Ajker Patrika

এ কে আজাদের বাড়ির সামনে মিছিলের ঘটনায় বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বাড়ির সামনে মিছিল। ফাইল ছবি
ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বাড়ির সামনে মিছিল। ফাইল ছবি

শিল্পপতি ও ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বাড়িতে জোরপূর্বক বিএনপি নেতারা প্রবেশ করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এজাহারে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাকে (৫৫) প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করে ১৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়ে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হা-মীম গ্রুপের প্রধান ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রাফিজুল খান (৪০) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এই এজাহার জমা দেন। রাত ৮টার দিকে এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আহাদউজ্জামান। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার এ কে আজাদের বাড়িতে সংঘটিত ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমানে বাইরে রয়েছেন। তিনি এলে বিষয়টি তাঁকে অবগত করা হবে।

এজাহারে অন্য যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাহরিয়ার হোসেন (৩৮), কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী (৫৬), মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৫৫), মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম (৪৪), মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ (৪০) প্রমুখ।

এজাহারে রাফিজুল খান উল্লেখ করেন, গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের শহরের ঝিলটুলীস্থ অফিস কাম বাসভবনে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোলাইমান হোসেন, নিরাপত্তাকর্মী মো. মেহেদী হাসান ও মো. জালাল শেখ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী আবদুল হান্নান, গৃহপরিচারিকা মাজেদা বেগম, সিসিটিভি অপারেটর সেলিম হোসেন ও সহকারী শাওন শেখ উপস্থিত ছিলেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ওই সময় একদল উগ্র সন্ত্রাসী হঠাৎ বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মো. মেহেদী হাসানকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে এ কে আজাদের বাসায় প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

এজাহারে বাদী রাফিজুল উল্লেখ করেন, তিনি আসামিদের গালিগালাজ শুনে কক্ষ থেকে বের হয়ে উঠানে আসার সঙ্গে সঙ্গে গোলাম মোস্তফা মিরাজ নানা ধরনের হুমকি দেন। পরে আসামিরা শ্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ বলেন, ‘ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের গোপন সভা হচ্ছে—এমন তথ্য পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ওখানে আমি নিজে কিংবা আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কেউ কোনো হুমকি দেননি। একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি।’

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘অপারেশন সিঁদুরে’ তিন শত্রুর মোকাবিলা করেছে ভারত, অন্য দেশের নাম জানালেন সেনা কর্মকর্তা

যুবলীগ নেতাকে ধরতে নয়, বাসাটি ঘেরাওয়ের নেপথ্যে অন্য কারণ

‘একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা মার্ডার করব’, ভিডিও ভাইরাল

মহাকাশে হারিয়ে গেল ৯ কোটি ডলারের স্যাটেলাইট, জলবায়ু গবেষণায় বড় ধাক্কা

ভুল করার পর জাদেজাকে কী বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত