Ajker Patrika

সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের ৩ নারী-শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ০৮
নিহতদের বাড়িতে স্বজন ও এলাকাবাসীর ভীড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতদের বাড়িতে স্বজন ও এলাকাবাসীর ভীড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দী অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার পুকুরপাড় বড়বাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে ইট-সুরকির স্তূপের নিচে লাশগুলো পাওয়া যায়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার সামাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫), তাঁর ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) ও লামিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৪)। এ ঘটনায় লামিয়ার স্বামী ইয়াছিনকে আটক করেছে পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনূর আলম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই বোন ও শিশুটি সম্প্রতি পুকুরপাড় এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভাড়া ওঠে। ছোট বোন লামিয়ার স্বামী মাদক ব্যবসায়ী আর বড় বোন স্বপ্না মানসিক ভারসাম্যহীন। কিছুদিন আগে লামিয়ার স্বামী ইয়াছিন র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। তিনি ৭ এপ্রিল জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি আসেন। চার দিন ধরে সবাই নিখোঁজ ছিল। আজ দুপুরে বাড়ির পাশে বস্তাবন্দী অবস্থায় তিনজনের খণ্ডিত লাশ পাওয়া যায়।

বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘১ এপ্রিল লামিয়া বাসা ভাড়া নেয়। সে, তার বোন স্বপ্না আর তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাসায় থাকত। ৭ তারিখে তার স্বামী এলে আমরা জানতে চাই, এই লোক কে? তখন লামিয়া জানায় ওই লোক তার স্বামী এবং সম্প্রতি সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তিন-চার দিন ধরে ঘর তালাবদ্ধ ছিল। আমরা ভেবেছি ঈদের ছুটিতে তারা অন্যত্র গেছে। আজকে এলাকার লোকজন বাড়ির সামনের রাস্তায় ইট-সুরকি দিয়ে ঢেকে রাখা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।’

স্বপ্না ও লামিয়ার বড় বোন শিরিন বেগম বলেন, ‘লামিয়া প্রেম করে বিয়ে করে এক সন্তানের মা হয়ে সংসার করছিল। স্বপ্না মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। চার দিন ধরে তাঁদের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আমার দুই বোনের সঙ্গে এক ভাগনেও খুন হয়েছে। দুই বোনের মধ্যে লামিয়ার স্বামী একজন বখাটে ছিল। তাঁদের সংসারে প্রায় সময় সমস্যা হতো। আমরা জানি না, কে তাদের হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনূর বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা দুপুরে বস্তাবন্দী হাত দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দুজন নারী ও এক শিশুর খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে। নিহতদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) তাসমিন আক্তার বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চার দিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে তাঁদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লামিয়া আক্তারের স্বামী ইয়াছিনকে সিদ্ধিরগঞ্জের কলাপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত