আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
কাঁঠাল দেশের জাতীয় ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়ই কম-বেশি কাঁঠাল জন্মায়। তবে গাজীপুরজুড়ে কাঁঠালের ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। আর দেশজুড়ে কাপাসিয়ার কাঁঠালের বিশেষ প্রসিদ্ধি রয়েছে।
প্রতিবছর কাঁঠালের মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে কাপাসিয়া থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যান। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সকাল-সন্ধ্যা কাঁঠাল বেচাকেনা চলে। এ সময়ে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত থাকে উপজেলার কাঁঠালের বাজারগুলো। উপজেলার কাপাসিয়া বাজার, রানীগঞ্জ, রাউনাট, ঘাটকুড়ি, চাঁদপুর, আমরাইদ, দরদরিয়া, টোক, বীর উজুলী, আড়াল, ঘাগটিয়া, চালার বাজার থেকে পাইকাররা সরাসরি কাঁঠাল কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য ট্রাক-পিকআপ ও নদীপথে নৌকায় করে নিয়ে যান।
কাঁঠালে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, আর কোনো ফলে তা নেই। পাকা কাঁঠাল ফল হিসেবে বেশ উপাদেয়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। ফলটির কোনো অংশই ফেলনা নয়; এর বিচি তরকারি হিসেবে খুবই মজাদার; চামড়া বা খোসা গরুর প্রিয় খাবার।
ঢাকা-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে খেয়াঘাটে কাপাসিয়া বাজার উপজেলায় কাঁঠালের সবচেয়ে বড় বাজার। সপ্তাহে দুই দিন এখানে কাঁঠালের হাট বসে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের পাশে কাঁঠাল কিনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বাজারজুড়ে কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে আছে। কাঁঠাল পরিবহনের জন্য চারপাশে কাঁঠালভর্তি ভ্যান, ঠেলা গাড়ি, ছোট-বড় পিকআপ রাখা। এখানে কাঁঠাল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কয়েক শ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
কাঁঠাল চাষি বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমার ৩০টি কাঁঠালগাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলন বেশি হয়েছে। এখন কাঁঠালের দাম ভালো পাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতেও এ রকম দাম পেলে এ বছর কাঁঠাল বিক্রি করে অনেক টাকা আয় হবে।’
কাপাসিয়া বাজার থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঁঠাল কিনে কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন মো. কাজিম উদ্দিন আকন্দ। তিনি বলেন, ৫৫ থেকে ৯৫ টাকা করে কাঁঠাল কিনেছেন কৃষক ও ছোট পাইকারদের কাছ থেকে। পাঁচ টাকা করে বাজারের ইজারা ও তিন টাকা করে ট্রাকে বোঝাইয়ে খরচ হয়। সঙ্গে রয়েছে ট্রাক ভাড়া। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ বছর ট্রাক ভাড়া প্রায় ৩ হাজার টাকা বেড়েছে। তবু কাঁঠাল বিক্রি করে ভালো ব্যবসার আশা করেন তিনি।
কাপাসিয়া থেকে কাঁঠাল কিনে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করেন মো. মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘২০ থেকে ৬০ টাকা দরে কাঁঠাল কিনেছি। কাপাসিয়ার কাঁঠালের চাহিদা অনেক। নদীপথে ট্রলারে করে কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হবে নারায়ণগঞ্জে। ট্রলারে তুলতে শ্রমিককে প্রতিটি কাঁঠালের জন্য পাঁচ টাকা দিতে হবে। পাঁচ টাকা দিতে হয় বাজারের ইজারাদারকে। এ বছর কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। কাঁঠালগুলো দেখতে সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু।’
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ। তিনি একটি বিশেষ কাজে কাপাসিয়া এসেছেন। কাপাসিয়া বাজারে কাঁঠাল দেখে বাসার জন্য চারটি কাঁঠাল কেনেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কাপাসিয়ার কাঁঠাল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে খেয়েছি। কাপাসিয়ার কাঁঠাল খেতে অনেক সুস্বাদু। তাই এই বাজার থেকে একটি পাকা ও তিনটি কাঁচা কাঁঠাল কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।’
কাপাসিয়া বাজারের ইজারাদার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘কাপাসিয়ার কাঁঠালের দেশজুড়ে অনেক সুখ্যাতি রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বেশির ভাগ পাইকার সরাসরি এলাকার বাগান থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাপাসিয়ার কাঁঠাল অনেক সুস্বাদু। এ বছর ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে কাঁঠালের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া। কাঁঠাল পাকা শুরু হলে একসঙ্গে অনেক কাঁঠাল পেকে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত করে মজুত করে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পরবর্তী সময় বিক্রি ও ব্যবহার করা যায়।
কাঁঠাল দেশের জাতীয় ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়ই কম-বেশি কাঁঠাল জন্মায়। তবে গাজীপুরজুড়ে কাঁঠালের ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। আর দেশজুড়ে কাপাসিয়ার কাঁঠালের বিশেষ প্রসিদ্ধি রয়েছে।
প্রতিবছর কাঁঠালের মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে কাপাসিয়া থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যান। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সকাল-সন্ধ্যা কাঁঠাল বেচাকেনা চলে। এ সময়ে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত থাকে উপজেলার কাঁঠালের বাজারগুলো। উপজেলার কাপাসিয়া বাজার, রানীগঞ্জ, রাউনাট, ঘাটকুড়ি, চাঁদপুর, আমরাইদ, দরদরিয়া, টোক, বীর উজুলী, আড়াল, ঘাগটিয়া, চালার বাজার থেকে পাইকাররা সরাসরি কাঁঠাল কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য ট্রাক-পিকআপ ও নদীপথে নৌকায় করে নিয়ে যান।
কাঁঠালে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, আর কোনো ফলে তা নেই। পাকা কাঁঠাল ফল হিসেবে বেশ উপাদেয়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। ফলটির কোনো অংশই ফেলনা নয়; এর বিচি তরকারি হিসেবে খুবই মজাদার; চামড়া বা খোসা গরুর প্রিয় খাবার।
ঢাকা-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে খেয়াঘাটে কাপাসিয়া বাজার উপজেলায় কাঁঠালের সবচেয়ে বড় বাজার। সপ্তাহে দুই দিন এখানে কাঁঠালের হাট বসে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের পাশে কাঁঠাল কিনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বাজারজুড়ে কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে আছে। কাঁঠাল পরিবহনের জন্য চারপাশে কাঁঠালভর্তি ভ্যান, ঠেলা গাড়ি, ছোট-বড় পিকআপ রাখা। এখানে কাঁঠাল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কয়েক শ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
কাঁঠাল চাষি বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমার ৩০টি কাঁঠালগাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলন বেশি হয়েছে। এখন কাঁঠালের দাম ভালো পাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতেও এ রকম দাম পেলে এ বছর কাঁঠাল বিক্রি করে অনেক টাকা আয় হবে।’
কাপাসিয়া বাজার থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঁঠাল কিনে কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন মো. কাজিম উদ্দিন আকন্দ। তিনি বলেন, ৫৫ থেকে ৯৫ টাকা করে কাঁঠাল কিনেছেন কৃষক ও ছোট পাইকারদের কাছ থেকে। পাঁচ টাকা করে বাজারের ইজারা ও তিন টাকা করে ট্রাকে বোঝাইয়ে খরচ হয়। সঙ্গে রয়েছে ট্রাক ভাড়া। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ বছর ট্রাক ভাড়া প্রায় ৩ হাজার টাকা বেড়েছে। তবু কাঁঠাল বিক্রি করে ভালো ব্যবসার আশা করেন তিনি।
কাপাসিয়া থেকে কাঁঠাল কিনে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করেন মো. মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘২০ থেকে ৬০ টাকা দরে কাঁঠাল কিনেছি। কাপাসিয়ার কাঁঠালের চাহিদা অনেক। নদীপথে ট্রলারে করে কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হবে নারায়ণগঞ্জে। ট্রলারে তুলতে শ্রমিককে প্রতিটি কাঁঠালের জন্য পাঁচ টাকা দিতে হবে। পাঁচ টাকা দিতে হয় বাজারের ইজারাদারকে। এ বছর কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। কাঁঠালগুলো দেখতে সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু।’
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ। তিনি একটি বিশেষ কাজে কাপাসিয়া এসেছেন। কাপাসিয়া বাজারে কাঁঠাল দেখে বাসার জন্য চারটি কাঁঠাল কেনেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কাপাসিয়ার কাঁঠাল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে খেয়েছি। কাপাসিয়ার কাঁঠাল খেতে অনেক সুস্বাদু। তাই এই বাজার থেকে একটি পাকা ও তিনটি কাঁচা কাঁঠাল কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।’
কাপাসিয়া বাজারের ইজারাদার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘কাপাসিয়ার কাঁঠালের দেশজুড়ে অনেক সুখ্যাতি রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বেশির ভাগ পাইকার সরাসরি এলাকার বাগান থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাপাসিয়ার কাঁঠাল অনেক সুস্বাদু। এ বছর ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে কাঁঠালের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া। কাঁঠাল পাকা শুরু হলে একসঙ্গে অনেক কাঁঠাল পেকে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত করে মজুত করে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পরবর্তী সময় বিক্রি ও ব্যবহার করা যায়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৩৩ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
৩৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
৪১ মিনিট আগেসহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে