আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি)। আর সেই দ্বন্দ্বের প্যাঁচে জেলে গেলেন দুই দিনমজুর!
গত ১ জুলাই খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির মধ্যকার বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘেরা বেড়ার কাজ করতে গেলে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুই দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠান। তিনি তাঁদের পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। দুই দিনমজুর হলেন—অফিস টিলার আবুল কালাম ও দারোগা পাড়ার রুহুল আমিন।
এর আগে গত বছর এ জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ইউএনও দিনমজুর আলী আহাম্মদকে জেলে পাঠান। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আলী আহাম্মদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নিজের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যান ইউএনও। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর হতদরিদ্রদের ঘর নির্মাণের কাজে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল গ্রামের বাসিন্দা আলী আহাম্মদ। এবার আরেক ইউএনও তাঁকে জেলে পাঠালেন।
রামগড় ৪৩ বিজিবি সূত্র জানায়, তাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিন রামগড় বিওপির ঘেরা বেড়া মেরামতের কাজ করতে গেলে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের জেলে পাঠান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামগড়ের ইউএনও খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, ‘প্রতিশোধ হিসেবে শ্রমিকদের জেলে পাঠানো হয়নি। একজন বিচারক হিসাবে দুই বছরের জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে। আমি দিয়েছি পাঁচ দিন।’
রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) জমি নিয়ে বিরোধ ও শ্রমিক জেলে যাওয়ার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলীমউল্যাহ ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজিবি-উপজেলা প্রশাসন জমি নিয়ে বিরোধ ও শ্রমিক জেলে যাওয়া দুঃখজনক।’
দিনমজুর আবুল কালামের স্ত্রী অজিফা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ৩ মেয়ে ২ ছেলেসহ ৭ জনের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর ফলে আমাদের সংসার অচল হয়ে পড়েছে।’
একই পাড়ার সত্তরোর্ধ্ব হারিচা খাতুন (আলেয়ার মা) বলেন, ‘দিনমজুর আবুল কালাম কোনো দিন খারাপ পথে চলেনি, তাকে কেন জেলে পাঠানো হবে।’
স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর মো. বাদশা মিয়া বলেন, রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরীহ দিনমজুর জেলে যাওয়া দুঃখজনক।
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ি জেলার উপপরিচালক মো. মন্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বিজিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা জায়গায় রামগড় উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন।’
জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি)। আর সেই দ্বন্দ্বের প্যাঁচে জেলে গেলেন দুই দিনমজুর!
গত ১ জুলাই খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির মধ্যকার বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘেরা বেড়ার কাজ করতে গেলে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুই দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠান। তিনি তাঁদের পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। দুই দিনমজুর হলেন—অফিস টিলার আবুল কালাম ও দারোগা পাড়ার রুহুল আমিন।
এর আগে গত বছর এ জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ইউএনও দিনমজুর আলী আহাম্মদকে জেলে পাঠান। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আলী আহাম্মদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নিজের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যান ইউএনও। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর হতদরিদ্রদের ঘর নির্মাণের কাজে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল গ্রামের বাসিন্দা আলী আহাম্মদ। এবার আরেক ইউএনও তাঁকে জেলে পাঠালেন।
রামগড় ৪৩ বিজিবি সূত্র জানায়, তাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিন রামগড় বিওপির ঘেরা বেড়া মেরামতের কাজ করতে গেলে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের জেলে পাঠান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামগড়ের ইউএনও খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, ‘প্রতিশোধ হিসেবে শ্রমিকদের জেলে পাঠানো হয়নি। একজন বিচারক হিসাবে দুই বছরের জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে। আমি দিয়েছি পাঁচ দিন।’
রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) জমি নিয়ে বিরোধ ও শ্রমিক জেলে যাওয়ার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলীমউল্যাহ ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজিবি-উপজেলা প্রশাসন জমি নিয়ে বিরোধ ও শ্রমিক জেলে যাওয়া দুঃখজনক।’
দিনমজুর আবুল কালামের স্ত্রী অজিফা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ৩ মেয়ে ২ ছেলেসহ ৭ জনের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর ফলে আমাদের সংসার অচল হয়ে পড়েছে।’
একই পাড়ার সত্তরোর্ধ্ব হারিচা খাতুন (আলেয়ার মা) বলেন, ‘দিনমজুর আবুল কালাম কোনো দিন খারাপ পথে চলেনি, তাকে কেন জেলে পাঠানো হবে।’
স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর মো. বাদশা মিয়া বলেন, রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরীহ দিনমজুর জেলে যাওয়া দুঃখজনক।
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ি জেলার উপপরিচালক মো. মন্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বিজিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা জায়গায় রামগড় উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন।’
ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৬ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে