Ajker Patrika

কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির ২ হাতের কবজি কেটে নিল দুর্বৃত্তরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪১
কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির ২ হাতের কবজি কেটে নিল দুর্বৃত্তরা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের দুই হাতের কবজি কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সহশ্রাম-ধুলদিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গচিহাটা সড়কের মুচিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

উপজেলার সতেরদ্রোণ গ্রামের বাসিন্দা আহত রফিকুল ইসলাম নয়ন সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়ার বড় ছেলে। এ ঘটনার জন্য শাহজাহান মিয়া বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ী করছেন। তবে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এ ঘটনায় রাতেই দুজনকে আটক করে কটিয়াদী থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা গ্রামের রাকিব ও সিরাজ। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়নের সতেরদ্রোণ ও রায়খলা গ্রামবাসীর মধ্যে আগে থেকে শত্রুতা রয়েছে। বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ দুই গ্রামবাসীর শত্রুতার জেরে দুই বছর আগে ইউনিয়নের রায়খলা গ্রামের হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। হুমায়ুন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি রফিকুল ইসলাম নয়ন। তাঁর বাবা শাহজাহান মিয়াও এই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে অভিযোগপত্র থেকে দুজনের নামই বাদ পড়েছিল। 

পুলিশের ধারণা, ওই হত্যাকাণ্ডের জেরেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রফিকুল ইসলাম নয়নকে একা পেয়ে কুপিয়ে দুটি হাত বিচ্ছিন্ন করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এ সময় তিনি মাথায়ও আঘাত পান। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। 

রফিকুল ইসলাম নয়নের ছোট ভাই শরীফ বলেন, ‘দুই বছর আগের একটি ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা হামলা করেছে, তাদের অনেককেই নয়ন ভাই চিনতে পেরেছে, আবার অনেককে চিনতে পারে নাই। ভাই আমাদের কাছে মামুন, শাহীন, আরমান, কাল্লু ডাকাতসহ অনেকের নাম বলেছে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ 

রফিকুল ইসলাম নয়নের বাবা ও সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘গ্রামবাসীর দ্বন্দ্ব আর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে চেয়ারম্যান কাজটা করাইছে। আমার ছেলের হাতের কবজি কেটে ফেলেছে।’ 

শাহজাহান মিয়ার এই মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম আকন্দ তা নাকচ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। এমন কিছু করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা ভুক্তভোগীর সার্বক্ষণিক তথ্য নিচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত