কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদে ভরাট হয়ে যাওয়া ২০০ বছরের পুরোনো মাকুয়ার খাল নিজ উদ্যোগে খনন শুরু করেছে এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ লাইনস ও কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের পাশ থেকে শুরু হয় খনন কার্যক্রম। এতে আশপাশের পাঁচ গ্রামের কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।
এলাকাবাসী জানায়, খালটি লতিবাবাদ ইউনিয়নের মাকুয়ার বিল থেকে শুরু হয়ে তিন কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মুকসেদপুরের ভাস্করভিলা বিলে গিয়ে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি দখল-দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে আশপাশের গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান পাননি। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই খালটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
পূর্ব চরপাড়ার বাসিন্দা মো. সোহাগ বলেন, ‘খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, ছোট ছোট কালভার্ট ও মাটি ভরাটের কারণে পূর্ব চরপাড়া, ডুবাইল, নামাপাড়া, দক্ষিণ লতিবাবাদ ও মুন্সিপাড়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ২০০ একর ফসলি জমি পানিবন্দী থাকে। এই কারণে পাঁচ-ছয় বছর যাবৎ ওই সব জমিতে কোনো চাষাবাদ হয় না।’
আরেক বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, ‘পাঁচ গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান হলো মাকুয়ার বন্দ (মাঠ)। বন্দের পানি যায় এই খাল দিয়ে। মুরব্বিরা বলেছে এই খালটি ২০০ বছরের পুরোনো। সিএস জরিপের মধ্যে খালের নকশাও আছে। গত ১৫-২০ বছর যাবৎ যারা ভূমির ব্যবসা করে, তারা বিভিন্নভাবে খালটি ভরাট করেছে। আমাদের বাপ-দাদার আমলে খালটি ১৬-১৭ ফুট প্রশস্ত ছিল। ৫ আগস্টের আগে প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো হস্তক্ষেপ করে নাই। সম্প্রতি আমরা পাঁচ গ্রামের পাঁচ-ছয় হাজার মানুষ মতবিনিময় সভা করে খালটি পুনরুদ্ধারের শপথ করি। আমরা মাইকিং করিয়েছি, নোটিশ দিয়েছি। যেহেতু সরকারি খাল, কেউ আমাদের বাধা দেয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খাল খনন করছি।’
এ নিয়ে কথা হলে লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তো এখন বিপদগ্রস্ত। নামাপাড়া, ডুবাইল, দক্ষিণ লতিবাবাদ, চরপাড়া ও মুসলিমপাড়া গ্রাম পানিবন্দী। ফসল শত ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়েছি, আমাদের প্রচেষ্টায় খালটি পুনরুদ্ধারে খনন করব। কারণ, আমাদের তো বাঁচতে হবে। আজ থেকে খননকাজ শুরু করা হয়েছে। যে কয়েক দিনই লাগুক, পুরো খালটি খনন করব আমরা।’
যোগাযোগ করা হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া বলেন, ‘খাল খনন খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। খালটি রেকর্ডে আছে কি না তা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব।’
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদে ভরাট হয়ে যাওয়া ২০০ বছরের পুরোনো মাকুয়ার খাল নিজ উদ্যোগে খনন শুরু করেছে এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ লাইনস ও কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের পাশ থেকে শুরু হয় খনন কার্যক্রম। এতে আশপাশের পাঁচ গ্রামের কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।
এলাকাবাসী জানায়, খালটি লতিবাবাদ ইউনিয়নের মাকুয়ার বিল থেকে শুরু হয়ে তিন কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মুকসেদপুরের ভাস্করভিলা বিলে গিয়ে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি দখল-দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে আশপাশের গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান পাননি। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই খালটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
পূর্ব চরপাড়ার বাসিন্দা মো. সোহাগ বলেন, ‘খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, ছোট ছোট কালভার্ট ও মাটি ভরাটের কারণে পূর্ব চরপাড়া, ডুবাইল, নামাপাড়া, দক্ষিণ লতিবাবাদ ও মুন্সিপাড়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ২০০ একর ফসলি জমি পানিবন্দী থাকে। এই কারণে পাঁচ-ছয় বছর যাবৎ ওই সব জমিতে কোনো চাষাবাদ হয় না।’
আরেক বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, ‘পাঁচ গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান হলো মাকুয়ার বন্দ (মাঠ)। বন্দের পানি যায় এই খাল দিয়ে। মুরব্বিরা বলেছে এই খালটি ২০০ বছরের পুরোনো। সিএস জরিপের মধ্যে খালের নকশাও আছে। গত ১৫-২০ বছর যাবৎ যারা ভূমির ব্যবসা করে, তারা বিভিন্নভাবে খালটি ভরাট করেছে। আমাদের বাপ-দাদার আমলে খালটি ১৬-১৭ ফুট প্রশস্ত ছিল। ৫ আগস্টের আগে প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো হস্তক্ষেপ করে নাই। সম্প্রতি আমরা পাঁচ গ্রামের পাঁচ-ছয় হাজার মানুষ মতবিনিময় সভা করে খালটি পুনরুদ্ধারের শপথ করি। আমরা মাইকিং করিয়েছি, নোটিশ দিয়েছি। যেহেতু সরকারি খাল, কেউ আমাদের বাধা দেয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খাল খনন করছি।’
এ নিয়ে কথা হলে লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তো এখন বিপদগ্রস্ত। নামাপাড়া, ডুবাইল, দক্ষিণ লতিবাবাদ, চরপাড়া ও মুসলিমপাড়া গ্রাম পানিবন্দী। ফসল শত ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়েছি, আমাদের প্রচেষ্টায় খালটি পুনরুদ্ধারে খনন করব। কারণ, আমাদের তো বাঁচতে হবে। আজ থেকে খননকাজ শুরু করা হয়েছে। যে কয়েক দিনই লাগুক, পুরো খালটি খনন করব আমরা।’
যোগাযোগ করা হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া বলেন, ‘খাল খনন খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। খালটি রেকর্ডে আছে কি না তা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
১৮ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
২৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে