রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ
কালীগঞ্জের ভাটিরা বিল। আয়তনের দিক থেকে বিল বেলাইয়ের পরই এর স্থান। মাঠজুড়ে শুধুই ধানচাষিদের স্বপ্ন আর বর্ষাকালে জেলেদের কোন্দার (স্থানীয় বর্ষাকালীন বাহন) সারিতে মাছ ধরার উৎসব। দিগন্তজোড়া এ মাঠে তিন শতাধিক বছর ধরে আজও সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি তালগাছ। হাজারো ভৌতিক গল্প আর নান্দনিকতার অপার মিশ্রণে সমৃদ্ধ এই গাছটি।
মো. আব্দুল আলী (৭০) ভাটিরা গ্রামেই বড় হয়ে ওঠা একজন কৃষক। তিনি জানান, এই গাছটি তিন শতাধিক বছরের পুরোনো। গাছটিতে ভূত আছে এটাও তিনি বিশ্বাস করেন। তাঁর দাদা জীবিত ছিলেন ১২০ বছর। ছোটবেলায় দাদার মুখে গল্প শুনেছেন এই গাছে ভূত থাকে। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর আপন ফুপা ওয়াজউদ্দিন আলী (ফজু) গাছের গোড়ায় মানতের জন্য বেঁধে রাখা খাসি এনে জবাই করে খেয়েছিলেন। খাওয়ার কয়েক দিন পরেই তিনি হঠাৎ করেই মারা যান।
আব্দুল আলীর ছোট ভাই ওয়াহীদ আলী একই রকম মানতের জন্য রাখা মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসে। পরে মুরগির বাচ্চা মারা যায় এবং তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গিয়ে আবার মুরগির বাচ্চা কিনে দেন। অদ্যাবধি তাঁর ছোট ভাই সুস্থ আছে বলে জানান।
মো. আক্কাস আলী (৭০) বিলপাড়ের একজন প্রবীণ বাসিন্দা। বহু ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজেই। তিনি জানান, রাতের বেলায় জমিতে হালচাষ এবং মাছ ধরার সময় তালগাছটিকে বিভিন্ন রূপে তিনি দেখেছেন। হাতি, ঘোড়া বা বাঘের মতো হিংস্র পশুর বেশেও তিনি দেখেছেন। একবার যখন দেখেছেন পেছন ফিরে আর তাকাননি। সোজা বাড়িতে চলে এসেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যদি পেছন ফিরে তাকাতেন, তাহলে তাঁর জীবন নিয়ে তিনি বাড়িতে আসতে পারতেন না।
শিক্ষার্থী মো. নাদিম ফকির (১৭) বলে, ‘আমি আসলে ভূতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার দাদা এবং বাবার কাছে শুনেছি এই গাছটিতে ভূত থাকে। গাছটি কেউ কাটতে চাইলে তাঁর কোনো–না কোনো ক্ষতি হয়েছেই। ছোটবেলায় দেখেছি একজন জ্বরে ভুগে মারা গেছে। কারও হালের গরু মারা গেছে। নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর তাই এখন বিশ্বাস করি এই গাছে ভূত আছে। সে জন্য আমরা সন্ধ্যার পর এই গাছের কাছে কেউ যাই না।’
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই গাছ ঘিরে পূজা–অর্চনাও করে থাকেন। পূজার পরে গাছের গোড়ায় মানতের উদ্দেশ্যে ভোগ রেখে আসেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন এই গাছের ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। আর তাই কেউ চাইলেও এই গাছের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তা ছাড়া তাঁরাও চান না এই গাছটি কেউ কেটে ফেলুক।
জনশ্রুতি আছে এই গাছকে বহুবার কেটে ফেলার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কাটা যায়নি।
কালীগঞ্জের ভাটিরা বিল। আয়তনের দিক থেকে বিল বেলাইয়ের পরই এর স্থান। মাঠজুড়ে শুধুই ধানচাষিদের স্বপ্ন আর বর্ষাকালে জেলেদের কোন্দার (স্থানীয় বর্ষাকালীন বাহন) সারিতে মাছ ধরার উৎসব। দিগন্তজোড়া এ মাঠে তিন শতাধিক বছর ধরে আজও সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি তালগাছ। হাজারো ভৌতিক গল্প আর নান্দনিকতার অপার মিশ্রণে সমৃদ্ধ এই গাছটি।
মো. আব্দুল আলী (৭০) ভাটিরা গ্রামেই বড় হয়ে ওঠা একজন কৃষক। তিনি জানান, এই গাছটি তিন শতাধিক বছরের পুরোনো। গাছটিতে ভূত আছে এটাও তিনি বিশ্বাস করেন। তাঁর দাদা জীবিত ছিলেন ১২০ বছর। ছোটবেলায় দাদার মুখে গল্প শুনেছেন এই গাছে ভূত থাকে। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর আপন ফুপা ওয়াজউদ্দিন আলী (ফজু) গাছের গোড়ায় মানতের জন্য বেঁধে রাখা খাসি এনে জবাই করে খেয়েছিলেন। খাওয়ার কয়েক দিন পরেই তিনি হঠাৎ করেই মারা যান।
আব্দুল আলীর ছোট ভাই ওয়াহীদ আলী একই রকম মানতের জন্য রাখা মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসে। পরে মুরগির বাচ্চা মারা যায় এবং তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গিয়ে আবার মুরগির বাচ্চা কিনে দেন। অদ্যাবধি তাঁর ছোট ভাই সুস্থ আছে বলে জানান।
মো. আক্কাস আলী (৭০) বিলপাড়ের একজন প্রবীণ বাসিন্দা। বহু ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজেই। তিনি জানান, রাতের বেলায় জমিতে হালচাষ এবং মাছ ধরার সময় তালগাছটিকে বিভিন্ন রূপে তিনি দেখেছেন। হাতি, ঘোড়া বা বাঘের মতো হিংস্র পশুর বেশেও তিনি দেখেছেন। একবার যখন দেখেছেন পেছন ফিরে আর তাকাননি। সোজা বাড়িতে চলে এসেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যদি পেছন ফিরে তাকাতেন, তাহলে তাঁর জীবন নিয়ে তিনি বাড়িতে আসতে পারতেন না।
শিক্ষার্থী মো. নাদিম ফকির (১৭) বলে, ‘আমি আসলে ভূতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার দাদা এবং বাবার কাছে শুনেছি এই গাছটিতে ভূত থাকে। গাছটি কেউ কাটতে চাইলে তাঁর কোনো–না কোনো ক্ষতি হয়েছেই। ছোটবেলায় দেখেছি একজন জ্বরে ভুগে মারা গেছে। কারও হালের গরু মারা গেছে। নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর তাই এখন বিশ্বাস করি এই গাছে ভূত আছে। সে জন্য আমরা সন্ধ্যার পর এই গাছের কাছে কেউ যাই না।’
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই গাছ ঘিরে পূজা–অর্চনাও করে থাকেন। পূজার পরে গাছের গোড়ায় মানতের উদ্দেশ্যে ভোগ রেখে আসেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন এই গাছের ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। আর তাই কেউ চাইলেও এই গাছের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তা ছাড়া তাঁরাও চান না এই গাছটি কেউ কেটে ফেলুক।
জনশ্রুতি আছে এই গাছকে বহুবার কেটে ফেলার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কাটা যায়নি।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে বাঁশতৈল বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর আহমেদ লাভলু বাঁশতৈল ইউনিয়নের গাইরাবেতিল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
১০ মিনিট আগে৫৫ হাজার টাকার মোবাইল কেনার বায়না ধরে সাব্বির মোল্লা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাক।
১১ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোড়াগাছা গ্রামের মিলন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে ওমানপ্রবাসী। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় মিলন মাদবরের বসতঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাঁচটি বালতিতে রাখা ৩০টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৭ আগস্ট যে স্থানে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করেছিল, সেই একই স্থানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এক শরবত বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৯ মিনিট আগে