ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি প্রবল ঝোঁক। শখের বশেই বরই চাষ শুরু করেন। ফলন আসার দ্বিতীয় বছরেই ভালো লাভের মুখ দেখেছেন এই শিক্ষক।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের এই স্কুলশিক্ষকের নাম মো. জসিম মাদবর। বহেরাতলা ইউনিয়নের সোনাখারকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন এখন।
জসিম মাদবর বলেন, ‘করোনাকালে অবসর সময়ে ইউটিউবে বরই চাষ দেখেই মাথায় আইডিয়া আসে। পরে চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিই বরই চাষের ওপর।’
জসিম মাদবর প্রথমে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে শুরু করেন বরই চাষ। এরপর জমি কিনে নিজেই চাষে নামেন। দুই বছরের মধ্যেই তাঁর খেতে প্রচুর ফলন হয়। স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশি তাঁর বরইয়ের। প্রবল আগ্রহ আর পরিশ্রম করার মানসিকতাই তাকে সফলতা এনে দিয়েছে বলে তিনি জানান।
যাদুয়ারচর এলাকায় জসিম মাদবরের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, নিজের এক আত্মীয়কে নিয়ে গাছ থেকে বরই পাড়ছেন। বাজারে বিক্রির উপযোগী বরই সংগ্রহ করছেন ঘুরে ঘুরে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্রি উপযোগী বরই সংগ্রহ করা যায় গাছ থেকে।
জসিম মাদবর বলেন, ‘বাজারে থাকা অন্যান্য বরইয়ের চেয়ে আমার বাগানের বরই স্বাদে মিষ্টি থাকায় চাহিদা বেশি। দোকানিরা অগ্রিম টাকা দেন বরই কিনতে। তা ছাড়া খুচরা ক্রেতারাও বরই কিনে নেন। এমনকি প্রবাসে থাকা আত্মীয়স্বজনের জন্যও অনেকে আসেন বরই কিনতে। সরাসরি বাগান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যান বরই। ভালো ফলন হওয়া এবং বাজারে চাহিদা থাকায় খুশি শখের এই কৃষক। চাষাবাদ নিয়ে আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। রয়েছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও।’
আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাছেই ৭১ শতাংশ কৃষিজমি কিনি বরই চাষের জন্য। দুই বছর আগে প্রথমে এককভাবে চাষাবাদ শুরু করি। বাগানে চার শতাধিক বরইগাছ লাগাই। বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী এবং আগাম টক নামের তিন জাতের বরইগাছ রয়েছে বাগানে।’
মো. জসিম মাদবর বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমার বাগানে প্রথম ফলন আসে “ভারত সুন্দরী” নামের বরইয়ের। বাজারে প্রথম দিকে আমি প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি শুরু করি। এরপর ৮০ এবং এখন ৭০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি “ভারত সুন্দরী” বরই। এখন “বল সুন্দরী” বিক্রির উপযোগী হয়েছে। বাজারে বল সুন্দরী বরইয়ের দাম ৮০ টাকা কেজি। আমার ৪০০ গাছ থেকে ইতিমধ্যে ১০০ মণ বরই বিক্রি করেছি।’
জসিম মাদবর বলেন, ‘জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে গাছে ফলন আসা পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। বরই বিক্রি করে আড়াই লাখ টাকার মতো পেয়েছেন। এখনো গাছে প্রচুর বরই আছে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্রি করছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা পেশাদার চাষি, তাঁরা হরমোন বা নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন দ্রুত ফলন আসার জন্য। ফলন আসার পর জমিতে সেচের ব্যবস্থা রাখেন। এতে বরই বড় এবং রসালো হয়, তবে মিষ্টভাব কম থাকে। এ ক্ষেত্রে আমার বরই সম্পূর্ণ আলাদা। সঠিক সময়ে ফলন আসা, কোনো রকম রাসায়নিক ব্যবহার না করা এবং ফলন আসার পর আমি সেচ বন্ধ রাখি। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই বরই বড় হতে থাকে। এ কারণেই বরই মিষ্টি হয়েছে। আমার বরই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বড় হওয়া।’
বেকার যুবকদের রবই চাষসহ যেকোনো চাষাবাদে আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অনেকেই তাঁর কাছ থেকে চারা নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। যাঁরা ছাদবাগান করেন, তাঁরাও ছাদে গাছ লাগানোর জন্য চারার অর্ডার দিয়েছেন। মার্চ-এপ্রিলে গাছ লাগানো হয়।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আপেল কুল, কাশ্মীরি কুলসহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। এখানে বেশ ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এসব চাষির নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই বরই চাষে ঝুঁকছেন। বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই বরইবাগান শুরু করেছেন শিবচরের বিভিন্ন স্থানে।’
একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি প্রবল ঝোঁক। শখের বশেই বরই চাষ শুরু করেন। ফলন আসার দ্বিতীয় বছরেই ভালো লাভের মুখ দেখেছেন এই শিক্ষক।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের এই স্কুলশিক্ষকের নাম মো. জসিম মাদবর। বহেরাতলা ইউনিয়নের সোনাখারকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন এখন।
জসিম মাদবর বলেন, ‘করোনাকালে অবসর সময়ে ইউটিউবে বরই চাষ দেখেই মাথায় আইডিয়া আসে। পরে চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিই বরই চাষের ওপর।’
জসিম মাদবর প্রথমে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে শুরু করেন বরই চাষ। এরপর জমি কিনে নিজেই চাষে নামেন। দুই বছরের মধ্যেই তাঁর খেতে প্রচুর ফলন হয়। স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশি তাঁর বরইয়ের। প্রবল আগ্রহ আর পরিশ্রম করার মানসিকতাই তাকে সফলতা এনে দিয়েছে বলে তিনি জানান।
যাদুয়ারচর এলাকায় জসিম মাদবরের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, নিজের এক আত্মীয়কে নিয়ে গাছ থেকে বরই পাড়ছেন। বাজারে বিক্রির উপযোগী বরই সংগ্রহ করছেন ঘুরে ঘুরে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্রি উপযোগী বরই সংগ্রহ করা যায় গাছ থেকে।
জসিম মাদবর বলেন, ‘বাজারে থাকা অন্যান্য বরইয়ের চেয়ে আমার বাগানের বরই স্বাদে মিষ্টি থাকায় চাহিদা বেশি। দোকানিরা অগ্রিম টাকা দেন বরই কিনতে। তা ছাড়া খুচরা ক্রেতারাও বরই কিনে নেন। এমনকি প্রবাসে থাকা আত্মীয়স্বজনের জন্যও অনেকে আসেন বরই কিনতে। সরাসরি বাগান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যান বরই। ভালো ফলন হওয়া এবং বাজারে চাহিদা থাকায় খুশি শখের এই কৃষক। চাষাবাদ নিয়ে আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। রয়েছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও।’
আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাছেই ৭১ শতাংশ কৃষিজমি কিনি বরই চাষের জন্য। দুই বছর আগে প্রথমে এককভাবে চাষাবাদ শুরু করি। বাগানে চার শতাধিক বরইগাছ লাগাই। বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী এবং আগাম টক নামের তিন জাতের বরইগাছ রয়েছে বাগানে।’
মো. জসিম মাদবর বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমার বাগানে প্রথম ফলন আসে “ভারত সুন্দরী” নামের বরইয়ের। বাজারে প্রথম দিকে আমি প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি শুরু করি। এরপর ৮০ এবং এখন ৭০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি “ভারত সুন্দরী” বরই। এখন “বল সুন্দরী” বিক্রির উপযোগী হয়েছে। বাজারে বল সুন্দরী বরইয়ের দাম ৮০ টাকা কেজি। আমার ৪০০ গাছ থেকে ইতিমধ্যে ১০০ মণ বরই বিক্রি করেছি।’
জসিম মাদবর বলেন, ‘জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে গাছে ফলন আসা পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। বরই বিক্রি করে আড়াই লাখ টাকার মতো পেয়েছেন। এখনো গাছে প্রচুর বরই আছে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্রি করছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা পেশাদার চাষি, তাঁরা হরমোন বা নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন দ্রুত ফলন আসার জন্য। ফলন আসার পর জমিতে সেচের ব্যবস্থা রাখেন। এতে বরই বড় এবং রসালো হয়, তবে মিষ্টভাব কম থাকে। এ ক্ষেত্রে আমার বরই সম্পূর্ণ আলাদা। সঠিক সময়ে ফলন আসা, কোনো রকম রাসায়নিক ব্যবহার না করা এবং ফলন আসার পর আমি সেচ বন্ধ রাখি। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই বরই বড় হতে থাকে। এ কারণেই বরই মিষ্টি হয়েছে। আমার বরই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বড় হওয়া।’
বেকার যুবকদের রবই চাষসহ যেকোনো চাষাবাদে আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অনেকেই তাঁর কাছ থেকে চারা নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। যাঁরা ছাদবাগান করেন, তাঁরাও ছাদে গাছ লাগানোর জন্য চারার অর্ডার দিয়েছেন। মার্চ-এপ্রিলে গাছ লাগানো হয়।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আপেল কুল, কাশ্মীরি কুলসহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। এখানে বেশ ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এসব চাষির নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই বরই চাষে ঝুঁকছেন। বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই বরইবাগান শুরু করেছেন শিবচরের বিভিন্ন স্থানে।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৪ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৪ ঘণ্টা আগে