মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যায় মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম সিফাত (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র। খেলার একপর্যায়ে বল ‘হেড’ দেওয়ার পর মাঠেই অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসার পর আজ বুধবার সকালে মারা যায় সিফাত।
চিকিৎসক বলেছেন, হাসপাতালে আনার পর সিফাতের বাঁ হাত ও বাঁ পা অবশ হয়ে যায়। এটি মাথায় আঘাতের পর রক্তক্ষরণের কারণে হতে পারে।
সিফাত চট্টগ্রামের মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সিফাতের বাবা শাহজাহান সাজু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করেন। তাদের বসতভিটা না থাকায় মিরসরাই সদর ইউনিয়নের কিছমত জাফরাবাদ সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৩ নম্বর ঘরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত সিফাত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মাঠে খেলার সাথিদের কাছ থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার সিফাত সহপাঠীদের নিয়ে বিসিক শিল্প অঞ্চলের মাঠে (ওয়ারলেস) ফুটবল খেলতে যায়। খেলার সময় বল মাথায় হেড দেওয়ার পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠীরা তাকে মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিয়াজ উদ্দিন সিফাত বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার সময় মাথায় বল হেড দেওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে আনার পর আমি এবং মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন সিফাতের সংকটাপন্ন অবস্থা দেখতে পাই। ততক্ষণে সিফাতের বাঁ হাত ও বাঁ পা অবশ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মাথায় আঘাতের পর রক্তক্ষরণের কারণে হতে পারে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিফাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
কিশোর সিফাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিরসরাই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিয়াজুল ইসলাম সিফাত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্লাসে লেখাপড়া, ভদ্রতা, নম্রতায় অন্য সবার থেকে আলাদা ছিল সে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিফাতের দুর্ঘটনার খবর শুনে চিকিৎসার জন্য শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে একটি ফান্ড গঠন করেছে। সে টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে আজকে মেডিকেলে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে তার মৃত্যুর খবর চলে আসে। মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, সহপাঠী সবাই আজ শোকে অশ্রুসিক্ত।’
সিফাতের খালু আমান উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, পাঁচ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর আজ (বুধবার) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে সিফাত। বাদ জোহর মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যায় মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম সিফাত (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র। খেলার একপর্যায়ে বল ‘হেড’ দেওয়ার পর মাঠেই অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসার পর আজ বুধবার সকালে মারা যায় সিফাত।
চিকিৎসক বলেছেন, হাসপাতালে আনার পর সিফাতের বাঁ হাত ও বাঁ পা অবশ হয়ে যায়। এটি মাথায় আঘাতের পর রক্তক্ষরণের কারণে হতে পারে।
সিফাত চট্টগ্রামের মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সিফাতের বাবা শাহজাহান সাজু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করেন। তাদের বসতভিটা না থাকায় মিরসরাই সদর ইউনিয়নের কিছমত জাফরাবাদ সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৩ নম্বর ঘরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত সিফাত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মাঠে খেলার সাথিদের কাছ থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার সিফাত সহপাঠীদের নিয়ে বিসিক শিল্প অঞ্চলের মাঠে (ওয়ারলেস) ফুটবল খেলতে যায়। খেলার সময় বল মাথায় হেড দেওয়ার পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠীরা তাকে মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিয়াজ উদ্দিন সিফাত বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার সময় মাথায় বল হেড দেওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে আনার পর আমি এবং মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন সিফাতের সংকটাপন্ন অবস্থা দেখতে পাই। ততক্ষণে সিফাতের বাঁ হাত ও বাঁ পা অবশ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মাথায় আঘাতের পর রক্তক্ষরণের কারণে হতে পারে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিফাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
কিশোর সিফাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিরসরাই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিয়াজুল ইসলাম সিফাত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্লাসে লেখাপড়া, ভদ্রতা, নম্রতায় অন্য সবার থেকে আলাদা ছিল সে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিফাতের দুর্ঘটনার খবর শুনে চিকিৎসার জন্য শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে একটি ফান্ড গঠন করেছে। সে টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে আজকে মেডিকেলে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে তার মৃত্যুর খবর চলে আসে। মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, সহপাঠী সবাই আজ শোকে অশ্রুসিক্ত।’
সিফাতের খালু আমান উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, পাঁচ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর আজ (বুধবার) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে সিফাত। বাদ জোহর মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
২৫ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
৩৬ মিনিট আগেনাটোরের নলডাঙ্গায় একটি হোটেলে মরা মুরগি রাখার দায়ে হোটেলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে