কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাজার খেয়াঘাটে সাদা চুল-দাড়ির যে মাঝিটিকে দেখবেন, তিনিই মনির মাঝি। মনিরুল ইসলাম তাঁর নাম, তবে মনির মাঝি বলেই পরিচিত তিনি।
এ ঘাটে তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক মাঝি। কম বয়সী মাঝিরা তাঁকে ভালোবাসেন, সমীহ করে চলেন।
যাঁরা তাঁর নৌকায় ওঠেন, তাঁদের মনের কোণেও জায়গা পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান মাঝি।
একেবারে কিশোর বয়স থেকে এই ঘাটের সঙ্গেই জীবন বেঁধে নিয়েছেন তিনি। সাদা চুল-দাঁড়ি হলেও যুবকের মতো মেদহীন পেশিবহুল শরীর তাঁর। নৌকা আর বইঠা নিয়েই জীবনটা কেটে গেল। জীবনে আর কিছুর খোঁজ তিনি পাননি।
এই ‘আর কিছু’র মধ্যে আছে ঘর ও জমি। না, তাঁর বসতভিটা নেই। না, তাঁর কোনো জমি নেই। বইঠাই তাঁকে প্রতিদিনের মতো বাঁচিয়ে রাখে।
এর বেশি কিছু নেই তাঁর।
তাই কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খেয়াঘাটেই থাকেন তিনি। কেউ নৌভ্রমণ করেন, কেউ নদী পার হন, মনির মাঝি তাঁদের সঙ্গ দেন।
ঝড় হোক, বৃষ্টি হোক, কিংবা থাকুক প্রখর রোদ—সব আবহাওয়াতেই মনির মাঝিকে পাওয়া যাবে ঘাটে। উত্তাল শীতলক্ষ্যা নদীর বিপুল জলরাশিতে তাঁর বইঠা ওঠে আর নামে। একজন দক্ষ মাঝি হিসেবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও নরসিংদীর পলাশ—এ দুই উপজেলার শীতলক্ষ্যার মানুষ মনির মাঝি হিসেবেই চেনেন।
একটু কি অভিমান আছে মনির মাঝির? না হলে কেন বলবেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার করি, কিন্তু কেউ কখনো আমার জীবনের গল্প লেখেননি, শোনেননি সুখ-দুঃখের কথা!
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। শীতলক্ষ্যা নদীর মতো তিনি বেঁচে আছেন মুমূর্ষু অবস্থায়। কিশোর বয়সে বাবা মৃত কালু মাঝির সঙ্গে বইঠা হাতে শুরু করেছিলেন এই জীবন।
নৌকা বেয়ে পাঁচ-ছয় শ টাকা পাওয়া যায়। নৌকা ভাড়া ও ঘাটে দিয়ে থাকে দুই থেকে আড়াই শ টাকা। তা দিয়েই দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ ছয়জনের সংসার অনেক কষ্টে চলে।
তবে মানুষ তাঁর কথা না শুনলেও অনেকেই তাঁকে মনে রাখেন। ভালোবেসে অনেকেই সাহায্য করেন। আর তা দিয়েই চাল-ডাল কিনে কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে কাটাতে হয় দিনের পর দিন।
কেন ভালো লেগে গেল এই কাজ? তেমন কিছু না। ছেলেবেলায় দেখেছেন, খেয়া পার হওয়ার জন্য কত মানুষ অপেক্ষা করছে। দিনের বেলায় তবু সহজে খেয়া পাওয়া যায়, আর রাতে? রাত হলেই সমস্যা বাড়তে থাকে। এটা দেখেই তিনি হাতে তুলে নেন বইঠা। মানবসেবার জন্য এটা তাঁর একমাত্র হাতিয়ার।
অন্যের নৌকা ভাড়া নিয়েই শুরু করেছিলেন বইঠা বাওয়ার কাজ। এখনো সেটাই করে যাচ্ছেন। এই ৪৩ বছরে নিজের নৌকা আর হলো না।
মনির মাঝির কাছে সেবার কোনো মূল্য হয় না, তাই কারও কাছে খেয়া পারাপারের জন্য তিনি কিছু চেয়ে নেন না। কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে তা ফিরিয়েও দেন না। জীবনের এতগুলো বছর পরেও নিজের একটা নৌকা হলো না, এ কারণে দীর্ঘশ্বাস পড়ে তাঁর।
একটা নিজের নৌকা থাকতেই পারত এই মাঝির।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাজার খেয়াঘাটে সাদা চুল-দাড়ির যে মাঝিটিকে দেখবেন, তিনিই মনির মাঝি। মনিরুল ইসলাম তাঁর নাম, তবে মনির মাঝি বলেই পরিচিত তিনি।
এ ঘাটে তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক মাঝি। কম বয়সী মাঝিরা তাঁকে ভালোবাসেন, সমীহ করে চলেন।
যাঁরা তাঁর নৌকায় ওঠেন, তাঁদের মনের কোণেও জায়গা পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান মাঝি।
একেবারে কিশোর বয়স থেকে এই ঘাটের সঙ্গেই জীবন বেঁধে নিয়েছেন তিনি। সাদা চুল-দাঁড়ি হলেও যুবকের মতো মেদহীন পেশিবহুল শরীর তাঁর। নৌকা আর বইঠা নিয়েই জীবনটা কেটে গেল। জীবনে আর কিছুর খোঁজ তিনি পাননি।
এই ‘আর কিছু’র মধ্যে আছে ঘর ও জমি। না, তাঁর বসতভিটা নেই। না, তাঁর কোনো জমি নেই। বইঠাই তাঁকে প্রতিদিনের মতো বাঁচিয়ে রাখে।
এর বেশি কিছু নেই তাঁর।
তাই কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খেয়াঘাটেই থাকেন তিনি। কেউ নৌভ্রমণ করেন, কেউ নদী পার হন, মনির মাঝি তাঁদের সঙ্গ দেন।
ঝড় হোক, বৃষ্টি হোক, কিংবা থাকুক প্রখর রোদ—সব আবহাওয়াতেই মনির মাঝিকে পাওয়া যাবে ঘাটে। উত্তাল শীতলক্ষ্যা নদীর বিপুল জলরাশিতে তাঁর বইঠা ওঠে আর নামে। একজন দক্ষ মাঝি হিসেবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও নরসিংদীর পলাশ—এ দুই উপজেলার শীতলক্ষ্যার মানুষ মনির মাঝি হিসেবেই চেনেন।
একটু কি অভিমান আছে মনির মাঝির? না হলে কেন বলবেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার করি, কিন্তু কেউ কখনো আমার জীবনের গল্প লেখেননি, শোনেননি সুখ-দুঃখের কথা!
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। শীতলক্ষ্যা নদীর মতো তিনি বেঁচে আছেন মুমূর্ষু অবস্থায়। কিশোর বয়সে বাবা মৃত কালু মাঝির সঙ্গে বইঠা হাতে শুরু করেছিলেন এই জীবন।
নৌকা বেয়ে পাঁচ-ছয় শ টাকা পাওয়া যায়। নৌকা ভাড়া ও ঘাটে দিয়ে থাকে দুই থেকে আড়াই শ টাকা। তা দিয়েই দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ ছয়জনের সংসার অনেক কষ্টে চলে।
তবে মানুষ তাঁর কথা না শুনলেও অনেকেই তাঁকে মনে রাখেন। ভালোবেসে অনেকেই সাহায্য করেন। আর তা দিয়েই চাল-ডাল কিনে কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে কাটাতে হয় দিনের পর দিন।
কেন ভালো লেগে গেল এই কাজ? তেমন কিছু না। ছেলেবেলায় দেখেছেন, খেয়া পার হওয়ার জন্য কত মানুষ অপেক্ষা করছে। দিনের বেলায় তবু সহজে খেয়া পাওয়া যায়, আর রাতে? রাত হলেই সমস্যা বাড়তে থাকে। এটা দেখেই তিনি হাতে তুলে নেন বইঠা। মানবসেবার জন্য এটা তাঁর একমাত্র হাতিয়ার।
অন্যের নৌকা ভাড়া নিয়েই শুরু করেছিলেন বইঠা বাওয়ার কাজ। এখনো সেটাই করে যাচ্ছেন। এই ৪৩ বছরে নিজের নৌকা আর হলো না।
মনির মাঝির কাছে সেবার কোনো মূল্য হয় না, তাই কারও কাছে খেয়া পারাপারের জন্য তিনি কিছু চেয়ে নেন না। কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে তা ফিরিয়েও দেন না। জীবনের এতগুলো বছর পরেও নিজের একটা নৌকা হলো না, এ কারণে দীর্ঘশ্বাস পড়ে তাঁর।
একটা নিজের নৌকা থাকতেই পারত এই মাঝির।
প্রতিষ্ঠানের ভুলে দুই ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে দায় স্বীকার করেছেন উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদার।
২২ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ফেমাস ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় টফি বেগম (৩২) নামের এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। টফি বেগম উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার পৌঁওতা টিকড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
৩০ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ফেহা হোসেন (২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সান্তাহার রেলওয়ে হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়ায় গ্রাম চৌকিদারকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত চৌকিদারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার উপজেলার ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নের দিদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে