নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের খালাসের মধ্য দিয়ে সত্য জয়ী হয়েছে এবং মিথ্যা পরাজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।
শিশির মনির বলেন, ‘সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই রায়ের মাধ্যমে সত্য জয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। জামায়াত ও বিএনপির ৬ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অন্তত ৫ জন কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এটি নজীরবিহীন নির্যাতনের শামিল।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘এটিএম আজহারুল ইসলাম সৌভাগ্যবান। তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। মহান আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাই। আমরা এটাও মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড অবিচারের অবসান হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।’
পর্যবেক্ষণের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘আপিল বিভাগ চারটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, অতীতের রায়ে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণ মূল্যায়ন না করেই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিচারের নামে অবিচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব তথ্য-প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আজকে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। আমরা শর্ট অর্ডার চেয়েছি। এটি আদালত মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানি শেষে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়। আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আজ রায় দেওয়া হয়।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম, জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের খালাসের মধ্য দিয়ে সত্য জয়ী হয়েছে এবং মিথ্যা পরাজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।
শিশির মনির বলেন, ‘সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই রায়ের মাধ্যমে সত্য জয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। জামায়াত ও বিএনপির ৬ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অন্তত ৫ জন কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এটি নজীরবিহীন নির্যাতনের শামিল।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘এটিএম আজহারুল ইসলাম সৌভাগ্যবান। তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। মহান আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাই। আমরা এটাও মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড অবিচারের অবসান হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।’
পর্যবেক্ষণের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘আপিল বিভাগ চারটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, অতীতের রায়ে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণ মূল্যায়ন না করেই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিচারের নামে অবিচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব তথ্য-প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আজকে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। আমরা শর্ট অর্ডার চেয়েছি। এটি আদালত মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানি শেষে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়। আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আজ রায় দেওয়া হয়।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম, জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।
আদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর...
৬ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলে কোচিং শেষে নিজের ক্লাসে যায় ছাত্রীরা। এ সময় একজন পানির বোতল থেকে পানি পান করে। পানিতে দুর্গন্ধ পেয়ে সে বিষয়টি সহপাঠীদের জানায়। এরপর আরও চার ছাত্রী ওই পানি খেয়ে অসুস্থবোধ করতে থাকে।
৬ মিনিট আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
১২ মিনিট আগেরংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএন
১৫ মিনিট আগে