ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে যাত্রীবাহী সি-ট্রাক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রিতে বাধা, নির্দিষ্ট সময়ের আগে নৌযানটিকে ঘাট ছেড়ে যেতে বাধ্য করাসহ যাত্রী উঠতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে ট্রলারমালিক সিন্ডিকেট জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌপথে চলাচলকারী এসটি শৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার ও কর্মীদের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে আলোচনায় আসে বিষয়টি। ভিডিওতে দেখা যায়, সি-ট্রাকের মাস্টার ও কর্মীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে কয়েকজন। তারা নৌযানটিকে দ্রুত ঘাট ছেড়ে যেতে গালমন্দ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হাতিয়ায় ঘাট ও যাত্রী পারাপার ব্যবস্থা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ইজারাদার গা ঢাকা দেওয়ায় যে যার মতো করে ফিটনেসবিহীন ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করতে থাকে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি হয়। এর সদস্যরা ফিটনেসবিহীন ট্রলারের পাশাপাশি স্পিডবোট ও অন্যান্য নৌযান পরিচালনা শুরু করে।
এদিকে বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করে সম্প্রতি হাতিয়া থেকে যাত্রী পারাপারে সরকারি সি-ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এতে বাধা দেওয়া শুরু করে সিন্ডিকেটটি। তারা কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান ঘাটে সি-ট্রাকের টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেয়। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, জামশেদ নামের এক ব্যক্তি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বের করে দেন এবং টেবিলের ওপর রাখা টিকিটের বান্ডিল ছিঁড়ে ফেলেন। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘাটে গিয়ে একজনকে আটক করেন।
কিছুদিন পর একটি সংঘবদ্ধ দল ঘাটে গিয়ে যাত্রীদের সি-ট্রাকে উঠতে বাধা দেয়। তারা ট্রাকের গোড়ায় দাঁড়িয়ে যাত্রীদের অন্য নৌযানে উঠতে বাধ্য করেন। এতে যাত্রীদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেক যাত্রীর সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
এপথে চলাচলকারী যাত্রী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘শীত মৌসুমে সি-ট্রাক ছাড়াও অন্যান্য বাহনে নদী পার হওয়া যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে দ্বীপের সাত লাখ মানুষের নদী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা হলো এই সি-ট্রাক। কারণ, তখন নদী উত্তাল থাকে। এ সময় অন্য যানবাহনে চলাচলে ঝুঁকি থাকে। যেকোনো মূল্যে আমাদের সি-ট্রাক চলাচল ঠিক রাখতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।’
এসটি শৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার আফজাল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি সাইফুল ও তার সহযোগী আলমগীর সি-ট্রাক ছাড়ার সময় ৮টায় থাকলেও সাড়ে ৭টায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাদের গালিগালাজ শুরু করে। সি-ট্রাকের রশি খুলে না দেওয়ায় স্টাফকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা আমার দিকে তেড়ে এসে গালমন্দ করে। পরে ৭টা ৪০ মিনিটে সি-ট্রাক ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তারা মূলত সি ট্রাকে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের সুবিধা নিতে এসব করছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম হরনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহছানুল হক জুয়েলের ভাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ঘটনার দিন ঘাটে সি-ট্রাক ছাড়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ছেড়ে না যাওয়ায় অনেকে উত্তেজিত হন। এ সময় তিনিও মাস্টারকে ঘাট ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে মাস্টারের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি ঘাটের কোনো দায়িত্বে আছেন কি না বা মাস্টারকে ছেড়ে যেতে বলতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
যোগাযোগ করা হলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘সি-ট্রাক বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন) থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখন ছাড়বে তার কোনো সময়সূচি নির্দিষ্ট করে দেওয়া নাই। তাতে মাস্টার নিজের মতো করে যাত্রী পারাপার করে থাকেন। এতে করে স্থানীয় ট্রলার ও স্পিডবোট মালিকদের সঙ্গে সি-ট্রাক ইজারাদারের বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে। কিন্তু কোনো পক্ষই বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে চলে না।’
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে যাত্রীবাহী সি-ট্রাক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রিতে বাধা, নির্দিষ্ট সময়ের আগে নৌযানটিকে ঘাট ছেড়ে যেতে বাধ্য করাসহ যাত্রী উঠতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে ট্রলারমালিক সিন্ডিকেট জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌপথে চলাচলকারী এসটি শৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার ও কর্মীদের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে আলোচনায় আসে বিষয়টি। ভিডিওতে দেখা যায়, সি-ট্রাকের মাস্টার ও কর্মীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে কয়েকজন। তারা নৌযানটিকে দ্রুত ঘাট ছেড়ে যেতে গালমন্দ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হাতিয়ায় ঘাট ও যাত্রী পারাপার ব্যবস্থা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ইজারাদার গা ঢাকা দেওয়ায় যে যার মতো করে ফিটনেসবিহীন ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করতে থাকে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি হয়। এর সদস্যরা ফিটনেসবিহীন ট্রলারের পাশাপাশি স্পিডবোট ও অন্যান্য নৌযান পরিচালনা শুরু করে।
এদিকে বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করে সম্প্রতি হাতিয়া থেকে যাত্রী পারাপারে সরকারি সি-ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এতে বাধা দেওয়া শুরু করে সিন্ডিকেটটি। তারা কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান ঘাটে সি-ট্রাকের টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেয়। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, জামশেদ নামের এক ব্যক্তি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বের করে দেন এবং টেবিলের ওপর রাখা টিকিটের বান্ডিল ছিঁড়ে ফেলেন। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘাটে গিয়ে একজনকে আটক করেন।
কিছুদিন পর একটি সংঘবদ্ধ দল ঘাটে গিয়ে যাত্রীদের সি-ট্রাকে উঠতে বাধা দেয়। তারা ট্রাকের গোড়ায় দাঁড়িয়ে যাত্রীদের অন্য নৌযানে উঠতে বাধ্য করেন। এতে যাত্রীদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেক যাত্রীর সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
এপথে চলাচলকারী যাত্রী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘শীত মৌসুমে সি-ট্রাক ছাড়াও অন্যান্য বাহনে নদী পার হওয়া যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে দ্বীপের সাত লাখ মানুষের নদী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা হলো এই সি-ট্রাক। কারণ, তখন নদী উত্তাল থাকে। এ সময় অন্য যানবাহনে চলাচলে ঝুঁকি থাকে। যেকোনো মূল্যে আমাদের সি-ট্রাক চলাচল ঠিক রাখতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।’
এসটি শৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার আফজাল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি সাইফুল ও তার সহযোগী আলমগীর সি-ট্রাক ছাড়ার সময় ৮টায় থাকলেও সাড়ে ৭টায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাদের গালিগালাজ শুরু করে। সি-ট্রাকের রশি খুলে না দেওয়ায় স্টাফকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা আমার দিকে তেড়ে এসে গালমন্দ করে। পরে ৭টা ৪০ মিনিটে সি-ট্রাক ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তারা মূলত সি ট্রাকে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের সুবিধা নিতে এসব করছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম হরনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহছানুল হক জুয়েলের ভাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ঘটনার দিন ঘাটে সি-ট্রাক ছাড়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ছেড়ে না যাওয়ায় অনেকে উত্তেজিত হন। এ সময় তিনিও মাস্টারকে ঘাট ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে মাস্টারের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি ঘাটের কোনো দায়িত্বে আছেন কি না বা মাস্টারকে ছেড়ে যেতে বলতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
যোগাযোগ করা হলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘সি-ট্রাক বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন) থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখন ছাড়বে তার কোনো সময়সূচি নির্দিষ্ট করে দেওয়া নাই। তাতে মাস্টার নিজের মতো করে যাত্রী পারাপার করে থাকেন। এতে করে স্থানীয় ট্রলার ও স্পিডবোট মালিকদের সঙ্গে সি-ট্রাক ইজারাদারের বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে। কিন্তু কোনো পক্ষই বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে চলে না।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৩ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৪ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৫ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে