Ajker Patrika

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি ক্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি ক্যাবের

ওষুধ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয়ে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। আজ বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ক্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডলার সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামালের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্ব আজ সংকটে। এমন পরিস্থিতে নিত্যপণ্যের দামে মানুষের জীবন বাঁচানো কঠিন। এর মধ্যে সরকার তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ছয় মাসের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম ১৩ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্যারাসিটামল সিরাপের দাম। তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম বাড়ানোর কারণে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা বেড়ে গেছে। সরকার গত তিন-চার মাসের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম দুই দফা বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে ওষুধের অযাচিত দাম না বাড়ানো হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।’

ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি দ্বারা প্রভাবিত চিকিৎসকগণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন এবং চিকিৎসকগণ উপহার হিসেবে বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি নিচ্ছেন। যার ফলাফল অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ভোক্তা সাধারণ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।’

ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রফেসর ড. এম. শামসুল আলম বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রেগুলেটরি হিসেবে দায়িত্ব পালনে বার্থ হয়েছে। ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে এবং মানসম্মত ওষুধ পাওয়া ভোক্তার আইনি অধিকার। সে অধিকার সুরক্ষা দিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ব্যর্থতায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই ব্যর্থতা তাদের সীমাবদ্ধতা কিনা কিংবা ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্বার্থ জড়িত কিনা তা ভোক্তা স্বার্থে খতিয়ে দেখতে হবে।’ এ সময় তিনি ১৯৯৪ সালের ওষুধ কোম্পানির জন্য জারিকৃত আদেশ বাতিলের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এই আদেশ নিরপেক্ষ নয় এবং ভোক্তা স্বার্থের পরিপন্থী। নতুন করে নিরপেক্ষ আইন তৈরি করে নতুন আদেশের ব্যবস্থা করতে হবে।’

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি যুক্তিসংগত এবং ন্যায়সংগত কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। কতিপয় ডক্টরদের ইচ্ছাকৃত অনৈতিক লেনদেন এবং অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা ভোক্তাস্বার্থে সঠিক নয়।’

ক্যাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওষুধের মূল্য ১০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।’ এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখার দাবি করে তিনি মাঠ পর্যায়ে সাধারণ জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে ভোক্তা স্বার্থে ওষুধের দাম যাতে কমানো যায় সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন ছিল সাদিয়ার

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
সাদিয়া হক পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
সাদিয়া হক পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে চাকরি নিয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল সাদিয়া হক পাটোয়ারীর (২৪)। কিন্তু তাঁর শেষ দুটি ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি। তার আগেই কক্সবাজারের চকরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সাদিয়া, তাঁর মা-ভাবিসহ একই পরিবারের ৫ জন নিহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জানাজা শেষে সাদিয়াসহ ৫ জনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে বুধবার বেলা ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া এলাকায় সাদিয়াদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে তিনিসহ পরিবারের ৫ সদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁদের মৃত্যুর সংবাদে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় দুটি গ্রাম।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় সাদিসহ ৫ জনের লাশ বহনকারী ৫টি অ্যাম্বুলেন্স যখন গ্রামে প্রবেশ করে, তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত সাদিয়ের চাচাতো বোন সাহিদা সুলতানা ঊর্মি বলেন, ‘তাঁর (সাদিয়া) ইচ্ছা ছিল এমবিএ শেষে করে ব্যাংকে চাকরি নেবে। এরপর সে বিয়ে করবে। কিন্তু তাঁর শেষ ইচ্ছাগুলো আর পূরণ হলো না। সাদিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় বেপরোয়া গতিতে বিপরীত থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের চান্দিশকরা গ্রামের উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫) নিহত হন। এ সময় আহত হন উদয় পাটোয়ারী (৪৩), ভাইয়ের ছেলে সামাদ পাটোয়ারী (৪) ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান। তাঁদের মধ্যে লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাদিয়ার বড় ভাই মো. মনিরুল হক বলেন, ‘১৫ দিন আগে কক্সবাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সামাদের মাথায় আঘাতের কারণে পিছিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার ভোরে সাদিয়া, আম্মা, ভাইয়ের শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে চৌদ্দগ্রাম থেকে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িটি ভাই নিজেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাদিয়া ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিল। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ব্যাংকার হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্নীতির মামলায় সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের বিচার শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর (এস কে সুর)। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর (এস কে সুর)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুরের (এস কে সুর) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক আয়েশা নাসরিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে সম্পদবিবরণী দাখিল না করার এই মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেওয়ান আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

এস কে সুরকে কারাগার থেকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শুরু হয়। দুদকের বিশেষ পিপি শামসুদ্দিন মো. আবুল কালাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে আইনজীবী না থাকায় তাঁর পক্ষে শুনানি হয়নি। অভিযোগ গঠনের পর আদালতের প্রশ্নের উত্তরে এস কে সুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগে এস কে সুরের নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ বা সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। তিনি গত বছরের ২৭ অক্টোবর নিজ স্বাক্ষরে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশসহ সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন। কিন্তু আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

এ জন্য গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরকে গ্রেপ্তার করে দুদক। ওই দিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধুনটে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ২১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে পৌরসভার চর ধুনট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে চর ধুনট গ্রামের নির্মাণশ্রমিক ও ঠিকাদার রিপন প্রামাণিককে চাঁদার দাবিতে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় আহত রিপন প্রামাণিকের স্ত্রী তাহমিনা আকতার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন হলেন চর ধুনট গ্রামের সোবাহান প্রামাণিক (৪৬) ও তাঁর ছেলে মনির হোসেন (২২)।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর সহযোগীরা রিপন প্রামাণিকের কাছে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু রিপন প্রামাণিক টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর লোকজন মঙ্গলবার রাতে রিপন প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকা চান। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়।

এ সময় রিপন প্রামাণিকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত রিপন প্রামাণিককে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রিপনের স্ত্রী তাহমিনা আকতার বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

থানাহাজতে থাকা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে রিপন প্রামাণিকের মারামারির ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় পুলিশ দম্পতির ফাঁসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সহকর্মী পুলিশ সদস্যকে পরকীয়ার জেরে হত্যার দায়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক হারুন-অর রশিদ। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন কনস্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কনস্টেবল নাসরিন নেলী। আলাউদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর এলাকায়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে কনস্টেবল আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন নেলীর সঙ্গে সহকর্মী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকায় প্রেমিকা নেলীর ভাড়া বাসাতেই পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামকে খুন করেন নেলী ও তাঁর স্বামী আলাউদ্দিন।

হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত পুলিশ দম্পতি সাইফুল ইসলামের মরদেহ বস্তাবন্দী করে গুম করার চেষ্টা করেন। তবে লাশ গুম করতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। নগরীর টাউন হল মোড়ে পুলিশের তল্লাশির সময় বস্তাবন্দী লাশসহ তাঁরা হাতেনাতে আটক হন।

ঘটনার পর নিহত সাইফুলের মা মোছা. মুলেদা বেগম ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল আলাউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত