গাজীপুর প্রতিনিধি
দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিস। গাজীপুর সদর ও গাজীপুর যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর অডিট করার কথা থাকলেও ১০ বছর ধরে অফিস দুটি অডিট হয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযানেও উঠে এসেছে অভিযোগের সত্যতা।
জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়টি মহানগরীর জোড়পুকুর থেকে মারিয়ালি এলাকার নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ তলায় জমির দলিলের নকল তোলার রেকর্ড রুম। এই ভবনেই গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রারের অফিস। অফিস দুটিতে দলিল রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে নকল তোলা—সবখানেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কৌশল হিসেবে সাবরেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশ, উমেদার ও পিয়ন দিয়েও করানো হয়।
অনুসন্ধানে ও সরেজমিনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাব কবলা দলিল, দানপত্র দলিল, হেবা দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এওয়াজ পরিবর্তন দলিলসহ প্রতিটি দলিল দাখিলের পর অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী যেসব কাগজপত্র দেওয়ার কথা, ঘুষ দিলে সেগুলো ছাড়াই দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। টাকা না দিলে আটকে দেওয়া হয় দলিল।
অপর দিকে, দলিলের নকল তুলতেও সেবাপ্রার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০ টাকার কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প দিয়ে আবেদন করা হয়। জমির রেজিস্ট্রিকৃত মূল্য ও পাতা অনুযায়ী নকলপ্রতি গড়ে সরকার রাজস্ব পায় ৫০০-৬০০ টাকা। কিন্তু সেবাপ্রার্থীকে রেকর্ডকিপারের কাছে প্রতি নকলে জমা দিতে হয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, আগে কম টাকায় দলিলের নকল পাওয়া যেত। পর্যায়ক্রমে ঘুষের রেট বাড়ায় এখন ২ হাজার টাকার নিচে নকল তোলা যায় না। দাবি অনুযায়ী টাকা দিলে দ্রুত সবকিছু হয়ে যায়। এতে জমিজমাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে জনসাধারণ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অভিযানে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামূল হক, উপসহকারী পরিচালক সাগর সাহাসহ একটি টিম অংশ নেয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, গাজীপুরের সহকারী পরিচালক এনামূল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর সাবরেজিস্ট্রি অফিস অডিট হওয়ার কথা। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে মাত্র একবার অডিট হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছরের একটি অডিটে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ২১৩ টাকার রাজস্ব ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
দুদক কর্মকর্তা এনামূল জানান, দলিলগুলোতে দাতা এবং গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক কিন্তু কয়েকটি দলিলে দাতার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, গ্রহীতার নেই। আবার কিছু দলিলে গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, দাতার নেই। ১০ লাখ টাকার ওপরে দলিল হলে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। দেখা গেছে, দলিলের মধ্যে টিআইএন লেখা থাকলেও একটিতেও কোনো কাগজ সংযুক্ত করা নেই।
এদিকে দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযানের পর গত ১৭ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন গাজীপুর রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন। গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, দুদক অভিযান শেষে নানা অনিয়মে জড়িত মোহরার আহম্মদ আলীসহ কয়েকজন নকলনবিশের নামের তালিকা ও সুপারিশ দিয়েছে। সে অনুযায়ী টঙ্গী সাবরেজিস্ট্রারকে গাজীপুর যুগ্ম-এর খণ্ডকালীন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোহরার আহম্মদ আলীকে কাপাসিয়া পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নকলনবিশদের মধ্যে সোহেল রানা ও ফরিদকে কাপাসিয়া, আল আমিন ও লিটুকে কালিয়াকৈর এবং হালিমকে কালীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিস। গাজীপুর সদর ও গাজীপুর যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর অডিট করার কথা থাকলেও ১০ বছর ধরে অফিস দুটি অডিট হয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযানেও উঠে এসেছে অভিযোগের সত্যতা।
জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়টি মহানগরীর জোড়পুকুর থেকে মারিয়ালি এলাকার নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ তলায় জমির দলিলের নকল তোলার রেকর্ড রুম। এই ভবনেই গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রারের অফিস। অফিস দুটিতে দলিল রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে নকল তোলা—সবখানেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কৌশল হিসেবে সাবরেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশ, উমেদার ও পিয়ন দিয়েও করানো হয়।
অনুসন্ধানে ও সরেজমিনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাব কবলা দলিল, দানপত্র দলিল, হেবা দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এওয়াজ পরিবর্তন দলিলসহ প্রতিটি দলিল দাখিলের পর অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী যেসব কাগজপত্র দেওয়ার কথা, ঘুষ দিলে সেগুলো ছাড়াই দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। টাকা না দিলে আটকে দেওয়া হয় দলিল।
অপর দিকে, দলিলের নকল তুলতেও সেবাপ্রার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০ টাকার কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প দিয়ে আবেদন করা হয়। জমির রেজিস্ট্রিকৃত মূল্য ও পাতা অনুযায়ী নকলপ্রতি গড়ে সরকার রাজস্ব পায় ৫০০-৬০০ টাকা। কিন্তু সেবাপ্রার্থীকে রেকর্ডকিপারের কাছে প্রতি নকলে জমা দিতে হয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, আগে কম টাকায় দলিলের নকল পাওয়া যেত। পর্যায়ক্রমে ঘুষের রেট বাড়ায় এখন ২ হাজার টাকার নিচে নকল তোলা যায় না। দাবি অনুযায়ী টাকা দিলে দ্রুত সবকিছু হয়ে যায়। এতে জমিজমাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে জনসাধারণ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গাজীপুর সদর ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অভিযানে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামূল হক, উপসহকারী পরিচালক সাগর সাহাসহ একটি টিম অংশ নেয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, গাজীপুরের সহকারী পরিচালক এনামূল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর সাবরেজিস্ট্রি অফিস অডিট হওয়ার কথা। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে মাত্র একবার অডিট হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছরের একটি অডিটে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ২১৩ টাকার রাজস্ব ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
দুদক কর্মকর্তা এনামূল জানান, দলিলগুলোতে দাতা এবং গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক কিন্তু কয়েকটি দলিলে দাতার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, গ্রহীতার নেই। আবার কিছু দলিলে গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, দাতার নেই। ১০ লাখ টাকার ওপরে দলিল হলে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। দেখা গেছে, দলিলের মধ্যে টিআইএন লেখা থাকলেও একটিতেও কোনো কাগজ সংযুক্ত করা নেই।
এদিকে দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযানের পর গত ১৭ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন গাজীপুর রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন। গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, দুদক অভিযান শেষে নানা অনিয়মে জড়িত মোহরার আহম্মদ আলীসহ কয়েকজন নকলনবিশের নামের তালিকা ও সুপারিশ দিয়েছে। সে অনুযায়ী টঙ্গী সাবরেজিস্ট্রারকে গাজীপুর যুগ্ম-এর খণ্ডকালীন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোহরার আহম্মদ আলীকে কাপাসিয়া পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নকলনবিশদের মধ্যে সোহেল রানা ও ফরিদকে কাপাসিয়া, আল আমিন ও লিটুকে কালিয়াকৈর এবং হালিমকে কালীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২৬ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩৬ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে