মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫০) চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় মাছকারিয়া বিলে ৫ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ধানও পেকে উঠেছে। বৈশাখের মাঝামাঝিতে ধান কাটার প্রস্তুতি ছিল তাঁর। তবে বৃষ্টিতে জমির পাশের পাহাড়ে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে তাঁর অধিকাংশ পাকা ধান তলিয়ে গেছে।
শুধু মোহাম্মদ আলী নয়, গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে উপজেলার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, হাকিমপাড়া, বালুখালী, ময়নারঘোনা ও পালংখালীর বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে পাকা ও আধা পাকা ধানের খেতে ঢুকেছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে ধান। স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আশপাশের গ্রামগুলোতে অন্তত ২০০ একর জমির বোরো ধান বর্জ্যে তলিয়ে গেছে। মানুষের মলমূত্রের সঙ্গে প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্যে খেতে নামা যাচ্ছে না। ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ।
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের মধ্যে ২৬টির অবস্থান উখিয়ায়। এর মধ্যে কুতুপালং বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী আশ্রয়শিবির। পাহাড়ের চূড়া ও খাদে গড়ে তোলা এসব আশ্রয়শিবিরে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
খাল খননের দাবি
কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকার কৃষক মোহাম্মদ রাশেদ ও আহমদ উল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যের কারণে কয়েক বছর ধরে তাঁরা আমন ধানের আবাদ করতে পারছেন না। শুষ্ক মৌসুমে বোরো ও সবজি চাষ করেন। কিন্তু এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পের বর্জ্য এসে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকেরা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য আসা বন্ধসহ খাল খননের দাবি করেছেন। ময়নারঘোনা এলাকার কৃষক আবদুস সালাম ও জমির উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর বর্জ্যের কারণে তাঁরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে এলাকার কৃষকেরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সামান্য বৃষ্টিতে ক্যাম্পের নালা উপচে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে মানববর্জ্য। পাশাপাশি প্লাস্টিক, পলিথিন ও মেডিকেল বর্জ্যও আসছে। এর মধ্যে জমিতে বর্জ্য জমে পচে যাচ্ছে ধান ও সবজিখেত। এভাবে প্রতিবছর বর্জ্য এসে পড়ায় লোকসান গুনছে স্থানীয় কৃষকেরা। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণ ও খালগুলো সংস্কার করে বর্জ্য আসা বন্ধ করা দরকার। না হয় কৃষকেরা পেশা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার তাগাদা দিয়েও সমস্যার সমাধান কিংবা কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয়নি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আশপাশের খালগুলো খনন ও সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) থেকে একটি তহবিল পাওয়া গেছে। শিগগির কাজ শুরু করা হবে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫০) চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় মাছকারিয়া বিলে ৫ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ধানও পেকে উঠেছে। বৈশাখের মাঝামাঝিতে ধান কাটার প্রস্তুতি ছিল তাঁর। তবে বৃষ্টিতে জমির পাশের পাহাড়ে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে তাঁর অধিকাংশ পাকা ধান তলিয়ে গেছে।
শুধু মোহাম্মদ আলী নয়, গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে উপজেলার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, হাকিমপাড়া, বালুখালী, ময়নারঘোনা ও পালংখালীর বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে পাকা ও আধা পাকা ধানের খেতে ঢুকেছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে ধান। স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আশপাশের গ্রামগুলোতে অন্তত ২০০ একর জমির বোরো ধান বর্জ্যে তলিয়ে গেছে। মানুষের মলমূত্রের সঙ্গে প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্যে খেতে নামা যাচ্ছে না। ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ।
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের মধ্যে ২৬টির অবস্থান উখিয়ায়। এর মধ্যে কুতুপালং বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী আশ্রয়শিবির। পাহাড়ের চূড়া ও খাদে গড়ে তোলা এসব আশ্রয়শিবিরে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
খাল খননের দাবি
কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকার কৃষক মোহাম্মদ রাশেদ ও আহমদ উল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যের কারণে কয়েক বছর ধরে তাঁরা আমন ধানের আবাদ করতে পারছেন না। শুষ্ক মৌসুমে বোরো ও সবজি চাষ করেন। কিন্তু এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পের বর্জ্য এসে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকেরা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য আসা বন্ধসহ খাল খননের দাবি করেছেন। ময়নারঘোনা এলাকার কৃষক আবদুস সালাম ও জমির উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর বর্জ্যের কারণে তাঁরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে এলাকার কৃষকেরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সামান্য বৃষ্টিতে ক্যাম্পের নালা উপচে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে মানববর্জ্য। পাশাপাশি প্লাস্টিক, পলিথিন ও মেডিকেল বর্জ্যও আসছে। এর মধ্যে জমিতে বর্জ্য জমে পচে যাচ্ছে ধান ও সবজিখেত। এভাবে প্রতিবছর বর্জ্য এসে পড়ায় লোকসান গুনছে স্থানীয় কৃষকেরা। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণ ও খালগুলো সংস্কার করে বর্জ্য আসা বন্ধ করা দরকার। না হয় কৃষকেরা পেশা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার তাগাদা দিয়েও সমস্যার সমাধান কিংবা কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয়নি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আশপাশের খালগুলো খনন ও সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) থেকে একটি তহবিল পাওয়া গেছে। শিগগির কাজ শুরু করা হবে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগে