মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
মাঝবর্ষায় চারদিকে ভরা জল আর ওপরে সাদা-কালো মেঘ। নিচে বিলের কালচে পানিতে থরে থরে ফুটে আছে নীল শাপলা। বিস্তীর্ণ বিলের এখানে-সেখানে শিকারের আশায় ঘুরছে বক, মাছরাঙা, শামুকখোল পাখি; পানিতে ডুব দিচ্ছে পানকৌড়ি। কয়েকটি ছোট ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছে দু-চারজন জেলে। সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চারাধারী, নাইঘর, নাগাইশ, শিদলাই ও দুলালপুর পশ্চিম বিলে।
প্রচার না থাকায় সেভাবে দর্শনার্থীর ভিড় না থাকলেও প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকেই বিস্তীর্ণ জলাভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন প্রায় প্রতিদিনই। এ ছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরে দেরিতে বর্ষা শুরু হওয়ায় বিল অধিকাংশ সময় শুকনো পড়ে থাকত। কিন্তু এ বছর আগাম বর্ষা ও ভারী বর্ষণের ফলে বিলে অনেক পানি জমেছে, যা বিলের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়েছে। বিলে অনেক ধরনের শাপলা ও শালুক থাকলেও বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নীল শাপলা আর শালুক। সাধারণত বর্ষায় খাল-বিল, ডোবায় যখন পানি টইটম্বুর থাকে, তখন জলে ভাসতে থাকে আমাদের চিরচেনা শাপলা-শালুক।
বিলে-ঝিলে সচরাচর সাদা গোলাপি রঙের শাপলা-শালুক বেশি ফুটতে দেখা যায়। কিন্তু চান্দলা হুড়ারপাড়-চারাধারী, নাইঘর, নাগাইশ, শিদলাই ও দুলালপুর পশ্চিম বিলে থরে থরে ফুটে আছে নীল শাপলা-শালুক, যা পৌরাণিক সাহিত্যের নীলকমল বা জীবনানন্দ দাশের নীলমণি পদ্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পুরাণের সেই নীলপদ্ম বাস্তবে আছে কি না, কিংবা জীবনানন্দ দাশের নানাবাড়ির মাঝি নাদের আলী যে নীল পদ্মের বিল দেখাতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, সেটি কোথায়, তার সন্ধান না পাওয়া গেলেও ব্রাহ্মণপাড়ার এসব বিলে গেলে প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি নীল শাপলা দেখে যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর মন ভরে যাবে।
চান্দলা চারাধারী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষার মাঝামাঝি ও শেষদিকে বিলে যখন পানি বেশি হয়, তখন নীল শাপলা, শালুক, সাদা শাপলাসহ অনেক সুন্দর ফুলে ফুলে ভরে যায়। এটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিল হওয়ায় তেমন কেউ ঘুরতে আসে না। এ বছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগেভাগেই বিল ভরে গেছে। মাঝেমধ্যে এদিক দিয়ে কেউ গেলে বিলের ধারে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির এই দৃশ্য উপভোগ করেন।’
বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা চান্দলা করিম বক্স হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নীল শাপলা উপজেলার বিলকে আলাদা সৌন্দর্য দিয়েছে। শহুরে জীবনের বাইরে মুক্ত গ্রামীণ আবহ পেতে বিলটি হতে পারে একটি আদর্শ স্থান।’
নীল শাপলা ‘নিমফাই’ গোত্রের এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এর বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে নিমফাই ক্যাপেনসিস ও নিমফাই কাফরুলে। এর আদি নিবাস আফ্রিকা মহাদেশ। নিমফাই ক্যাপেনসিস প্রজাতির নীল শাপলা ফুলের পাপড়ির রং গাঢ় নীল। এর পাতা গোলাকার ও খাঁজ যুক্ত। নিমফাই কাফরুলে প্রজাতির নীল শাপলার পাতা ও ফুল ক্ষুদ্রাকার, এবং পাপড়ির রং হালকা নীল। এটি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছিল, তার সঠিক ইতিহাস জানা না থাকলেও একসময় বাংলার বিলে-ঝিলে নীল শালুক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে নীল শালুকের আর সেভাবে দেখা মেলে না। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায় একটি সৌন্দর্য বিলাসী ফুল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব বিলের মধ্যে চান্দলা ইউনিয়নের চারাধারী বিল উল্লেখযোগ্য এবং এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। চারাধারী বিলে আসতে হলে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে চান্দলা বাজারে নেমে অটোরিকশাযোগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পূর্ব দিকে গেলেই দেখা মিলবে হুড়ারপাড় চারাধারী বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। পর্যটনকেন্দ্র কিংবা বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে নৌকা নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ নেই। তবে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে মাছ ধরার নৌকায় করে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এ ছাড়া চান্দলার টানা ব্রিজ থেকে শিদলাই যাওয়ার পথে বেশ কিছু স্থানে নীল শালুকের দেখা মিলবে।
মাঝবর্ষায় চারদিকে ভরা জল আর ওপরে সাদা-কালো মেঘ। নিচে বিলের কালচে পানিতে থরে থরে ফুটে আছে নীল শাপলা। বিস্তীর্ণ বিলের এখানে-সেখানে শিকারের আশায় ঘুরছে বক, মাছরাঙা, শামুকখোল পাখি; পানিতে ডুব দিচ্ছে পানকৌড়ি। কয়েকটি ছোট ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছে দু-চারজন জেলে। সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চারাধারী, নাইঘর, নাগাইশ, শিদলাই ও দুলালপুর পশ্চিম বিলে।
প্রচার না থাকায় সেভাবে দর্শনার্থীর ভিড় না থাকলেও প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকেই বিস্তীর্ণ জলাভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন প্রায় প্রতিদিনই। এ ছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরে দেরিতে বর্ষা শুরু হওয়ায় বিল অধিকাংশ সময় শুকনো পড়ে থাকত। কিন্তু এ বছর আগাম বর্ষা ও ভারী বর্ষণের ফলে বিলে অনেক পানি জমেছে, যা বিলের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়েছে। বিলে অনেক ধরনের শাপলা ও শালুক থাকলেও বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নীল শাপলা আর শালুক। সাধারণত বর্ষায় খাল-বিল, ডোবায় যখন পানি টইটম্বুর থাকে, তখন জলে ভাসতে থাকে আমাদের চিরচেনা শাপলা-শালুক।
বিলে-ঝিলে সচরাচর সাদা গোলাপি রঙের শাপলা-শালুক বেশি ফুটতে দেখা যায়। কিন্তু চান্দলা হুড়ারপাড়-চারাধারী, নাইঘর, নাগাইশ, শিদলাই ও দুলালপুর পশ্চিম বিলে থরে থরে ফুটে আছে নীল শাপলা-শালুক, যা পৌরাণিক সাহিত্যের নীলকমল বা জীবনানন্দ দাশের নীলমণি পদ্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পুরাণের সেই নীলপদ্ম বাস্তবে আছে কি না, কিংবা জীবনানন্দ দাশের নানাবাড়ির মাঝি নাদের আলী যে নীল পদ্মের বিল দেখাতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, সেটি কোথায়, তার সন্ধান না পাওয়া গেলেও ব্রাহ্মণপাড়ার এসব বিলে গেলে প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি নীল শাপলা দেখে যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর মন ভরে যাবে।
চান্দলা চারাধারী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষার মাঝামাঝি ও শেষদিকে বিলে যখন পানি বেশি হয়, তখন নীল শাপলা, শালুক, সাদা শাপলাসহ অনেক সুন্দর ফুলে ফুলে ভরে যায়। এটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিল হওয়ায় তেমন কেউ ঘুরতে আসে না। এ বছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগেভাগেই বিল ভরে গেছে। মাঝেমধ্যে এদিক দিয়ে কেউ গেলে বিলের ধারে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির এই দৃশ্য উপভোগ করেন।’
বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা চান্দলা করিম বক্স হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নীল শাপলা উপজেলার বিলকে আলাদা সৌন্দর্য দিয়েছে। শহুরে জীবনের বাইরে মুক্ত গ্রামীণ আবহ পেতে বিলটি হতে পারে একটি আদর্শ স্থান।’
নীল শাপলা ‘নিমফাই’ গোত্রের এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এর বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে নিমফাই ক্যাপেনসিস ও নিমফাই কাফরুলে। এর আদি নিবাস আফ্রিকা মহাদেশ। নিমফাই ক্যাপেনসিস প্রজাতির নীল শাপলা ফুলের পাপড়ির রং গাঢ় নীল। এর পাতা গোলাকার ও খাঁজ যুক্ত। নিমফাই কাফরুলে প্রজাতির নীল শাপলার পাতা ও ফুল ক্ষুদ্রাকার, এবং পাপড়ির রং হালকা নীল। এটি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছিল, তার সঠিক ইতিহাস জানা না থাকলেও একসময় বাংলার বিলে-ঝিলে নীল শালুক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে নীল শালুকের আর সেভাবে দেখা মেলে না। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায় একটি সৌন্দর্য বিলাসী ফুল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব বিলের মধ্যে চান্দলা ইউনিয়নের চারাধারী বিল উল্লেখযোগ্য এবং এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। চারাধারী বিলে আসতে হলে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে চান্দলা বাজারে নেমে অটোরিকশাযোগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পূর্ব দিকে গেলেই দেখা মিলবে হুড়ারপাড় চারাধারী বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। পর্যটনকেন্দ্র কিংবা বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে নৌকা নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ নেই। তবে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে মাছ ধরার নৌকায় করে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এ ছাড়া চান্দলার টানা ব্রিজ থেকে শিদলাই যাওয়ার পথে বেশ কিছু স্থানে নীল শালুকের দেখা মিলবে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২৯ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে