ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এই রায় দেন। একই মামলায় নয়জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলার কসবা নিমবাড়ির জমসিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া জমসিদ মিয়ার আরও চার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া ও মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলেকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। তবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসিদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে মুনিরের তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল কৃষক রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরই জেরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকালে বাজার থেকে চাচা নাবাক সর্দার ও বড় ভাই ফায়েজ মিয়াসহ বাড়িতে ফেরার পথে কৃষক রহিজের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করেন জমসিদ মিয়ার লোকজন। এই ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কৃষক রহিজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় কৃষক রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সকল যুক্তি তর্ক ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়ার ছেলে আসামি খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি জমসিদ মিয়ার চার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়াসহ ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শরীফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’ আদালত মাত্র একজন আসামিকে ফাঁসি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের হত্যাকাণ্ডে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও ফাঁসি আদেশ দেয়নি। ফলে আমরা এই রায়ে সন্তোষ হতে পারেনি। তবে আমরা ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম আবদুল হাই রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক হাদী রায়ের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এই রায় দেন। একই মামলায় নয়জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলার কসবা নিমবাড়ির জমসিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া জমসিদ মিয়ার আরও চার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া ও মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলেকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। তবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসিদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে মুনিরের তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল কৃষক রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরই জেরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকালে বাজার থেকে চাচা নাবাক সর্দার ও বড় ভাই ফায়েজ মিয়াসহ বাড়িতে ফেরার পথে কৃষক রহিজের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করেন জমসিদ মিয়ার লোকজন। এই ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কৃষক রহিজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় কৃষক রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সকল যুক্তি তর্ক ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়ার ছেলে আসামি খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি জমসিদ মিয়ার চার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়াসহ ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শরীফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’ আদালত মাত্র একজন আসামিকে ফাঁসি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের হত্যাকাণ্ডে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও ফাঁসি আদেশ দেয়নি। ফলে আমরা এই রায়ে সন্তোষ হতে পারেনি। তবে আমরা ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম আবদুল হাই রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক হাদী রায়ের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শ্রীনগরে মাহবুব আমিন (৬০) নামের এক প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার ধাইসার গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ওই প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন।
৯ মিনিট আগেরংপুর নগরীর ইসলামবাগ আর কে রোড এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে...
১৩ মিনিট আগেসমাবেশে শিক্ষার্থী বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই এমএম কলেজের সামনের সড়কসহ আশপাশের কোনো সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না। অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ খড়কী এলাকার মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
১৬ মিনিট আগেলামিম খান তাদের সঙ্গে তিতাস নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুই নৌকার মাঝখানে পড়ে গিয়ে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠান। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক...
২০ মিনিট আগে