নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার নির্বাচন ১২ জুন। নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ছেলেকে ফোনে হুমকি দেওয়ার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ফোনালাপ প্রকাশ পায়। ঘটনার পর বিষয়টি মৌখিকভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান আড়াইহাজার উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র।
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন দেন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। কথোপকথনের ওই অডিওতে শোনা যায়, নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি না করতে এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শুধু নৌকা থাকব আর কিছু না বলে সাফ জানিয়ে দেন আবুল কালাম। কেন থাকবে না—এই প্রশ্ন করতেই ফোন কেটে দেন আবুল কালাম।
প্রকাশিত ওই অডিও হুবহু তুলে ধরা হলো
আবুল কালাম: তোমার লোকজন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে টাকা বিলাইতাছে শুনলাম। আমরা যদি টাকাওয়ালা ধরতে পাই তাইলে কইলাম হাত-পাও থাকতো না, হাড্ডিগুড্ডি থাকত না।
জাহাঙ্গীর: আমিও যদি কাউরে পাই টাকা দিতাছে, তাই ধইরা সরাসরি থানায় দিয়া দিমু।
আবুল কালাম : অবশ্যই অবশ্যই।
জাহাঙ্গীর: যে টাকা লইয়া আইব, হেরে ধইরা পুলিশে দিয়া দিমু।
আবুল কালাম: হ, হ, এইটাই তো রাইট। তোমরাও যদি পাও কেউ টাকা লইয়া আইসে, তোমরাও দিয়া দিবা। ঠিকাসে।
জাহাঙ্গীর: কিন্তু, কাউকে ওয়ার্ক করতে বাধা দেবেন না।
আবুল কালাম: আইচ্ছা, ঠিকাসে।
জাহাঙ্গীর: যার যার ওয়ার্ড সে করব।
আবুল কালাম: আইচ্ছা আমার কথা হুনো, এনো ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তুমি কোনো গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি কইরো না।
জাহাঙ্গীর: ক্যাডায় গেঞ্জাম সৃষ্টি করে? আমি গেঞ্জাম সৃষ্টি করছি?
আবুল কালাম: ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো লোক নামতে পারব না।
জাহাঙ্গীর: কেন নামতে পারব না?
আবুল কালাম: ৫ নম্বরে শুধু নৌকা থাকব, আর কিছু থাকতে পারব না।
জাহাঙ্গীর: কেন কেন?
আবুল কালাম: আর কিছু না।
জাহাঙ্গীর: কেন আর কিছু না?
আবুল কালাম: ৫ নম্বরে শুধু নৌকা ছাড়া আর কিছু থাকবে না। ব্যাস, এটুকুই।
জাহাঙ্গীর: কে বলছে? কে বলছে?
স্থানীয় সূত্রে জানায়, আবুল কালাম আড়াইহাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সুন্দর আলীর পক্ষে কাজ করছেন। সেই ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে বাধার মুখেও পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা। সবশেষ মুঠোফোনে বিভিন্নভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে সুন্দর আলীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, ‘এটা ভুল কথা। এটা গণতন্ত্রের দেশ, এখানে সবাই নির্বাচন করব। আমি বলছি টাকা লইয়া কেউ নামতে পারবে না। টাকা লইয়া নামলে গেঞ্জাম হইব। টাকা নিয়া নামতে না করছি। তারা থাকব না কেন? তারাও তো নির্বাচন করতাছে।’
কিন্তু অডিওতে আপনার কথা তো ঠিকই শোনা গেল এমন প্রশ্নে বলেন, ‘এখানে হয় তিলখান, বলে দেড়খান। এখানে আমি তাদের না করার কে? আমার কি সেই ক্ষমতা আছে? এটা যারা বলে তারা বিশৃঙ্খলা করার জন্য বলে। আমি এসব বলি নাই। আমি শুনেছি টাকার ছড়াছড়ি হইতাছে, তাই ফোন দিয়ে বলছি টানা নিয়া না নামতে।’
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুন্দর আলীর লোকজন বিভিন্নভাবে আমার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাইতাছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে এইটা জানাইসি। নির্বাচনের শুরু থেকেই এগুলা চলতাছে।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি।’
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার নির্বাচন ১২ জুন। নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ছেলেকে ফোনে হুমকি দেওয়ার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ফোনালাপ প্রকাশ পায়। ঘটনার পর বিষয়টি মৌখিকভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান আড়াইহাজার উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র।
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন দেন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। কথোপকথনের ওই অডিওতে শোনা যায়, নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি না করতে এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শুধু নৌকা থাকব আর কিছু না বলে সাফ জানিয়ে দেন আবুল কালাম। কেন থাকবে না—এই প্রশ্ন করতেই ফোন কেটে দেন আবুল কালাম।
প্রকাশিত ওই অডিও হুবহু তুলে ধরা হলো
আবুল কালাম: তোমার লোকজন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে টাকা বিলাইতাছে শুনলাম। আমরা যদি টাকাওয়ালা ধরতে পাই তাইলে কইলাম হাত-পাও থাকতো না, হাড্ডিগুড্ডি থাকত না।
জাহাঙ্গীর: আমিও যদি কাউরে পাই টাকা দিতাছে, তাই ধইরা সরাসরি থানায় দিয়া দিমু।
আবুল কালাম : অবশ্যই অবশ্যই।
জাহাঙ্গীর: যে টাকা লইয়া আইব, হেরে ধইরা পুলিশে দিয়া দিমু।
আবুল কালাম: হ, হ, এইটাই তো রাইট। তোমরাও যদি পাও কেউ টাকা লইয়া আইসে, তোমরাও দিয়া দিবা। ঠিকাসে।
জাহাঙ্গীর: কিন্তু, কাউকে ওয়ার্ক করতে বাধা দেবেন না।
আবুল কালাম: আইচ্ছা, ঠিকাসে।
জাহাঙ্গীর: যার যার ওয়ার্ড সে করব।
আবুল কালাম: আইচ্ছা আমার কথা হুনো, এনো ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তুমি কোনো গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি কইরো না।
জাহাঙ্গীর: ক্যাডায় গেঞ্জাম সৃষ্টি করে? আমি গেঞ্জাম সৃষ্টি করছি?
আবুল কালাম: ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো লোক নামতে পারব না।
জাহাঙ্গীর: কেন নামতে পারব না?
আবুল কালাম: ৫ নম্বরে শুধু নৌকা থাকব, আর কিছু থাকতে পারব না।
জাহাঙ্গীর: কেন কেন?
আবুল কালাম: আর কিছু না।
জাহাঙ্গীর: কেন আর কিছু না?
আবুল কালাম: ৫ নম্বরে শুধু নৌকা ছাড়া আর কিছু থাকবে না। ব্যাস, এটুকুই।
জাহাঙ্গীর: কে বলছে? কে বলছে?
স্থানীয় সূত্রে জানায়, আবুল কালাম আড়াইহাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সুন্দর আলীর পক্ষে কাজ করছেন। সেই ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে বাধার মুখেও পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা। সবশেষ মুঠোফোনে বিভিন্নভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে সুন্দর আলীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, ‘এটা ভুল কথা। এটা গণতন্ত্রের দেশ, এখানে সবাই নির্বাচন করব। আমি বলছি টাকা লইয়া কেউ নামতে পারবে না। টাকা লইয়া নামলে গেঞ্জাম হইব। টাকা নিয়া নামতে না করছি। তারা থাকব না কেন? তারাও তো নির্বাচন করতাছে।’
কিন্তু অডিওতে আপনার কথা তো ঠিকই শোনা গেল এমন প্রশ্নে বলেন, ‘এখানে হয় তিলখান, বলে দেড়খান। এখানে আমি তাদের না করার কে? আমার কি সেই ক্ষমতা আছে? এটা যারা বলে তারা বিশৃঙ্খলা করার জন্য বলে। আমি এসব বলি নাই। আমি শুনেছি টাকার ছড়াছড়ি হইতাছে, তাই ফোন দিয়ে বলছি টানা নিয়া না নামতে।’
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুন্দর আলীর লোকজন বিভিন্নভাবে আমার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাইতাছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে এইটা জানাইসি। নির্বাচনের শুরু থেকেই এগুলা চলতাছে।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে