রায়পুরা (নরসিংদী) হারুনুর রশিদ
ভালো নেই বিটিভির তালিকাভুক্ত গীতিকার ও কবি আবু বক্কর সিদ্দিক। নরসীংদীর এই কবির বিপুল রচনা অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। নিজের লেখা কবিতা প্রকাশের জন্য জনে জনে ধরনা দিয়ে এখন ক্লান্ত তিনি।
নরসিংদীর রায়পুরায় ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম আবু বক্কর সিদ্দিকের। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা গজল, গান, লোকগীতি, বিচ্ছেদী, মুর্শীদি, গজল, হামদ-নাত, গীতি-কবিতার সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার। সুরকার হিসেবেও খ্যাতি আছে। তাঁর লেখা গান ও গজলে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন মৌলভি তোফাজ্জল হোসেন ভৈরবী, মাওলানা মোজাম্মেল হক, ফরিদা পারভীন, মনির, মোস্তফা প্রমুখ।
জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাননি কখনো। কিন্তু এই দারিদ্র্য তাঁর মননে দারিদ্র্য আনতে পারেনি কখনো। ছোটবেলা থেকেই তিনি নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখিতে ছিলেন পারদর্শী। গ্রামের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে নির্জনে বসে আপন মনে তিনি কবিতা লিখতেন। বন্ধুরা খুঁজে না পেলে নিশ্চিন্তে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে চলে যেতেন। কারণ, সেখানেই বেশি পাওয়া যেত তাঁকে। ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে পড়ার সময়েই আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ পরিকল্পনা রচনা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করতে গিয়ে আহত হন। এরপরও থেমে থাকেনি তাঁর কলম। ২০০৫ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) তালিকাভুক্ত গীতিকার হন।
আবু বক্কর সিদ্দিকের লেখা ৩৫টি গজল নিয়ে ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় ‘নবীর প্রেমে পাগল’ নামের একটি অ্যালবাম। তাঁর প্রকাশিত অডিওর সংখ্যা ২৩৫ টি, সিডির সংখ্যা ১৮ টি। আর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির সংখ্যা শতাধিক। প্রকাশের পথে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর কাব্য গ্রন্থ। কিন্তু এই লেখাগুলো প্রকাশের জন্য তাঁকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। পাণ্ডুলিপিগুলো অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থেকে এখন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ আবু বক্কর সিদ্দিকের লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত হাবিবুল্লাহ পাঠান ‘নরসিংদীর লোক-কবি’ বইয়ে তাঁর (আবু বক্কর সিদ্দিক) কর্মময় জীবন নিয়ে লিখেছেন।
অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে এখন দিন কাটছে আবু বক্কর সিদ্দিকের। স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার। রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে (রামনগর) কবি আবু বক্কর সিদ্দিকের ঘরে ঢুকতেই দেখা যায়, মেঝেতে বসেই খাতায় লিখছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, 'অসংখ্য অপ্রকাশিত গান, কবিতা, গজল, কাব্যগ্রন্থ ভাঙা ঘরে অযত্নে-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। টাকার অভাবে আমি এগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। সর্বশেষ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কাব্যগ্রন্থ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমান এক প্রকাশকের কাছে দিয়েছিলেন। মিলি ভাবি দেশের বাইরে থাকায় আমার বইটি প্রকাশক আটকে দেন। তিনি (প্রকাশক) আমার কাছ থেকে টাকা চাইছেন। এই টাকা আমি কী করে দিব? আমি তো নিজেই চলতে পারছি না।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা অলি মাহমুদ বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিকের চমৎকার লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে যাই। এমন কীর্তিমান লেখকের মৃত্যুর পর আমরা হয়তো তাঁর মূল্যটা বুঝতে পারব।’
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক রচিত গজল গেয়ে মৌলভি তোফাজ্জল ভৈরবী সরা দেশে জনপ্রিয় হয়েছেন। অনেক বড় বড় গুণী শিল্পী তাঁর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়ে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। অথচ আবু বক্কর সিদ্দিক পড়ে রইলেন দুঃখ-দুর্দশার মাঝে। তিনি খুবই অসহায় জীবনযাপন করছেন। এমন গুণীজনকে কেউ ভালো করে চিনতেও পারেনি। টাকার অভাবে তাঁর বইগুলো আজও অপ্রকাশিত।’
ভালো নেই বিটিভির তালিকাভুক্ত গীতিকার ও কবি আবু বক্কর সিদ্দিক। নরসীংদীর এই কবির বিপুল রচনা অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। নিজের লেখা কবিতা প্রকাশের জন্য জনে জনে ধরনা দিয়ে এখন ক্লান্ত তিনি।
নরসিংদীর রায়পুরায় ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম আবু বক্কর সিদ্দিকের। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা গজল, গান, লোকগীতি, বিচ্ছেদী, মুর্শীদি, গজল, হামদ-নাত, গীতি-কবিতার সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার। সুরকার হিসেবেও খ্যাতি আছে। তাঁর লেখা গান ও গজলে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন মৌলভি তোফাজ্জল হোসেন ভৈরবী, মাওলানা মোজাম্মেল হক, ফরিদা পারভীন, মনির, মোস্তফা প্রমুখ।
জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাননি কখনো। কিন্তু এই দারিদ্র্য তাঁর মননে দারিদ্র্য আনতে পারেনি কখনো। ছোটবেলা থেকেই তিনি নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখিতে ছিলেন পারদর্শী। গ্রামের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে নির্জনে বসে আপন মনে তিনি কবিতা লিখতেন। বন্ধুরা খুঁজে না পেলে নিশ্চিন্তে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে চলে যেতেন। কারণ, সেখানেই বেশি পাওয়া যেত তাঁকে। ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে পড়ার সময়েই আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ পরিকল্পনা রচনা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করতে গিয়ে আহত হন। এরপরও থেমে থাকেনি তাঁর কলম। ২০০৫ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) তালিকাভুক্ত গীতিকার হন।
আবু বক্কর সিদ্দিকের লেখা ৩৫টি গজল নিয়ে ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় ‘নবীর প্রেমে পাগল’ নামের একটি অ্যালবাম। তাঁর প্রকাশিত অডিওর সংখ্যা ২৩৫ টি, সিডির সংখ্যা ১৮ টি। আর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির সংখ্যা শতাধিক। প্রকাশের পথে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর কাব্য গ্রন্থ। কিন্তু এই লেখাগুলো প্রকাশের জন্য তাঁকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। পাণ্ডুলিপিগুলো অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থেকে এখন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ আবু বক্কর সিদ্দিকের লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত হাবিবুল্লাহ পাঠান ‘নরসিংদীর লোক-কবি’ বইয়ে তাঁর (আবু বক্কর সিদ্দিক) কর্মময় জীবন নিয়ে লিখেছেন।
অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে এখন দিন কাটছে আবু বক্কর সিদ্দিকের। স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার। রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে (রামনগর) কবি আবু বক্কর সিদ্দিকের ঘরে ঢুকতেই দেখা যায়, মেঝেতে বসেই খাতায় লিখছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, 'অসংখ্য অপ্রকাশিত গান, কবিতা, গজল, কাব্যগ্রন্থ ভাঙা ঘরে অযত্নে-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। টাকার অভাবে আমি এগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। সর্বশেষ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কাব্যগ্রন্থ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমান এক প্রকাশকের কাছে দিয়েছিলেন। মিলি ভাবি দেশের বাইরে থাকায় আমার বইটি প্রকাশক আটকে দেন। তিনি (প্রকাশক) আমার কাছ থেকে টাকা চাইছেন। এই টাকা আমি কী করে দিব? আমি তো নিজেই চলতে পারছি না।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা অলি মাহমুদ বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিকের চমৎকার লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে যাই। এমন কীর্তিমান লেখকের মৃত্যুর পর আমরা হয়তো তাঁর মূল্যটা বুঝতে পারব।’
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক রচিত গজল গেয়ে মৌলভি তোফাজ্জল ভৈরবী সরা দেশে জনপ্রিয় হয়েছেন। অনেক বড় বড় গুণী শিল্পী তাঁর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়ে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। অথচ আবু বক্কর সিদ্দিক পড়ে রইলেন দুঃখ-দুর্দশার মাঝে। তিনি খুবই অসহায় জীবনযাপন করছেন। এমন গুণীজনকে কেউ ভালো করে চিনতেও পারেনি। টাকার অভাবে তাঁর বইগুলো আজও অপ্রকাশিত।’
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয়
৩ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
৪ ঘণ্টা আগে