চবি সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ২০২৩ সালের বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় বসতে পারেননি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অনার্স-মাস্টার্সের ফলাফল দেখাতে হয় এমন চাকরিতে আবেদনও করতে পারছেন না অনেকেই। শিক্ষকদের দাবি, কিছু শিক্ষক ফলাফল জমা না দেওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোভিড-১৯-এর জটে এক বছর ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করা নিয়েও শিক্ষকেরা তৎপর নন—এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষকদের দাবি, পরীক্ষার আট মাস পরে একটি ব্যাচেরও ফলাফল দিতে সক্ষম না হওয়ার মূল কারণ দুটি। সেগুলো হলো—শিক্ষকেরা সময়মতো ফলাফল না দেওয়া এবং ফলাফল প্রস্তুতে ডিজিটালাইজেশন না হওয়া।
বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, আইন বিভাগের স্নাতক সব ব্যাচের (১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ বর্ষ) পরীক্ষাই (মৌখিকসহ) গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। তবে আট মাস হয়ে গেলেও এখনো মেলেনি কোনো ব্যাচের ফলাফল। অনেক শিক্ষার্থীই এরই মধ্যে জুডিশিয়ারি লিখিত পরীক্ষা দেবেন। তাদের উৎকণ্ঠা, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় নিজের সার্টিফিকেট বা মার্কশিট দেখাতে পারবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ফলাফল প্রকাশের সমস্যা কোভিডের পর থেকে তীব্র হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বারবার অবিহিত করলেও কোনো সমাধান পাইনি। এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষকের অলসতার জন্য আমাদের ফল পেতে দেরি হয়। আমরা চাই, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক। তা না হলে ক্যাম্পাস খুললে আমরা এ নিয়ে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেব।’
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই সমস্যার মূলে কিছু শিক্ষক। তাঁরা সময়মতো খাতা কেটে ফলাফল জমা দিলে এই সমস্যা হতো না। এখানে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, যিনি অনেক সময় থাকেন না, তাঁর একটি সিগনেচারের জন্যও ফলাফল আটকে থাকে। যেখানে আমাদের অন্য বিভাগের বন্ধুরা পরীক্ষার দু-তিন মাস পরেই ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের আইন বিভাগকে গুনতে হয় সাত-আট মাসের দীর্ঘ সময়,’ যা, অত্যন্ত দুঃখজনক।
২০১৭-১৮ সেশনের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বিভাগের রেজাল্ট দিতে সব সময়ই ৮-১০ মাস সময় লাগে। সে জন্য আমরা এটাকেই ধরে নিয়েছি। যদিও আমরা নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের ব্যাচের দাবির শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়েছে আমরা পারিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন চাকরিতে যেতে পারি না, যেখানে অনার্স ও মাস্টার্স ফলাফল দেখাতে হয়।’
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রকিবা নবী বলেন, ‘এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এর সমাধানকল্পে আমরা কাজ করছি। এখানে কয়েকজন শিক্ষকের দেরিতে ফলাফল জমা দেওয়ার কারণেই মূলত ফল প্রকাশে দেরি হয়।’
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান বলেন, ‘এই সমস্যাটা শুধু যে শিক্ষকদের অলসতার জন্য হচ্ছে এমন না। প্রশাসন চাইলেই এখানে ব্যবস্থা নিতে পারত। ফলাফলের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করা হলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সেই সঙ্গে অনেক দিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা তেমন কাজ করতে পারিনি। আশা করছি, অতি শিগগিরই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিফাত শারমিন বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ না হলে আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফল দিতে পারি না। আমি জেনেছি, নানা সমস্যার কারণে তৃতীয় বর্ষের ফলাফলটা আটকে আছে। তবে আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফলের কাজ অনেকটাই শেষ করেছি। তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ হলেই আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করতে পারব। এ ছাড়া কিছু শিক্ষক ফলাফল দেরিতে দেওয়ায় সমস্যাটা তৈরি হয়।’
আইন অনুষদের ডিন ও মাস্টার্সের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঁচ-ছয় মাস দেরি হওয়াটা রীতি হয়ে গেছে। শিক্ষকদের অবহেলার জন্য ফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক মাস ধরেই শিক্ষক ও ছাত্রদের আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা ছিল। অফিসের কাজও প্রায় বন্ধই ছিল। এ সময় শিক্ষকেরাও তাঁদের কাজ ঠিকমতো করেননি। ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হলে আশা করি এ নিয়ে দ্রুত সমাধানে কাজ করব।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ২০২৩ সালের বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় বসতে পারেননি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অনার্স-মাস্টার্সের ফলাফল দেখাতে হয় এমন চাকরিতে আবেদনও করতে পারছেন না অনেকেই। শিক্ষকদের দাবি, কিছু শিক্ষক ফলাফল জমা না দেওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোভিড-১৯-এর জটে এক বছর ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করা নিয়েও শিক্ষকেরা তৎপর নন—এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষকদের দাবি, পরীক্ষার আট মাস পরে একটি ব্যাচেরও ফলাফল দিতে সক্ষম না হওয়ার মূল কারণ দুটি। সেগুলো হলো—শিক্ষকেরা সময়মতো ফলাফল না দেওয়া এবং ফলাফল প্রস্তুতে ডিজিটালাইজেশন না হওয়া।
বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, আইন বিভাগের স্নাতক সব ব্যাচের (১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ বর্ষ) পরীক্ষাই (মৌখিকসহ) গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। তবে আট মাস হয়ে গেলেও এখনো মেলেনি কোনো ব্যাচের ফলাফল। অনেক শিক্ষার্থীই এরই মধ্যে জুডিশিয়ারি লিখিত পরীক্ষা দেবেন। তাদের উৎকণ্ঠা, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় নিজের সার্টিফিকেট বা মার্কশিট দেখাতে পারবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ফলাফল প্রকাশের সমস্যা কোভিডের পর থেকে তীব্র হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বারবার অবিহিত করলেও কোনো সমাধান পাইনি। এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষকের অলসতার জন্য আমাদের ফল পেতে দেরি হয়। আমরা চাই, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক। তা না হলে ক্যাম্পাস খুললে আমরা এ নিয়ে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেব।’
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই সমস্যার মূলে কিছু শিক্ষক। তাঁরা সময়মতো খাতা কেটে ফলাফল জমা দিলে এই সমস্যা হতো না। এখানে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, যিনি অনেক সময় থাকেন না, তাঁর একটি সিগনেচারের জন্যও ফলাফল আটকে থাকে। যেখানে আমাদের অন্য বিভাগের বন্ধুরা পরীক্ষার দু-তিন মাস পরেই ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের আইন বিভাগকে গুনতে হয় সাত-আট মাসের দীর্ঘ সময়,’ যা, অত্যন্ত দুঃখজনক।
২০১৭-১৮ সেশনের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বিভাগের রেজাল্ট দিতে সব সময়ই ৮-১০ মাস সময় লাগে। সে জন্য আমরা এটাকেই ধরে নিয়েছি। যদিও আমরা নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের ব্যাচের দাবির শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়েছে আমরা পারিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন চাকরিতে যেতে পারি না, যেখানে অনার্স ও মাস্টার্স ফলাফল দেখাতে হয়।’
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রকিবা নবী বলেন, ‘এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এর সমাধানকল্পে আমরা কাজ করছি। এখানে কয়েকজন শিক্ষকের দেরিতে ফলাফল জমা দেওয়ার কারণেই মূলত ফল প্রকাশে দেরি হয়।’
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান বলেন, ‘এই সমস্যাটা শুধু যে শিক্ষকদের অলসতার জন্য হচ্ছে এমন না। প্রশাসন চাইলেই এখানে ব্যবস্থা নিতে পারত। ফলাফলের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করা হলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সেই সঙ্গে অনেক দিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা তেমন কাজ করতে পারিনি। আশা করছি, অতি শিগগিরই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিফাত শারমিন বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ না হলে আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফল দিতে পারি না। আমি জেনেছি, নানা সমস্যার কারণে তৃতীয় বর্ষের ফলাফলটা আটকে আছে। তবে আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফলের কাজ অনেকটাই শেষ করেছি। তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ হলেই আমরা চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করতে পারব। এ ছাড়া কিছু শিক্ষক ফলাফল দেরিতে দেওয়ায় সমস্যাটা তৈরি হয়।’
আইন অনুষদের ডিন ও মাস্টার্সের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঁচ-ছয় মাস দেরি হওয়াটা রীতি হয়ে গেছে। শিক্ষকদের অবহেলার জন্য ফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক মাস ধরেই শিক্ষক ও ছাত্রদের আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা ছিল। অফিসের কাজও প্রায় বন্ধই ছিল। এ সময় শিক্ষকেরাও তাঁদের কাজ ঠিকমতো করেননি। ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হলে আশা করি এ নিয়ে দ্রুত সমাধানে কাজ করব।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে