Ajker Patrika

সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ‘লাশের মিছিল’ চৌদ্দগ্রামে

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ২৯
সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ‘লাশের মিছিল’ চৌদ্দগ্রামে

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে হানিফ বাংলাদেশীর ‘লাশের মিছিল’ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অতিক্রম করেছে। এর আগে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। আজ রোববার সকালে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনি প্রতীকী লাশের মিছিল করেন। 

মিছিলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে—এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবেন। কর্মসূচিটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভ হোসেন বেলাল, নুরুল আজিম, আরিফ, নিরব নামে আরও চার যুবক।

প্রতীকী লাশের মিছিল সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে একজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করেছে।

‘গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১ হাজার ২৭৬ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে, ১ হাজার ১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মর্টার শেলে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।’ বলেন, হানিফ বাংলাদেশী।

হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুটি বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরী আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোরাকারবারি। হতে পারে গরু চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারীরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।

হানিফ বাংলাদেশী এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারণে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তাঁবেদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনো কোনো দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি; নতুন প্রজন্মও কোনো দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত