতে পাশের ঢাকা টায়ারের ঘটনা দেখ। আমার দোকানের ম্যানেজার বলেছে যে তারা অস্ত্র নিয়ে ঢাকা টায়ারে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হামলার উদাহরণ দিয়ে বারবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারা মাত্র পাঁচ মিনিটে হামলা চালিয়ে পুরো দোকান তছনছ করে। আমার দোকানের ম্যানেজারের পায়ে আর প্রধান মেকানিককের কাঁধে কোপ দেয়। এ ছাড়া আমাদের ক্যাশে থাকা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান, সাহাদত, আলমগীরসহ কয়েকজনের নাম ব্যবহার করে বিদেশি মোবাইল নম্বর দিয়ে কল করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে একটি চক্র। এই চক্রের মূল টার্গেট বড় ব্যবসায়ী ও নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকেরা। এই চক্রের প্রধানসহ ছয়জনকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডাকাত চক্রের সদস্যরা পেশায় অটোরিকশাচালক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, লেবার, পিয়ন ইত্যাদি। বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল তারা। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১২ অক্টোবর রাজধানীর শ্যামলীতে ইডেন অটোস মোটরসাইকেল শোরুমে ডাকাতির ঘটনার পরিকল্পনাকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরসহ চক্রের ছয় সদস্যকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—চক্রটির প্রধান জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির, প্রধান সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম শিকদার, খায়রুল ভূঁইয়া, রাকিব হাসান ও মো. নয়ন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় শ্যামলীতে উত্তরা মোটরসের ডিলার ইডেন আটোস নামের শোরুমে একটি ডাকাত দল ঢুকে ম্যানেজার ওয়াদুদ সজীব ও মোটর টেকনিশিয়ান নুরনবী হাসানকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ডাকাত দলের কিছু সদস্য শোরুমের দোতলায় উঠে গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যাশ ড্রয়ার ইত্যাদি ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ডেস্কটপ মনিটর নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শোরুমের মালিকের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রাতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এবং ধামরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ওই অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি এবং শোরুম থেকে লুণ্ঠিত ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ডাকাতিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, তারা মোহাম্মদপুরকেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য, যার সদস্যসংখ্যা ৮-১০। তারা সবাই এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে বাস করছে এবং এই সূত্রে পরস্পরের পরিচিত। এই চক্র মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তার পরও কেউ চাঁদা দিতে অসম্মত হলে তারা ভুক্তভোগীদের বাসাবাড়ি অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ডাকাতি করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
ইডেন অটোসে ডাকাতির পরিকল্পনা
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইডেন অটোসের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করেছিল অভিযুক্তরা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে একজন পলাতক সন্ত্রাসীর নামে ইডেন অটোস নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে আসছে তারা। চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এই চক্রের সদস্যরা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হলে তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটিতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। গত ১১ অক্টোবর তারা ঢাকা উদ্যান এলাকায় জসিমের বাসায় জহির, জাহিদ, নয়ন, খায়রুল ও রাকিব একত্রিত হয়ে শ্যামলী ইডেন অটো শোরুমে ডাকাতির বিস্তারিত পরিকল্পনা করে। ওই দিন সন্ধ্যায় তারা ওই শোরুম রেকি করে। জসিম ও জহির ঢাকা উদ্যান কাঁচাবাজার থেকে ডাকাতির জন্য চারটি চাপাতি কিনে আনে। পরদিন; অর্থাৎ, ১২ অক্টোবর তারা ঢাকা উদ্যানে জড়ো হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শোরুমের সামনে আসে এবং শোরুমের লোকজন ও আশপাশের লোকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। জাহিদ তার ব্যাগ থেকে তিনটি চাপাতি জহির, রাকিব ও খায়রুলের হাতে দেয় এবং নিজে একটি চাপাতি নিয়ে নয়নসহ শোরুমে প্রবেশ করে। এ সময় জসিম শোরুমের বাইরে অবস্থান করে ওয়াচম্যান হিসেবে কাজ করে।
জহির শোরুমে ঢুকেই ত্রাস সৃষ্টির জন্য চাপাতি দিয়ে ম্যানেজার সবুজকে আঘাত করে এবং রাকিব চাপাতি দিয়ে শোরুমের মোটর টেকনিশিয়ান হাসানকে আঘাত করে। এ সময় দলের অন্য সদস্যরা শোরুমে ভাঙচুর করে। গ্রেপ্তার জাহিদ চাপাতি নিয়ে শোরুমের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ক্যাশিয়ারকে ভয় দেখিয়ে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা লুট করে। মাত্র পাঁচ-ছয় মিনিটেই ডাকাতি শেষ করে বের হয়ে যায় তারা। জহির ও জাহিদ লেকসিটিতে জাহিদের বাসায় টাকা নিয়ে যায়। পরে নিজ নিজ ভাগের টাকা নিয়ে সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।
ইডেন অটোস মোটরসাইকেল শোরুমের মালিক আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা বাজাস মোটরসের ডিলার। ডাকাতির ঘটনা সবাই জানেন। এর আগে আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ওরা কিছু করতে পারবে না। চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে এটা কখনো চাইনি। তাই আমরা হুমকি আমলে নিইনি। কিন্তু এরা আমাদের বিদেশি নম্বর দিয়ে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি তারা দোকানে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছে।'
আবদুল খালেক বলেন, `মোবাইলে ডাকাত দলের নেতা আমাদের বলেছে, চাঁদা না দিলে কী হবে, সেটা বুঝতে পাশের ঢাকা টায়ারের ঘটনা দেখ। আমার দোকানের ম্যানেজার বলেছে যে তারা অস্ত্র নিয়ে ঢাকা টায়ারে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হামলার উদাহরণ দিয়ে বারবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারা মাত্র পাঁচ মিনিটে হামলা চালিয়ে পুরো দোকান তছনছ করে। আমার দোকানের ম্যানেজারের পায়ে আর প্রধান মেকানিককের কাঁধে কোপ দেয়। এ ছাড়া আমাদের ক্যাশে থাকা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।
রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। এরপর তারা পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে না পেয়ে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নয়ন রায় (২০) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আজ শুক্রবার সকালে ফুলবাড়ী রেলস্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে রেলওয়ে ২০ নম্বর ব্রিজ এলাকার পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
১৮ মিনিট আগেএনসিপির বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের পর নেতারা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান। এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুর রহমান সোহেল বলেন, ‘সাক্ষাতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বলেন, বান্দরবানে “জুলাই আন্দোলন” নামে কোনো আন্দোলন হয়নি।
২১ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে ফাহিম মাদক সেবন করে বাসায় ফিরে তার মা ছালমা বেগম ও বোনের কাছে টাকা দাবি করেন। তাঁরা অস্বীকৃতি জানালে ফাহিম তাঁদের মারধর করেন এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
৩৭ মিনিট আগে