সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এই ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেন।
এতে আহত হয়েছেন পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী, পার্কে আসা দর্শনার্থী, গাড়িচালক ও চালকের সহকারীসহ শতাধিক ব্যক্তি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ফৌজদারহাটের বন্দর সংযোগ সড়কে অবস্থিত ডিসি পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সময় পার্কের গেটসহ বাইরে ও ভেতরে থাকা ২০টি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুইয়েছেন পার্কে আসা দর্শনার্থী ও দোকান মালিকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি লরি রাত ৮টার সময় ডিসি পার্কের পার্কিং এলাকায় দাঁড় করানো হয়। এ নিয়ে পার্কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীরা লরিচালকের কাছ থেকে লরির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেন এবং চালককে মারধর করেন। ঘটনাটি চালক তাঁর সহকর্মী অন্যান্য চালকের পাশাপাশি বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে জানান।
এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর চালক ও বহিরাগত ২৫-৩০ জন উত্তেজিত ব্যক্তি ডিসি পার্কে হামলা চালান। তাঁরা পার্কের বাইরে থাকা ছোট ছোট গাছ ও ফুলের টব ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পার্কের মূল ফটকের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চারদিকে ছোটোছুটি শুরু করেন। সেই সঙ্গে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও দোকান মালিকেরা। পরে বিক্ষুব্ধ লরিচালক ও বহিরাগতরা পার্কে থাকা ২০টি দোকান ভাঙচুর করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ভিডিওতে দেখা যায়, ডিসি পার্কের মূল ফটক ভেঙে চালক ও বহিরাগত যুবকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর তাঁরা দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁদের উপর্যুপরি হামলায় ৩০ জনেরও অধিক দর্শনার্থী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী দর্শনার্থী রোকেয়া বেগম বলেন, হঠাৎ উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক এসে ডিসি পার্কের মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে তাঁরসহ শতাধিক দর্শনার্থীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। ভাঙচুরের সময় হামলাকারীদের ছোড়া ইট-পাথরের আঘাতে তিনিসহ ৩০ জনেরও বেশি দর্শনার্থী আহত হন।

চট্টগ্রাম জেলার প্রাইম মুবার লরি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জেরে ডিসি পার্কের নিরাপত্তারক্ষী ও আনসার সদস্যরা চালকের ওপর হামলা চালান। এতে ৫০-৬০ জন চালক আহত হন। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক নুরুল আক্তার বলেন, ডিসি পার্কে চালকের সঙ্গে পার্কের লোকজনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সংঘর্ষের ঘণ্টা দু-এক পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়।
সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিপোর এক লরিচালক বেপরোয়া গতিতে লরি চালিয়ে পার্কের সামনে আসেন। এ কারণে পার্কের মূল ফটকের বাইরে থাকা দর্শনার্থীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়া সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর পার্কের নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তাঁরা তাঁকে (লরিচালককে) মামলার ভয় দেখিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেন।’
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহেল বলেন, ‘ডিসি পার্কে হামলার পর চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তবে ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্কসংলগ্ন রাস্তায় লরি রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালক ও পার্কের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে পার্কে হামলার ঘটনা ঘটান চালকেরা।
তিনি আরও বলেন, হামলার ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এই ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেন।
এতে আহত হয়েছেন পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী, পার্কে আসা দর্শনার্থী, গাড়িচালক ও চালকের সহকারীসহ শতাধিক ব্যক্তি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ফৌজদারহাটের বন্দর সংযোগ সড়কে অবস্থিত ডিসি পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সময় পার্কের গেটসহ বাইরে ও ভেতরে থাকা ২০টি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুইয়েছেন পার্কে আসা দর্শনার্থী ও দোকান মালিকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি লরি রাত ৮টার সময় ডিসি পার্কের পার্কিং এলাকায় দাঁড় করানো হয়। এ নিয়ে পার্কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীরা লরিচালকের কাছ থেকে লরির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেন এবং চালককে মারধর করেন। ঘটনাটি চালক তাঁর সহকর্মী অন্যান্য চালকের পাশাপাশি বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে জানান।
এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর চালক ও বহিরাগত ২৫-৩০ জন উত্তেজিত ব্যক্তি ডিসি পার্কে হামলা চালান। তাঁরা পার্কের বাইরে থাকা ছোট ছোট গাছ ও ফুলের টব ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পার্কের মূল ফটকের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চারদিকে ছোটোছুটি শুরু করেন। সেই সঙ্গে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও দোকান মালিকেরা। পরে বিক্ষুব্ধ লরিচালক ও বহিরাগতরা পার্কে থাকা ২০টি দোকান ভাঙচুর করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ভিডিওতে দেখা যায়, ডিসি পার্কের মূল ফটক ভেঙে চালক ও বহিরাগত যুবকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর তাঁরা দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁদের উপর্যুপরি হামলায় ৩০ জনেরও অধিক দর্শনার্থী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী দর্শনার্থী রোকেয়া বেগম বলেন, হঠাৎ উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক এসে ডিসি পার্কের মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে তাঁরসহ শতাধিক দর্শনার্থীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। ভাঙচুরের সময় হামলাকারীদের ছোড়া ইট-পাথরের আঘাতে তিনিসহ ৩০ জনেরও বেশি দর্শনার্থী আহত হন।

চট্টগ্রাম জেলার প্রাইম মুবার লরি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জেরে ডিসি পার্কের নিরাপত্তারক্ষী ও আনসার সদস্যরা চালকের ওপর হামলা চালান। এতে ৫০-৬০ জন চালক আহত হন। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক নুরুল আক্তার বলেন, ডিসি পার্কে চালকের সঙ্গে পার্কের লোকজনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সংঘর্ষের ঘণ্টা দু-এক পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়।
সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিপোর এক লরিচালক বেপরোয়া গতিতে লরি চালিয়ে পার্কের সামনে আসেন। এ কারণে পার্কের মূল ফটকের বাইরে থাকা দর্শনার্থীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়া সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর পার্কের নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তাঁরা তাঁকে (লরিচালককে) মামলার ভয় দেখিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেন।’
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহেল বলেন, ‘ডিসি পার্কে হামলার পর চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তবে ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্কসংলগ্ন রাস্তায় লরি রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালক ও পার্কের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে পার্কে হামলার ঘটনা ঘটান চালকেরা।
তিনি আরও বলেন, হামলার ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩২ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এ ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেয়...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এ ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেয়...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩২ মিনিট আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এ ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেয়...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩২ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

মাদারীপুর জেলার শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে ২০টি গুলিসহ ২টি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযানে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুটি গাড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও ১৫টি গাড়িতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অস্ত্র দুটি লাইসেন্সকৃত কি না তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা বলেন, ’সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতার মধ্যে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এই অভিযান। দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ’ঘটনাস্থল থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। আমরা এর লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মাদারীপুর জেলার শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে ২০টি গুলিসহ ২টি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযানে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুটি গাড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও ১৫টি গাড়িতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অস্ত্র দুটি লাইসেন্সকৃত কি না তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা বলেন, ’সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতার মধ্যে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এই অভিযান। দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ’ঘটনাস্থল থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। আমরা এর লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এ ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেয়...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩২ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে