ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘আমার আব্বাও নাই, ভাইও নাই, মায়ের অবস্থায়ও ভালো না। কাকা, ওরা মারা গেছে। আমি হাসপাতালে আছি, আমি এহন কী করব।’ এভাবে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে কেঁদে কেঁদে এক স্বজনকে (চাচা সম্বোধন) বলছিলেন মো. সাহেদ সর্দার। বাবা, ভাইকে হারিয়ে ও মা মৃত্যুশয্যায় থাকায় তিনি শোকে স্তব্ধ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা এলাকায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাহেদ সর্দারের বাবা জোয়াদ সর্দার (৬৫) ও ছোট ভাই ইমান সর্দার (৩৫)।
এ ঘটনায় তাঁর বৃদ্ধ মা গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সাহেদ সর্দারের বাবা, মা ও ছোট ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছিলেন অসুস্থ এক স্বজনকে দেখতে। খাবার রান্না করেও নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সেই মেডিকেলেই এসেছেন লাশ হয়ে।
খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন বড় ছেলে সাহেদ সর্দার। এসেই তিনি বাবা ও ভাইয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি স্বজনদের মোবাইল ফোনে জানাচ্ছিলেন এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা। বলতে বলতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে।
সাংবাদিকদের দেখতেই লোকাল বাস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাহেদ সর্দার বলেন, মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরের রাস্তায় শুধু ড্রাইভার ও মালিক সমিতির কারণে হাজারো মা-বোনকে জীবন দিতেছে হয়েছে। কারণ কিছু ড্রাইভার লাইসেন্স ছাড়া বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। এদের বিরুদ্ধে মালিক সমিতিও ব্যবস্থা নেয় না।
তিনি বলেন, ‘এই ড্রাইভারদের ভুলের কারণে আমার অলরেডি দুজন মারা গেছে, আমার মাও মৃত্যুর মুখে। আজ যদি ড্রাইভাররা নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চালাত, আমার বাবা ও ভাই মারা যেত না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফারাবি এন্টারপ্রাইজ নামে লোকাল বাসটি বাখুন্ডা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর সেটি সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে উল্টে পড়ে যায়। তাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া নিহত প্রতিটি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে দাফনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে এবং পরবর্তীকালে বিআরটিএর মাধ্যমে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
‘আমার আব্বাও নাই, ভাইও নাই, মায়ের অবস্থায়ও ভালো না। কাকা, ওরা মারা গেছে। আমি হাসপাতালে আছি, আমি এহন কী করব।’ এভাবে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে কেঁদে কেঁদে এক স্বজনকে (চাচা সম্বোধন) বলছিলেন মো. সাহেদ সর্দার। বাবা, ভাইকে হারিয়ে ও মা মৃত্যুশয্যায় থাকায় তিনি শোকে স্তব্ধ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা এলাকায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাহেদ সর্দারের বাবা জোয়াদ সর্দার (৬৫) ও ছোট ভাই ইমান সর্দার (৩৫)।
এ ঘটনায় তাঁর বৃদ্ধ মা গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সাহেদ সর্দারের বাবা, মা ও ছোট ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছিলেন অসুস্থ এক স্বজনকে দেখতে। খাবার রান্না করেও নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সেই মেডিকেলেই এসেছেন লাশ হয়ে।
খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন বড় ছেলে সাহেদ সর্দার। এসেই তিনি বাবা ও ভাইয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি স্বজনদের মোবাইল ফোনে জানাচ্ছিলেন এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা। বলতে বলতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে।
সাংবাদিকদের দেখতেই লোকাল বাস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাহেদ সর্দার বলেন, মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরের রাস্তায় শুধু ড্রাইভার ও মালিক সমিতির কারণে হাজারো মা-বোনকে জীবন দিতেছে হয়েছে। কারণ কিছু ড্রাইভার লাইসেন্স ছাড়া বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। এদের বিরুদ্ধে মালিক সমিতিও ব্যবস্থা নেয় না।
তিনি বলেন, ‘এই ড্রাইভারদের ভুলের কারণে আমার অলরেডি দুজন মারা গেছে, আমার মাও মৃত্যুর মুখে। আজ যদি ড্রাইভাররা নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চালাত, আমার বাবা ও ভাই মারা যেত না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফারাবি এন্টারপ্রাইজ নামে লোকাল বাসটি বাখুন্ডা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর সেটি সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে উল্টে পড়ে যায়। তাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া নিহত প্রতিটি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে দাফনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে এবং পরবর্তীকালে বিআরটিএর মাধ্যমে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছিলেন রাজশাহীর বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম ওরফে তফি। পরে শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে তাঁর জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সভাপতির পদ বাতিল করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ...
১ মিনিট আগেআদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর...
৮ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলে কোচিং শেষে নিজের ক্লাসে যায় ছাত্রীরা। এ সময় একজন পানির বোতল থেকে পানি পান করে। পানিতে দুর্গন্ধ পেয়ে সে বিষয়টি সহপাঠীদের জানায়। এরপর আরও চার ছাত্রী ওই পানি খেয়ে অসুস্থবোধ করতে থাকে।
৯ মিনিট আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
১৫ মিনিট আগে