Ajker Patrika

চট্টগ্রামে ৫৭ ঘণ্টা পর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ৫৭ ঘণ্টা পর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু

চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। তবে চাপ কম। গ্যাস সরবরাহ পুরো স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৮ থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গত শুক্রবার ( ১২ মে) রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

কেজিডিসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন-দক্ষিণ) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছি। ধীরে ধীরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে এখন গ্যাস যাচ্ছে। গ্যাসের চাপ কম থাকলেও যা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে প্রয়োজনীয় রান্না সাড়া যাচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম নগরীর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ আগের মতো পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।

কিছু কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানেও গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

আমিনুর রহমান আরও বলেন, গ্যাস না থাকায় পাইপলাইন ফাঁকা ছিল। তাই পাইপলাইনে গ্যাসপূর্ণ হতে সময় লাগছে। এতে গ্রাহকেরা এখনো পুরোপুরি গ্যাস পাচ্ছেন না। এটা ধীরে ধীরে ফিলাপ হয়ে গেলে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাবে।

চট্টগ্রাম ডিসি রোডের বাসিন্দা গৃহিণী তাহমিনা শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরের পর লাইনে গ্যাস আসা শুরু হয়। তবে গ্যাসের চাপ কম। 

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীতে সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১২ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৯ মে পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানায়। 

গ্যাস না থাকায় গত দুদিন ধরে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, হোটেল, রেস্টুরেন্টে রান্নাবান্না বন্ধ থাকে। বাইরে থেকে খাবার কিনে নগরবাসীকে খেতে হয়েছে। অনেকেই বিকল্প হিসেবে কেরোসিনের চুলা ও সিলিন্ডারজাত গ্যাস বাসায় নিয়ে রান্নাবান্নার কাজ সেড়েছেন। 

সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোয়ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যাও কমে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত