Ajker Patrika

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪ 

শ্রীনগর ও মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ৪৭
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪ 

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে) দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের ষোলঘর নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, শরীয়তপুর জেলার সখীপুর উপজেলার লেকুরিয়া গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে সাইফুল (৩৫), একই জেলার সখীপুর থানার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৬০), নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর গ্রামের আরিফ কাজী (৩২) ও অজ্ঞাতনামা মহিলা (২৫)। 


আহতরা হলেন, বিউটি আক্তার (২৫), তাহিরা (১৫), আকাশ পাটোয়ারি (২৫), বিথী (৩০), আরিফ (২০), রাসেল (২৫), চাপা (১০), মারিয়া আক্তার (১), সাকিরা (৩০), মো. সুলতান (৩০), মো. আকাশ (২০), মো. শামীম (২০), সেলিম মিয়া (৩০), আব্দুল বাশেদ (২৫), বিল্লাল (২৫), জান্নাত আক্তার (২০), মো. সালাউদ্দিন (৩২), সেলিম মিয়া (১৯), মো. আরিফ (২৭)। 

এদের মধ্যে ১৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন জানান, মহাসড়কের পাশে ষোলঘর মসজিদে বসে ছিলাম। সড়কে মাওয়ামুখী একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল। সকাল পৌনে নয়টার দিকে শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাসে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা দৌড়ে আসি। ঘটনা স্থলেই দুজন মারা যায়। অন্যদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। 

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর কবরস্থান সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের সঙ্গে শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। 

শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার শংকর কুমার পাল বলেন, সকাল ৯টার দিকে ২১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ মৃত ছিল। বাকি ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ ও র‍্যাব যৌথভাবে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাকটিকে রেকার দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন। সেখান থেকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে দেখা যায়, দুটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আহত ৪-৫ জনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। 

এ সময় দুর্ঘটনায় আহত বাস যাত্রী মোহাম্মদ শামীম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। আমাদের বাসটি প্রথম দিকে খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। ষোলঘর এলাকায় এসে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এর পর আর জ্ঞান ছিল না। পরে দেখলাম আমি হাসপাতালে। শুনলাম অনেকেই মারা গেছে। 

আহত সালাউদ্দিনের মামাতো ভাই শাহজালাল বলেন, আমার মামাতো ভাই সালাউদ্দিনসহ আমাদের নরিয়া এলাকার তিনজন এ বাসে ছিলেন। এদের মধ্যে সাইফুল মারা যায়। বাকি দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। 

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর-লৌহজং সার্কেল) মো. তোফায়েল সরকার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বলেন, দুর্ঘটনায় সকাল এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছেন। তিনি বলেন মূলত বাসটি বেপরোয়া গতিতে ছিল। সে ট্রাক টিকো ডিঙিয়ে আগে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত